০১:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত হামাস

ইউএনএ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট: ১২:১৫:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
  • / 7

সংগৃহীত ছবি 

গাজায় যুক্তরাষ্ট্র–সমর্থিত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে হামাস জানিয়েছে, তারা বিষয়টি নিয়ে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী বিভিন্ন সশস্ত্র দল ও গোষ্ঠীর সঙ্গে পরামর্শ শেষে মধ্যস্থতাকারীদের কাছে একটি ‘ইতিবাচক জবাব’ জমা দিয়েছে এবং প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের আলোচনায় অংশ নিতে তারা পুরোপুরি প্রস্তুত।

টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার নতুন আলোচনায় তারা তাৎক্ষণিকভাবে অংশ নিতে আগ্রহী। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইসরায়েল ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে যুদ্ধের পূর্ণ অবসান নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো আলোচনায় বসবে।

এদিকে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফিলিস্তিনি এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, হামাস সামগ্রিকভাবে যুদ্ধবিরতির কাঠামো মেনে নিয়েছে, তবে তারা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনের প্রস্তাব রেখেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো—যদি আলোচনায় অগ্রগতি না হয় বা তা ভেঙে পড়ে, সে ক্ষেত্রেও যেন আবার হামলা শুরু না করা হয়—এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সুস্পষ্ট নিশ্চয়তা দিতে হবে।

হামাসের ঘনিষ্ঠ সংগঠন ইসলামিক জিহাদও যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা সমর্থন করেছে। তবে তারা বলেছে, আলোচনার ফলাফল যেন স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে গড়ায়, সে নিশ্চয়তা জরুরি।

ট্রাম্প বলেন, ‘এটি একটি চূড়ান্ত প্রস্তাব এবং এর চেয়ে ভালো কিছু আর আসবে না। বরং পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।’ তিনি হামাসকে এ প্রস্তাব গ্রহণের আহ্বান জানান।

ধারণা করা হচ্ছে, যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে হামাস ধাপে ধাপে ১০ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মি এবং আরও ১৮ জনের মরদেহ ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করবে। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে। গাজায় এখনও প্রায় ৫০ জন জিম্মি রয়েছে, যাদের মধ্যে অন্তত ২০ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই চুক্তির আওতায় জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির তত্ত্বাবধানে গাজায় জরুরি মানবিক সহায়তা প্রবেশের পথও উন্মুক্ত করা হবে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ রয়েছে।

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত হামাস

আপডেট: ১২:১৫:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

সংগৃহীত ছবি 

গাজায় যুক্তরাষ্ট্র–সমর্থিত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে হামাস জানিয়েছে, তারা বিষয়টি নিয়ে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী বিভিন্ন সশস্ত্র দল ও গোষ্ঠীর সঙ্গে পরামর্শ শেষে মধ্যস্থতাকারীদের কাছে একটি ‘ইতিবাচক জবাব’ জমা দিয়েছে এবং প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের আলোচনায় অংশ নিতে তারা পুরোপুরি প্রস্তুত।

টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার নতুন আলোচনায় তারা তাৎক্ষণিকভাবে অংশ নিতে আগ্রহী। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইসরায়েল ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে যুদ্ধের পূর্ণ অবসান নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো আলোচনায় বসবে।

এদিকে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফিলিস্তিনি এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, হামাস সামগ্রিকভাবে যুদ্ধবিরতির কাঠামো মেনে নিয়েছে, তবে তারা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনের প্রস্তাব রেখেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো—যদি আলোচনায় অগ্রগতি না হয় বা তা ভেঙে পড়ে, সে ক্ষেত্রেও যেন আবার হামলা শুরু না করা হয়—এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সুস্পষ্ট নিশ্চয়তা দিতে হবে।

হামাসের ঘনিষ্ঠ সংগঠন ইসলামিক জিহাদও যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা সমর্থন করেছে। তবে তারা বলেছে, আলোচনার ফলাফল যেন স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে গড়ায়, সে নিশ্চয়তা জরুরি।

ট্রাম্প বলেন, ‘এটি একটি চূড়ান্ত প্রস্তাব এবং এর চেয়ে ভালো কিছু আর আসবে না। বরং পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।’ তিনি হামাসকে এ প্রস্তাব গ্রহণের আহ্বান জানান।

ধারণা করা হচ্ছে, যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে হামাস ধাপে ধাপে ১০ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মি এবং আরও ১৮ জনের মরদেহ ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করবে। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে। গাজায় এখনও প্রায় ৫০ জন জিম্মি রয়েছে, যাদের মধ্যে অন্তত ২০ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই চুক্তির আওতায় জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির তত্ত্বাবধানে গাজায় জরুরি মানবিক সহায়তা প্রবেশের পথও উন্মুক্ত করা হবে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ রয়েছে।

শেয়ার করুন