০৮:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

মারা গেছেন কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট: ০৯:৪৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪
  • / 18

কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ব্রায়ান মাররুনি মারা গেছেন। ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত কানাডার ১৮তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন ব্রায়ান।  মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।

ব্রায়ানের মেয়ে ক্যারোলিন মাররুনি ‍২৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার,  এক অনলাইন বার্তায় জানিয়েছেন, পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ মৃত্যু হয়েছে তার। ওই সময় পরিবারের সদস্যদের দ্বারা বেষ্টিত ছিলেন তিনি।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে বলেছেন, তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুর সংবাদে মর্মাহত। তিনি বলেন, ব্রায়ান কখনোই কানাডিয়ানদের জন্য কাজ করা বন্ধ করেননি। কানাডাকে কীভাবে আরও ভালো, আরও বসবাসযোগ্য স্থান করে তোলা যায় সেজন্য তিনি সবসময় কাজ করে গেছেন।

ট্রুডো বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে তিনি আমাকে যে অন্তর্দৃষ্টিগুলি দিয়ে গেছেন, তা আমি কখনোই ভুলব না। তিনি ছিলেন উদার, ক্লান্তিহীন এবং অবিশ্বাস্যভাবে উৎসাহী।’

গত বছরের আগস্টে ক্যারোলিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছিলেন তার বাবার হার্টের অপারেশন হয়েছে। এছাড় গত বছরের শেষ দিকে তার প্রোস্টেট ক্যান্সার শনাক্ত হয়। ওই সময় থেকে ব্রায়ানের চিকিৎসা চলছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য বিখ্যাত হয়েছিলেন ব্রায়ান মাররুনি। তবে একজন অস্ত্র ব্যবসায়ীর সঙ্গে ‘অবৈধ’ ব্যবসার জন্য নিজের অর্জিত খ্যাতির ক্ষতি করেছিলেন তিনি।

কর্পোরেট আইনজীবী থেকে ব্যবসায়ী হিসেবে সুনাম অর্জন করা ব্রায়ানের নেতৃত্বে ১৯৮৪ সালে মধ্যডানপন্থি দল প্রোগ্রেসিভ কনজারভেটিভকে এক ঐতিহাসিক জয় পায়। ওই বছর উদারপন্থী পিয়া ট্রুডোর দল তার দলের কাছে হেরে যায়।

শেয়ার করুন
ট্যাগ :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

মারা গেছেন কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ০৯:৪৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪

কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ব্রায়ান মাররুনি মারা গেছেন। ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত কানাডার ১৮তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন ব্রায়ান।  মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।

ব্রায়ানের মেয়ে ক্যারোলিন মাররুনি ‍২৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার,  এক অনলাইন বার্তায় জানিয়েছেন, পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ মৃত্যু হয়েছে তার। ওই সময় পরিবারের সদস্যদের দ্বারা বেষ্টিত ছিলেন তিনি।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে বলেছেন, তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুর সংবাদে মর্মাহত। তিনি বলেন, ব্রায়ান কখনোই কানাডিয়ানদের জন্য কাজ করা বন্ধ করেননি। কানাডাকে কীভাবে আরও ভালো, আরও বসবাসযোগ্য স্থান করে তোলা যায় সেজন্য তিনি সবসময় কাজ করে গেছেন।

ট্রুডো বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে তিনি আমাকে যে অন্তর্দৃষ্টিগুলি দিয়ে গেছেন, তা আমি কখনোই ভুলব না। তিনি ছিলেন উদার, ক্লান্তিহীন এবং অবিশ্বাস্যভাবে উৎসাহী।’

গত বছরের আগস্টে ক্যারোলিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছিলেন তার বাবার হার্টের অপারেশন হয়েছে। এছাড় গত বছরের শেষ দিকে তার প্রোস্টেট ক্যান্সার শনাক্ত হয়। ওই সময় থেকে ব্রায়ানের চিকিৎসা চলছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য বিখ্যাত হয়েছিলেন ব্রায়ান মাররুনি। তবে একজন অস্ত্র ব্যবসায়ীর সঙ্গে ‘অবৈধ’ ব্যবসার জন্য নিজের অর্জিত খ্যাতির ক্ষতি করেছিলেন তিনি।

কর্পোরেট আইনজীবী থেকে ব্যবসায়ী হিসেবে সুনাম অর্জন করা ব্রায়ানের নেতৃত্বে ১৯৮৪ সালে মধ্যডানপন্থি দল প্রোগ্রেসিভ কনজারভেটিভকে এক ঐতিহাসিক জয় পায়। ওই বছর উদারপন্থী পিয়া ট্রুডোর দল তার দলের কাছে হেরে যায়।

শেয়ার করুন