০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫

যাত্রার নায়িকা হয়ে বড় পর্দায় ভাবনা

ইউএনএ প্রতিবেদক
  • আপডেট: ০৩:১৮:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
  • / 6

আশনা হাবীব ভাবনা -ছবি: ফেসবুক

ল্যান্ড অব দ্য প্রিন্সেস হয়ে বড় পর্দায় ভাবনার আগমন ঘটছে। এখানে তিনি যাত্রার নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করবেন।

ছবিটি পরিচালনা করছেন আসিফ ইসলাম। শুটিং শেষে এখন সিনেমাটির পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে।

সিনেমায় এই প্রিন্সেসের চরিত্রেই অভিনয় করেছেন আশনা হাবিব ভাবনা। চরিত্রটিকে ক্যারিয়ারের অন্যতম অভিজ্ঞতা বললেন তিনি। জানালেন, যাত্রার প্রিন্সেস হয়ে ওঠাটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। কারণ এটি এমন একটি চরিত্র যেখানে অভিনয়ও জানতে হবে, আবার নাচও। দিনের পর দিন অনুশীলন করতে হয়েছে। যাত্রাশিল্পীদের মতো নাচ শিখতে হয়েছে।

অভিনয় করতে গিয়ে শুরুতেই বিপাকে পড়েন ভাবনা। চরিত্র ফুটিয়ে তোলার জন্য তার মনে হয়, ওজন বাড়ানো দরকার। তিনি বলেন, আমার কাছে মনে হচ্ছিল তা না হলে চরিত্রটি ধরা সম্ভব নয়। যে কারণে পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে ৯ কেজি ওজন বাড়িয়েছি। চরিত্রটি দর্শক মনে ধরবে বলে জানানা ভাবনা।

উল্লেখ্য, নির্বাণ বানিয়ে পরিচিতি পেয়েছেন আসিফ ইসলাম। সিনেমাটি ৪৬তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে স্পেশাল জুরি অ্যাওয়ার্ড পায়। নতুন ছবিটির বিষয়ে আসিফ জানান, শৈশব থেকেই তার যাত্রার সঙ্গে পরিচয়। একসময় নিয়মিত গ্রামে যাত্রা দেখতেন। সেই থেকেই ঝলমলে আলো, যাত্রার আয়োজন, সংগীত, সাজসজ্জা গভীরভাবে তার মধ্যে ছায়া ফেলে। সেই চিন্তা থেকেই যাত্রা নিয়ে গল্প বলার অপেক্ষায় ছিলেন। এ বছর সেই সুযোগ পান।

আসিফ বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ফরিদপুর জেলার গোবিন্দপুরে যাত্রার সেট বানিয়ে সিনেমার শুটিং করেছেন। ভাবনা ছাড়া সিনেমার বেশির ভাগ অভিনেতাই যাত্রাশিল্পী।

তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন পর ২০১৮ সালে আবার যাত্রা দেখার সুযোগ হয়। পালাটি ছিল নবাব সিরাজউদ্দৌলা। শৈশবে ৩৫ বছর আগে এই যাত্রা আমি দেখেছিলাম। সেই দিনগুলোতে যেন আবার ফিরে গেলাম। সে এক অন্য রকম অনুভূতি। একসময় বুঝতে পারি, যাত্রার চিত্র বদলে গেছে। দর্শক আসলে যাত্রা দেখতে আসেনি। দর্শক এখন আর যাত্রা দেখতে আসে না। কোনো গল্পও তারা দেখতে চায় না। তারা চায় প্রাপ্তবয়স্কদের নাচ। তারা দেখতে এসেছে শহর থেকে আসা প্রিন্সেসের নাচ। সেদিন প্রথম আমি সেই নৃত্যশিল্পীকে মঞ্চে উঠতে দেখি। একসময় বাধ্য হয়ে উঠে আসি।

পরিচালক জানান, একসময় যাত্রা ছিল বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। সেদিনই মনে হয়েছিল, সেই যাত্রাটা কিভাবে বিলীন হয়ে গেছে। কীভাবে টিকে থাকার লড়াই করছে। সেই অভিজ্ঞতা নিয়েই আমার সিনেমাটি বানিয়েছি বলেন আসিফ।

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

যাত্রার নায়িকা হয়ে বড় পর্দায় ভাবনা

আপডেট: ০৩:১৮:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

আশনা হাবীব ভাবনা -ছবি: ফেসবুক

ল্যান্ড অব দ্য প্রিন্সেস হয়ে বড় পর্দায় ভাবনার আগমন ঘটছে। এখানে তিনি যাত্রার নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করবেন।

ছবিটি পরিচালনা করছেন আসিফ ইসলাম। শুটিং শেষে এখন সিনেমাটির পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে।

সিনেমায় এই প্রিন্সেসের চরিত্রেই অভিনয় করেছেন আশনা হাবিব ভাবনা। চরিত্রটিকে ক্যারিয়ারের অন্যতম অভিজ্ঞতা বললেন তিনি। জানালেন, যাত্রার প্রিন্সেস হয়ে ওঠাটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। কারণ এটি এমন একটি চরিত্র যেখানে অভিনয়ও জানতে হবে, আবার নাচও। দিনের পর দিন অনুশীলন করতে হয়েছে। যাত্রাশিল্পীদের মতো নাচ শিখতে হয়েছে।

অভিনয় করতে গিয়ে শুরুতেই বিপাকে পড়েন ভাবনা। চরিত্র ফুটিয়ে তোলার জন্য তার মনে হয়, ওজন বাড়ানো দরকার। তিনি বলেন, আমার কাছে মনে হচ্ছিল তা না হলে চরিত্রটি ধরা সম্ভব নয়। যে কারণে পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে ৯ কেজি ওজন বাড়িয়েছি। চরিত্রটি দর্শক মনে ধরবে বলে জানানা ভাবনা।

উল্লেখ্য, নির্বাণ বানিয়ে পরিচিতি পেয়েছেন আসিফ ইসলাম। সিনেমাটি ৪৬তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে স্পেশাল জুরি অ্যাওয়ার্ড পায়। নতুন ছবিটির বিষয়ে আসিফ জানান, শৈশব থেকেই তার যাত্রার সঙ্গে পরিচয়। একসময় নিয়মিত গ্রামে যাত্রা দেখতেন। সেই থেকেই ঝলমলে আলো, যাত্রার আয়োজন, সংগীত, সাজসজ্জা গভীরভাবে তার মধ্যে ছায়া ফেলে। সেই চিন্তা থেকেই যাত্রা নিয়ে গল্প বলার অপেক্ষায় ছিলেন। এ বছর সেই সুযোগ পান।

আসিফ বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ফরিদপুর জেলার গোবিন্দপুরে যাত্রার সেট বানিয়ে সিনেমার শুটিং করেছেন। ভাবনা ছাড়া সিনেমার বেশির ভাগ অভিনেতাই যাত্রাশিল্পী।

তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন পর ২০১৮ সালে আবার যাত্রা দেখার সুযোগ হয়। পালাটি ছিল নবাব সিরাজউদ্দৌলা। শৈশবে ৩৫ বছর আগে এই যাত্রা আমি দেখেছিলাম। সেই দিনগুলোতে যেন আবার ফিরে গেলাম। সে এক অন্য রকম অনুভূতি। একসময় বুঝতে পারি, যাত্রার চিত্র বদলে গেছে। দর্শক আসলে যাত্রা দেখতে আসেনি। দর্শক এখন আর যাত্রা দেখতে আসে না। কোনো গল্পও তারা দেখতে চায় না। তারা চায় প্রাপ্তবয়স্কদের নাচ। তারা দেখতে এসেছে শহর থেকে আসা প্রিন্সেসের নাচ। সেদিন প্রথম আমি সেই নৃত্যশিল্পীকে মঞ্চে উঠতে দেখি। একসময় বাধ্য হয়ে উঠে আসি।

পরিচালক জানান, একসময় যাত্রা ছিল বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। সেদিনই মনে হয়েছিল, সেই যাত্রাটা কিভাবে বিলীন হয়ে গেছে। কীভাবে টিকে থাকার লড়াই করছে। সেই অভিজ্ঞতা নিয়েই আমার সিনেমাটি বানিয়েছি বলেন আসিফ।

শেয়ার করুন