০৫:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

রাখাইনে আরাকান আর্মি-জান্তা সংঘাত: রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও প্রত্যাবাসনে শঙ্কা

ইউএনএ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ১১:৩৭:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 18

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে সাম্প্রতিক সংঘাত ও সংঘর্ষে গুরুত্বপূর্ণ কিছু এলাকা এবং সীমান্ত চৌকি আরাকান আর্মির দখলে চলে গেছে। এর ফলে রাখাইনে বসবাসরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা ঝুঁকি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তাদের মধ্যে নতুন করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়াও বাধাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

রোহিঙ্গা অধিকারকর্মীদের মতে, মিয়ানমারের সামরিক সরকারের সীমিত দায়বদ্ধতা থাকলেও আরাকান আর্মির কর্মকাণ্ডে কোনো জবাবদিহিতা নেই। ২০১৭ সালের সেনা অভিযানের সময় যেমন রোহিঙ্গারা ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছিল, তেমনই আরাকান আর্মির হামলা, লুটপাট এবং সহিংসতাও তাদের অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছে। বর্তমানে রাখাইনে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা আরাকান আর্মির নির্যাতনের শিকার হয়ে মানবিক সংকটে দিন পার করছে।

বাংলাদেশের কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পে অবস্থানরত এক রোহিঙ্গা নেতা বলেন,আরাকান আর্মি আমাদের সম্পদ লুট করেছে এবং বারবার হামলা চালিয়েছে। আমরা ন্যায়বিচারের আশায় মিয়ানমার সরকারের কাছে গিয়েও কোনো সুরাহা পাইনি। বরং আরও বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছি।

তিনি আরও জানান,আমরা আমাদের মাতৃভূমিতে ফিরতে চাই, তবে এর জন্য নাগরিক অধিকার এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। ক্যাম্পে বন্দি জীবন কাটাতে আমরা আর রাজি নই। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাখাইনের চলমান সংঘাত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে। নিরাপত্তা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত না হলে রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফেরার বিষয়ে অনাগ্রহী থাকবে। বর্তমান পরিস্থিতি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে বড় বাধা হিসেবে দেখা দিচ্ছে।

 

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

রাখাইনে আরাকান আর্মি-জান্তা সংঘাত: রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও প্রত্যাবাসনে শঙ্কা

আপডেট: ১১:৩৭:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে সাম্প্রতিক সংঘাত ও সংঘর্ষে গুরুত্বপূর্ণ কিছু এলাকা এবং সীমান্ত চৌকি আরাকান আর্মির দখলে চলে গেছে। এর ফলে রাখাইনে বসবাসরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা ঝুঁকি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তাদের মধ্যে নতুন করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়াও বাধাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

রোহিঙ্গা অধিকারকর্মীদের মতে, মিয়ানমারের সামরিক সরকারের সীমিত দায়বদ্ধতা থাকলেও আরাকান আর্মির কর্মকাণ্ডে কোনো জবাবদিহিতা নেই। ২০১৭ সালের সেনা অভিযানের সময় যেমন রোহিঙ্গারা ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছিল, তেমনই আরাকান আর্মির হামলা, লুটপাট এবং সহিংসতাও তাদের অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছে। বর্তমানে রাখাইনে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা আরাকান আর্মির নির্যাতনের শিকার হয়ে মানবিক সংকটে দিন পার করছে।

বাংলাদেশের কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পে অবস্থানরত এক রোহিঙ্গা নেতা বলেন,আরাকান আর্মি আমাদের সম্পদ লুট করেছে এবং বারবার হামলা চালিয়েছে। আমরা ন্যায়বিচারের আশায় মিয়ানমার সরকারের কাছে গিয়েও কোনো সুরাহা পাইনি। বরং আরও বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছি।

তিনি আরও জানান,আমরা আমাদের মাতৃভূমিতে ফিরতে চাই, তবে এর জন্য নাগরিক অধিকার এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। ক্যাম্পে বন্দি জীবন কাটাতে আমরা আর রাজি নই। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাখাইনের চলমান সংঘাত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে। নিরাপত্তা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত না হলে রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফেরার বিষয়ে অনাগ্রহী থাকবে। বর্তমান পরিস্থিতি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে বড় বাধা হিসেবে দেখা দিচ্ছে।

 

শেয়ার করুন