০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি বিহীন  টি-২০ বিশ্বকাপ দেখলো নবম আসর

জাহিদ হাসান
  • আপডেট: ০৮:৫০:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪
  • / 28

ছবি:সংগৃহীত 

দীর্ঘ এক মাসের যাত্রা শেষে ভারতের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্য দিয়ে পর্দা নামলো টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসর। চোকার্স অপবাদ ঘুচিয়ে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা দক্ষিণ আফ্রিকা ইতিহাস গড়ার সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি।পুরো আসরে দু’দলই দুর্দান্ত খেলে অপরাজিত থেকেই ফাইনালে উঠেছে।

এবারের টি-২০ বিশ্বকাপ আসরে একটু ব্যকিক্রম দেখলো ক্রিকেটপ্রেমীরা। ২০০৯ সালের পর এবারের আসরে ব্যাক্তিগত সেঞ্চুরি বিহীন বিশ্বকাপ দেখলো দর্শক।এবারের আসরে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান ছিল ৯৮।গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৫৩ বলে ৯৮ রান করে সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ২ রান আগে আউট হন ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিকোলাস পুরান।

এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করেন যুক্তরাষ্ট্রের  অ্যারন জোন্স ৫৬ বলে ৯৪ রান করে অপরাজিত থাকেন।যদিও কানাডার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করার ভালই সুযোগ ছিলো অ্যারন জোন্সের,কিন্তু তার আগে ম্যাচ জিতে যায় যুক্তরাষ্ট্র।এছাড়াও নব্বইয়ের ঘরে ছিলেন রোহিত শর্মা; অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫৯ বলে ৯২ রান করে।

টি-২০ বিশ্বকাপে এই পর্যন্ত মোট সেঞ্চুরির সংখ্যা ১১টি; এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২ টি সেঞ্চুরি আসে ২০০৭ ও ২০১৬ আসরে হার্ড হিটার ক্রিস গেইলের ব্যাট থেকে।

টি-২০ বিশ্বকাপের ২০০৭ সালে প্রথম আসরে সেঞ্চুরি হয় একটি। ক্রিস গেইল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরিটি করেন। এরপরের আসর ২০০৯ তে সেঞ্চুরি বিহীন থাকে দ্বিতীয় আসর।

তৃতীয় আসরে ২০১০ সালে ২ টি সেঞ্চুরি হয় একটি করে ভারতের সুরেশ রায়না ও অন্যটি করে শ্রীলঙ্কার মাহেলা জয়াবর্ধনে।চতুর্থ আসরে ২০১২ সালে আসে একটি সেঞ্চুরি।ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭২ বলে ১২৩ রান করেন; যা টি-২০বিশ্বকাপের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান।পঞ্চম আসরে আসে ২ টি সেঞ্চুরি ; একটি করে ইল্যান্ডের অ্যালেক্স হেলস ও অপরটি পাকিস্তানের আহমেদ শেহজাদ।

ষষ্ঠ আসরেও আসে ২ টি সেঞ্চুরি ; একটি করে ক্রিস গেইল,আর অপরটি করে বাংলাদেশের ওপেনার তামিম ইকবাল ওমানের বিপক্ষে। যা বাংলাদেশের হয়ে টি-২০ বিশ্বকাপের একমাত্র সেঞ্চুরি। সপ্তম আসরে একমাত্র সেঞ্চুরি আসে জস বাটলারের ব্যাট থেকে।অষ্টম আসরে সেঞ্চুরি হয় ২টি; একটি করে দক্ষিণ আফ্রিকার রইলি রশো, অপরটি নিউজিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপস।

আয়োজক দেশ হিসেবে টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসর অনুষ্ঠিত হয় যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে।এবারে প্রথমবারের মত ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে যৌথ আয়োজনে দায়িত্ব পায় যুক্তরাষ্ট্র। যদিও বিশ্বকাপ শুরুর মাত্র ছয় মাস আগে স্টেডিয়ামের অবকাঠামো গুলো সাময়িক সময়ের জন্য প্রস্তুত করে।কিন্তু বিশ্বকাপ চলাকালীন সময় যুক্তরাষ্ট্রের পিচ ও আউট ফিল্ড নিয়ে ভীষনভাবে প্রশ্নবিদ্ধ ছিলো। অংশগ্রহণকারী অনেক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পিচ নিয়ে সমালোচনার ঝড় তুলে।এছাড়াও বিশ্বকাপ শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রস্তুতিমূলক সিরিজ হেরে বাংলাদেশ দলকে ভালই বেগ পেতে হয়েছিলো। সে অনুযায়ী ব্যতিক্রম ছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পোর্টিং পিচ গুলো।আর সব শেষে পুরো আসরে আবহাওয়া জনিত সমস্যা ছিলোই।

শেয়ার করুন
ট্যাগ :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি বিহীন  টি-২০ বিশ্বকাপ দেখলো নবম আসর

আপডেট: ০৮:৫০:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪

ছবি:সংগৃহীত 

দীর্ঘ এক মাসের যাত্রা শেষে ভারতের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্য দিয়ে পর্দা নামলো টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসর। চোকার্স অপবাদ ঘুচিয়ে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা দক্ষিণ আফ্রিকা ইতিহাস গড়ার সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি।পুরো আসরে দু’দলই দুর্দান্ত খেলে অপরাজিত থেকেই ফাইনালে উঠেছে।

এবারের টি-২০ বিশ্বকাপ আসরে একটু ব্যকিক্রম দেখলো ক্রিকেটপ্রেমীরা। ২০০৯ সালের পর এবারের আসরে ব্যাক্তিগত সেঞ্চুরি বিহীন বিশ্বকাপ দেখলো দর্শক।এবারের আসরে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান ছিল ৯৮।গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৫৩ বলে ৯৮ রান করে সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ২ রান আগে আউট হন ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিকোলাস পুরান।

এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করেন যুক্তরাষ্ট্রের  অ্যারন জোন্স ৫৬ বলে ৯৪ রান করে অপরাজিত থাকেন।যদিও কানাডার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করার ভালই সুযোগ ছিলো অ্যারন জোন্সের,কিন্তু তার আগে ম্যাচ জিতে যায় যুক্তরাষ্ট্র।এছাড়াও নব্বইয়ের ঘরে ছিলেন রোহিত শর্মা; অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫৯ বলে ৯২ রান করে।

টি-২০ বিশ্বকাপে এই পর্যন্ত মোট সেঞ্চুরির সংখ্যা ১১টি; এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২ টি সেঞ্চুরি আসে ২০০৭ ও ২০১৬ আসরে হার্ড হিটার ক্রিস গেইলের ব্যাট থেকে।

টি-২০ বিশ্বকাপের ২০০৭ সালে প্রথম আসরে সেঞ্চুরি হয় একটি। ক্রিস গেইল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরিটি করেন। এরপরের আসর ২০০৯ তে সেঞ্চুরি বিহীন থাকে দ্বিতীয় আসর।

তৃতীয় আসরে ২০১০ সালে ২ টি সেঞ্চুরি হয় একটি করে ভারতের সুরেশ রায়না ও অন্যটি করে শ্রীলঙ্কার মাহেলা জয়াবর্ধনে।চতুর্থ আসরে ২০১২ সালে আসে একটি সেঞ্চুরি।ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭২ বলে ১২৩ রান করেন; যা টি-২০বিশ্বকাপের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান।পঞ্চম আসরে আসে ২ টি সেঞ্চুরি ; একটি করে ইল্যান্ডের অ্যালেক্স হেলস ও অপরটি পাকিস্তানের আহমেদ শেহজাদ।

ষষ্ঠ আসরেও আসে ২ টি সেঞ্চুরি ; একটি করে ক্রিস গেইল,আর অপরটি করে বাংলাদেশের ওপেনার তামিম ইকবাল ওমানের বিপক্ষে। যা বাংলাদেশের হয়ে টি-২০ বিশ্বকাপের একমাত্র সেঞ্চুরি। সপ্তম আসরে একমাত্র সেঞ্চুরি আসে জস বাটলারের ব্যাট থেকে।অষ্টম আসরে সেঞ্চুরি হয় ২টি; একটি করে দক্ষিণ আফ্রিকার রইলি রশো, অপরটি নিউজিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপস।

আয়োজক দেশ হিসেবে টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসর অনুষ্ঠিত হয় যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে।এবারে প্রথমবারের মত ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে যৌথ আয়োজনে দায়িত্ব পায় যুক্তরাষ্ট্র। যদিও বিশ্বকাপ শুরুর মাত্র ছয় মাস আগে স্টেডিয়ামের অবকাঠামো গুলো সাময়িক সময়ের জন্য প্রস্তুত করে।কিন্তু বিশ্বকাপ চলাকালীন সময় যুক্তরাষ্ট্রের পিচ ও আউট ফিল্ড নিয়ে ভীষনভাবে প্রশ্নবিদ্ধ ছিলো। অংশগ্রহণকারী অনেক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পিচ নিয়ে সমালোচনার ঝড় তুলে।এছাড়াও বিশ্বকাপ শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রস্তুতিমূলক সিরিজ হেরে বাংলাদেশ দলকে ভালই বেগ পেতে হয়েছিলো। সে অনুযায়ী ব্যতিক্রম ছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পোর্টিং পিচ গুলো।আর সব শেষে পুরো আসরে আবহাওয়া জনিত সমস্যা ছিলোই।

শেয়ার করুন