০৪:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

বিলাসী পন্য হিসেবে খেজুরের শুল্ক ধরেছে এনবিআর 

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৮:৩০:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / 27

বিশ্বের সব জায়গায় বিভিন্ন উৎসব পণ্যে বড় ছাড় দেওয়া হয়। কারণ ওরা মনে করে এই উৎসবে যদি মানুষকে আমাদের পণ্য দিতে পারি, তাহলে পরিচিত হবে আমাদের পণ্য। এই রমজান মাসে আমরা যারা ব্যবসায়ী তারা অবশ্যই ব্যবসা করব। এই মাসে আমরা আল্লাহ এবং রাসূলের (সা.) কাছে যেন ভালো হতে পারি সে চিন্তা করে ব্যবসা করব। আমরা ব্যবসা করে অবশ্যই লাভ করব। তবে লাভটা হতে হবে ন্যায্য। রমজানে যদি মিনিমাম লাভ করি, তাহলে নিজের জন্য লাভ, আর মানুষের জন্যও ভালো। এই জায়গায় সবাইকে সাবধান হতে হবে।

বুধবার নিত্যপণ্যের সংকট মোকাবিলায় আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম।

এফবিসিসিআইর সভাপতি বলেন, ৯৯ শতাংশ ভালো ব্যবসায়ী। আর এক শতাংশ খারাপ ব্যবসায়ী। খারাপ ব্যবসায়ীদের জন্য এফবিসিসিআই কোনো কথা বলবে না।

তিনি আরও বলেন, পণ্য পরিবহনসহ যদি কোথাও চাঁদাবাজি হয় আর আমরা জানতে পারি তাহলে ব্যবস্থা নেব। সরকারের উচ্চ পর্যায়ে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। নিত্যপণ্যের উৎপাদন, আমদানি, মজুত, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে এফবিসিসিআই।

সভায় ব্যবসায়ীরা জানান, এনবিআর খেজুর বিলাসী পণ্য হিসেবে মূল্য ধরেছে। বর্তমানে এক কনটেইনার খেজুর আমদানি করতে ৫০ লাখ টাকা শুল্ক দিতে হয়।

বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুট ইম্পোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত ৩৫ বছর ধরে আমি খেজুর আমদানি করি, কিন্তু কখনো শুল্ক দিতে হয়নি। আমি খেজুর আমদানি করলাম ৯০০ থেকে ১০০০ ডলারে। চট্টগ্রামের কাস্টম কমিশনার সাধারণ কনটেইনার খেজুরের জন্য ২৫০০ ডলার এবং হিমায়িত কনটেইনারে খেজুরের জন্য চার হাজার ডলার শুল্ক নির্ধারণ করেছে। এতে করে খেজুরের দাম দুই থেকে তিনগুণ বেড়ে গেল। আমরা এনবিআর-এ কথা বলেছি, কিন্তু তারা কোনো যুক্তি দেখাতে পারল না, কেন এটার শুল্ক ২৫০০/৪০০০ করল। এই অ্যাসেসমেন্টে এক কার্টন খেজুর আমাকে বিক্রি করতে হবে সাড়ে চার হাজার টাকায়, কেজি পড়বে ৪৫০। আসলে আমরা সবাই যদি সহযোগিতা না করি, তাহলে বাজারে এটার দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না।

মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিসহ সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন
ট্যাগ :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

বিলাসী পন্য হিসেবে খেজুরের শুল্ক ধরেছে এনবিআর 

আপডেট: ০৮:৩০:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বিশ্বের সব জায়গায় বিভিন্ন উৎসব পণ্যে বড় ছাড় দেওয়া হয়। কারণ ওরা মনে করে এই উৎসবে যদি মানুষকে আমাদের পণ্য দিতে পারি, তাহলে পরিচিত হবে আমাদের পণ্য। এই রমজান মাসে আমরা যারা ব্যবসায়ী তারা অবশ্যই ব্যবসা করব। এই মাসে আমরা আল্লাহ এবং রাসূলের (সা.) কাছে যেন ভালো হতে পারি সে চিন্তা করে ব্যবসা করব। আমরা ব্যবসা করে অবশ্যই লাভ করব। তবে লাভটা হতে হবে ন্যায্য। রমজানে যদি মিনিমাম লাভ করি, তাহলে নিজের জন্য লাভ, আর মানুষের জন্যও ভালো। এই জায়গায় সবাইকে সাবধান হতে হবে।

বুধবার নিত্যপণ্যের সংকট মোকাবিলায় আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম।

এফবিসিসিআইর সভাপতি বলেন, ৯৯ শতাংশ ভালো ব্যবসায়ী। আর এক শতাংশ খারাপ ব্যবসায়ী। খারাপ ব্যবসায়ীদের জন্য এফবিসিসিআই কোনো কথা বলবে না।

তিনি আরও বলেন, পণ্য পরিবহনসহ যদি কোথাও চাঁদাবাজি হয় আর আমরা জানতে পারি তাহলে ব্যবস্থা নেব। সরকারের উচ্চ পর্যায়ে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। নিত্যপণ্যের উৎপাদন, আমদানি, মজুত, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে এফবিসিসিআই।

সভায় ব্যবসায়ীরা জানান, এনবিআর খেজুর বিলাসী পণ্য হিসেবে মূল্য ধরেছে। বর্তমানে এক কনটেইনার খেজুর আমদানি করতে ৫০ লাখ টাকা শুল্ক দিতে হয়।

বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুট ইম্পোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত ৩৫ বছর ধরে আমি খেজুর আমদানি করি, কিন্তু কখনো শুল্ক দিতে হয়নি। আমি খেজুর আমদানি করলাম ৯০০ থেকে ১০০০ ডলারে। চট্টগ্রামের কাস্টম কমিশনার সাধারণ কনটেইনার খেজুরের জন্য ২৫০০ ডলার এবং হিমায়িত কনটেইনারে খেজুরের জন্য চার হাজার ডলার শুল্ক নির্ধারণ করেছে। এতে করে খেজুরের দাম দুই থেকে তিনগুণ বেড়ে গেল। আমরা এনবিআর-এ কথা বলেছি, কিন্তু তারা কোনো যুক্তি দেখাতে পারল না, কেন এটার শুল্ক ২৫০০/৪০০০ করল। এই অ্যাসেসমেন্টে এক কার্টন খেজুর আমাকে বিক্রি করতে হবে সাড়ে চার হাজার টাকায়, কেজি পড়বে ৪৫০। আসলে আমরা সবাই যদি সহযোগিতা না করি, তাহলে বাজারে এটার দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না।

মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিসহ সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন