রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচী পালিত

- আপডেট: ০৯:০৮:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪
- / 38
রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদমিনারে শিক্ষার্থীদের সাথে পেশাজীবি ও বিভিন্ন সংগঠন আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিকী চিত্র তুলে ধরেছে শিল্পী সমাজ। ছবি: আব্দুর রহমান /ইউএনএ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজকেও মাঠে নেমেছে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আজও মাঠে নেমেছে পেশাজীবি ও বিভিন্ন সংগঠন।
রাজধানীর সায়েন্সল্যাবে গণমিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তুলেন। সে সময় পাশে সতর্ক অবস্থানে ছিলো বিপুলসংখ্যক পুলিশ।
শুক্রবার (২ আগস্ট) জুমার নামাজের পর তারা দোয়া মোনাজাত করেই মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি বায়তুল মামুর জামে মসজিদের সামনের রাস্তা থেকে শুরু হয়। পরে টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সামনে হয়ে সায়েন্সল্যাব মোড়ে যায়। এ সময় কিছুক্ষণ স্লোগান দেন তারা। এরপর মিছিল নিয়ে বাটা সিগন্যালের দিকে যায়। পরে মিছিলটি বাটা সিগন্যাল হয়ে আবারও সায়েন্সল্যাব মোড়ে আসে এবং সেখানে অবস্থান করে শিক্ষার্থীরা।

এছাড়া আজ শুক্রবার (০২ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দ্রোহযাত্রা নিয়ে আসে শিক্ষার্থী, জনতাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
আগামী রোববার (৪ আগস্ট) এর মধ্যে গণগ্রেপ্তার বন্ধ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, আটক শিক্ষার্থী-জনতার মুক্তি, কারফিউ প্রত্যাহার, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া ও অসংখ্য শিক্ষার্থী জনতাকে হত্যার দায়ে বর্তমান সরকারের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থী-জনতা ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। দাবি মানা না হলে রোববার বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে গণমিছিল করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি বলেন, আগামী রোববারের মধ্যে কারফিউ প্রত্যাহার করতে হবে, সব গ্রেপ্তারদের মুক্তি দিতে হবে, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে, বর্তমান সরকারকে শিক্ষার্থী-জনতা হত্যার দায়ে পদত্যাগ করতে হবে। এই দাবিগুলো যদি রোববারের মধ্যে পূরণ না করা হয় তাহলে সেদিন বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে গণমিছিল শুরু হবে।
এর আগে গণগ্রেপ্তার বন্ধ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, আটক শিক্ষার্থী-জনতার মুক্তি, কারফিউ প্রত্যাহার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া ও অসংখ্য শিক্ষার্থী জনতাকে হত্যার দায়ে বর্তমান সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আয়োজিত দ্রোহযাত্রা জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এসে পৌঁছায়।
এরপর থেকে ভেঙে ভেঙে অনেকে মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে আসতে থাকেন শিক্ষার্থী, সাধারণ জনতার পাশাপাশি সংস্কৃতিকর্মী,শিক্ষক,মানবাধিকারকর্মী সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের অংশগ্রহণে শহীদ মিনার জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

এইদিকে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে রাজধানীর উওরায়।আজ বিকালে উত্তরায় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আজ গণমিছিল কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল সাধারণত ছাত্ররা। তাদের এই কর্মসূচি সামনে রেখে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের জমজম টাওয়ারের সামনে অবস্থান নেয়। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা মাইলস্টোন কলেজের সামনে অবস্থান নেয়।
বিকেল সোয়া চারটার পর আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা মাইলস্টোন কলেজের দিকে থাকা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেন। শিক্ষার্থীরাও পাল্টা ধাওয়া দেন। এ সময় পুলিশও শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয় এবং সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।