বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেছেন ফারুক আহমেদ  -ফাইল ফটো

জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলামকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক নিয়োগ দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেছেন ফারুক আহমেদ।

রোববার (১ জুন) হাইকোর্টে এই রিটটি দায়ের করা হয়। ফারুক আহমেদের আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস জানিয়েছেন, রিটের শুনানি হতে পারে সোমবার।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) গত ২৯ মে ফারুক আহমেদের বিসিবি পরিচালক পদে মনোনয়ন বাতিল করে। এরপর ৩০ মে আমিনুল ইসলামকে ওই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই দুই সিদ্ধান্তকে বেআইনি দাবি করে রিটটি করা হয়েছে।

রিটে বলা হয়েছে, ২৯ ও ৩০ মে’র সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এই সিদ্ধান্তগুলোর কার্যক্রম স্থগিত রাখারও অনুরোধ করা হয়েছে। এই রিটে যুব ও ক্রীড়া সচিব, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও বিসিবিসহ পাঁচজনকে বিবাদী করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এনএসসি বিসিবির দুই পরিচালক জালাল ইউনুস ও আহমেদ সাজ্জাদুল আলমের স্থানে ফারুক আহমেদ ও নাজমূল আবেদীনকে পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন দেয়। এরপর পরিচালকদের ভোটে ফারুক আহমেদ বিসিবির সভাপতি নির্বাচিত হন।

এর আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির দায়িত্ব থেকে ফারুক আহমেদকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় আলোচনার ঝড় বইছে ক্রীড়াঙ্গনে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, কেন তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই এত দ্রুত পদচ্যুত করা হলো। এ নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রীর যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

তিনি জানান, ফারুক ভাইয়ের সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছিল। আমি বলেছিলাম, যেন ক্রিকেটের পরিবেশ খারাপ না করে বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে সমাধান করা যায়। নিজে থেকে সরে গেলে হয়তো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে (এনএসসি) তার পরিচালক পদ বাতিল করতে হতো না। যেহেতু তিনি সরে দাঁড়াননি তাই আমাদের উদ্যোগ নিতে হয়েছে।

উপদেষ্টা আরও জানান, ফারুক আহমেদের অপসারণ কোনো শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নয় বরং পারফরম্যান্স বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে, নতুন নেতৃত্ব আসার পর বিগত নয় মাসে ক্রিকেটে প্রত্যাশিত উন্নয়ন হয়নি। বিপিএল থেকে শুরু করে সার্বিক পারফরম্যান্স হতাশাজনক। তাই আমাদের নতুন করে ভাবতেই হয়েছে।