০১:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত তামিনের নামে বরাদ্দকৃত অর্থ সমহারে বণ্টনের দাবি

ইউএনএ প্রতিনিধি
  • আপডেট: ০৭:২৬:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / 2

ছেলের ছবি হাতে তামিনের মা ও নিহত তামিন – ছবি : সংগৃহীত 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত তামিন হৃদয়ের নামে বেসরকারিভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন থেকে বরাদ্দকৃত আর্থিক সহায়তা ও সুযোগ-সুবিধা থেকে মাকে বঞ্চিত করে। একাই সকল টাকা আত্মসাৎতের অভিযোগ উঠেছে নিহতের পিতা তমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকেও যেন তামিনের মায়ের নাম পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয়। সেই জন্য তামিনের পিতা বিভিন্ন গণমাধ্যমে মিথ্যা মানহানি কর মন্তব্য করে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনার প্রতিকার ও সরকারি সুযোগ-সুবিধা সমহারে বণ্টনের ব্যবস্থা করতে ছাত্র আন্দোলনে নিহত তামিন হৃদয়ের মা রুমি বেগম গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর নরসিংদী জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

গত ১৯ জুলাই শিবপুর উপজেলার ইটাখলা মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় তামিন হৃদয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন থেকে তামিন হৃদয়ের নামে আর্থিক সহায়তা ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। যা তার মাকে জানানো হয়নি। সেখান থেকে বরাদ্দকৃত ক্ষতিপূরণের কোন অংশ ও দেওয়া হয়নি তামিনের মা রুমি আক্তার বেগমকে। সম্পূর্ণ টাকা তামিনের পিতা তমিজ উদ্দিন নিজের কব্জায় রেখেছেন। বর্তমানে বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেয়েছেন জীবিত মাকে মৃত দেখিয়ে সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত সমস্ত অনুদানের টাকা ও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা তামিনের পিতা তমিজ উদ্দিন একাই আত্মসাতের পাঁয়তারা করছেন।

আর এসব বিষয়ে সুস্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ছাত্র-জনতা আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ পরিবারকে সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত আর্থিক অনুদান ও সুযোগ-সুবিধা আইন অনুযায়ী প্রাপ্য অংশ সমাহারে বন্টনের ব্যবস্থা করতে জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন জানান তামিনের মা রুমি আক্তার।

এ বিষয়ে প্রশাসন থেকে শুরু করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষ ও দেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন রুমি আক্তার।

এ বিষয়ে নরসিংদীর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী জানান, তামিন হৃদয়ের মা-বাবাকে আইন অনুযায়ী সাহায্য-সহযোগিতা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। আইনে যা আছে আমরা তাই করব।

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত তামিনের নামে বরাদ্দকৃত অর্থ সমহারে বণ্টনের দাবি

আপডেট: ০৭:২৬:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

ছেলের ছবি হাতে তামিনের মা ও নিহত তামিন – ছবি : সংগৃহীত 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত তামিন হৃদয়ের নামে বেসরকারিভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন থেকে বরাদ্দকৃত আর্থিক সহায়তা ও সুযোগ-সুবিধা থেকে মাকে বঞ্চিত করে। একাই সকল টাকা আত্মসাৎতের অভিযোগ উঠেছে নিহতের পিতা তমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকেও যেন তামিনের মায়ের নাম পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয়। সেই জন্য তামিনের পিতা বিভিন্ন গণমাধ্যমে মিথ্যা মানহানি কর মন্তব্য করে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনার প্রতিকার ও সরকারি সুযোগ-সুবিধা সমহারে বণ্টনের ব্যবস্থা করতে ছাত্র আন্দোলনে নিহত তামিন হৃদয়ের মা রুমি বেগম গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর নরসিংদী জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

গত ১৯ জুলাই শিবপুর উপজেলার ইটাখলা মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় তামিন হৃদয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন থেকে তামিন হৃদয়ের নামে আর্থিক সহায়তা ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। যা তার মাকে জানানো হয়নি। সেখান থেকে বরাদ্দকৃত ক্ষতিপূরণের কোন অংশ ও দেওয়া হয়নি তামিনের মা রুমি আক্তার বেগমকে। সম্পূর্ণ টাকা তামিনের পিতা তমিজ উদ্দিন নিজের কব্জায় রেখেছেন। বর্তমানে বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেয়েছেন জীবিত মাকে মৃত দেখিয়ে সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত সমস্ত অনুদানের টাকা ও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা তামিনের পিতা তমিজ উদ্দিন একাই আত্মসাতের পাঁয়তারা করছেন।

আর এসব বিষয়ে সুস্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ছাত্র-জনতা আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ পরিবারকে সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত আর্থিক অনুদান ও সুযোগ-সুবিধা আইন অনুযায়ী প্রাপ্য অংশ সমাহারে বন্টনের ব্যবস্থা করতে জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন জানান তামিনের মা রুমি আক্তার।

এ বিষয়ে প্রশাসন থেকে শুরু করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষ ও দেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন রুমি আক্তার।

এ বিষয়ে নরসিংদীর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী জানান, তামিন হৃদয়ের মা-বাবাকে আইন অনুযায়ী সাহায্য-সহযোগিতা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। আইনে যা আছে আমরা তাই করব।

শেয়ার করুন