বাদাম চাষে দিন বদলের স্বপ্ন

- আপডেট: ০২:৪০:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫
- / 9
তিস্তার বালুচরে দিগন্ত মাঠ জুড়ে বাদাম খেত -সংগৃহীত ছবি
তিস্তার চর এলাকাজুড়ে দেখা যায়, বালুচরে দিগন্ত মাঠ জুড়ে বাদাম খেত। যে দিকে চোখ যায় সে দিকেই বাদামের সবুজ খেত। বাদামের সবুজ পাতা হলুদ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে কৃষকরা।
বাদাম গাছের পাতা হলুদ হলেই বাদাম তোলার উপযোগী হয়। তখন কৃষক ও কৃষাণীদের দম ফেলার ফুসরত থাকবে না। কিন্ত খরস্রোতা তিস্তার পানি নিয়ে আতঙ্কে আছে কৃষকরা। হঠাৎ করে নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে কৃষকদের স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে।
তারপরও স্বল্প খরচে বাদাম চাষ লাভজনক হওয়ায় দিন দিন রংপুরের কাউনিয়ায় তিস্তার চরে কৃষকরা বাদাম চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। সেখানকার কৃষকরা দিন বদলের স্বপ্ন দেখছেন । লাভজনক ফসল হওয়ায় এখানকার কৃষকরা বাদাম চাষে ঝুঁকেছেন। গতবারের তুলনায় চলতি মৌসুমে বেড়েছে বাদামের চাষ।
প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে চলতি মৌসুমে তিস্তার চরে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার বাদাম উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা। চরে বেশির ভাগ জমিতে বিনা-৪, বারি-৬, বারি-৮ ও বারি-৯ জাতের বাদাম চাষ হয়েছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৮৭০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পাঁচ হেক্টর বেশি জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে এক হাজার ৮৭১ টন।
আরেক বাদাম চাষি আলামিন বলেন, এবারের ন্যায় প্রতি বছর যদি কৃষি বিভাগ ভালোমানের বীজের ব্যবস্থা করে তবে কাউনিয়ায় বাদামের চাষ আরও বাড়বে।
বাদাম চাষি হাফিজ চলতি মৌসুমে এক হাজার ২০০ শতাংশ জমিতে বাদামের চাষ করেছেন তিনি। হাফিজ বলেন, বর্তমানে বাদামের অবস্থা ভাল আছে। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে বাম্পার ফলন পাব। তবে ভয়ে আছি নদীর পানি বৃদ্ধি নিয়ে। পানি বাড়লে স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে।
একাধিক বাদাম চাষির আশা, যদি বৃষ্টি ও নদীর পানিতে বাদাম তলিয়ে না যায় তাহলে লাভের মুখ দেখবেন তারা।
উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়ের চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম বলেন, চরের চাষিদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া হলে তারা বাদাম চাষে আরও আগ্রহী হবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তানিয়া আকতার বলেন, আবহাওয়া ভালো থাকায় বাদামের বাম্পার ফলনের আশা করছি। গত বছর বাদামের ভাল দাম পাওয়ায় এবার কৃষকরা বেশি করে বাদাম চাষ করেছে। কৃষি বিভাগ বাদাম চাষিদের বিনামূল্যে বীজ ও পরামর্শে দিয়ে সহায়তা করে আসছে।