০৬:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

মেস থেকে মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ইউএনএ, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি
  • আপডেট: ১১:৫৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
  • / 72

নিহত শিক্ষার্থী জুনায়েদ হোসেন / ইউএনএ 

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) ২০২০–২১ সেশনের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জুনায়েদ হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (২০ জুন) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকা সন্তোষ পুরাতন পাড়ার একটি ছাত্রাবাস (মেস) থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

‎এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. ইমাম হোসেন বলেন, আমি ঘটনাটি জানার পর ভিসি-সহ তার মেসে যাই। কাগমারী পুলিশ ফাঁড়িতে তথ্য দিলে তারা রুমের ভেতর থেকে লাশ উদ্ধার করে এবং পরে হাসপাতালে প্রেরণ করে। প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, সে অনেকদিন ধরে হতাশায় ভুগছিল। এ কারণেই হয়তো আত্মহত্যা করতে পারে।

কাগমারী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ছাইফুল ইসলাম বলেন, গতকাল সকালে জুনায়েদ পাশের রুমের এক শিক্ষার্থীকে বলেন, ‘আমি ঘুমাবো, আমাকে ডাকিস না।’ এরপর সারারাত কেউ তাকে ডাকেনি। পরদিন সকাল ও দুপুরে ঘুম থেকে না ওঠায় সন্দেহ জাগে। অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়া না পাওয়ায় বিষয়টি প্রক্টরকে জানানো হয়। তাঁর ফোন পাওয়ার পর আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করি। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।

জুনায়েদের মৃত্যুতে শোকাহত তাঁর সহপাঠীরাও। তাঁরা জানান, জুনায়েদ ছিলেন অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের। সহপাঠীদের সঙ্গে সবসময় ভদ্র ব্যবহার করতেন এবং কারও সঙ্গে তার কোন বিরোধ ছিলোনা।

জুনায়েদ হোসেনের বাসা গাজীপুর জেলার পূবাইল গ্রামে। ‎তার মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর সহপাঠী ও শিক্ষকরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

 

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

মেস থেকে মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

আপডেট: ১১:৫৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

নিহত শিক্ষার্থী জুনায়েদ হোসেন / ইউএনএ 

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) ২০২০–২১ সেশনের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জুনায়েদ হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (২০ জুন) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকা সন্তোষ পুরাতন পাড়ার একটি ছাত্রাবাস (মেস) থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

‎এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. ইমাম হোসেন বলেন, আমি ঘটনাটি জানার পর ভিসি-সহ তার মেসে যাই। কাগমারী পুলিশ ফাঁড়িতে তথ্য দিলে তারা রুমের ভেতর থেকে লাশ উদ্ধার করে এবং পরে হাসপাতালে প্রেরণ করে। প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, সে অনেকদিন ধরে হতাশায় ভুগছিল। এ কারণেই হয়তো আত্মহত্যা করতে পারে।

কাগমারী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ছাইফুল ইসলাম বলেন, গতকাল সকালে জুনায়েদ পাশের রুমের এক শিক্ষার্থীকে বলেন, ‘আমি ঘুমাবো, আমাকে ডাকিস না।’ এরপর সারারাত কেউ তাকে ডাকেনি। পরদিন সকাল ও দুপুরে ঘুম থেকে না ওঠায় সন্দেহ জাগে। অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়া না পাওয়ায় বিষয়টি প্রক্টরকে জানানো হয়। তাঁর ফোন পাওয়ার পর আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করি। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।

জুনায়েদের মৃত্যুতে শোকাহত তাঁর সহপাঠীরাও। তাঁরা জানান, জুনায়েদ ছিলেন অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের। সহপাঠীদের সঙ্গে সবসময় ভদ্র ব্যবহার করতেন এবং কারও সঙ্গে তার কোন বিরোধ ছিলোনা।

জুনায়েদ হোসেনের বাসা গাজীপুর জেলার পূবাইল গ্রামে। ‎তার মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর সহপাঠী ও শিক্ষকরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

 

শেয়ার করুন