০১:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে অপরিশোধিত তেলের আমদানি বাড়িয়েছে ভারত

ইউএনএ নিউজ
  • আপডেট: ০৮:২৫:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
  • / 13

প্রতিকী ছবি 

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের তীব্রতা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহে বড় ধরনের বিঘ্নের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশ্ববাজারে অস্থিরতা সত্ত্বেও, ঘরোয়া বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখতে এবং ভবিষ্যতের চাহিদা মাথায় রেখে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে অপরিশোধিত তেলের আমদানি বাড়িয়েছে ভারত।

ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১২ দিনের পাল্টাপাল্টি হামলার পর শেষমেশ যুদ্ধবিরতিতে ইরান-ইসরায়েল রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তেলের বাজারে এর মধ্যে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছিল। এমনকি তেল বাণিজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পথ হরমুজ প্রণালি ইরান বন্ধ করে দেবে, এমন হুমকি দিয়েছিল। এ বাস্তবতায় রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে তেল আমদানি বৃদ্ধি করে ভারত।

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশও। সামগ্রিকভাবে এই যুদ্ধ পরিস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বহুমুখী নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে তাৎক্ষণিক হবে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং সে কারণে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতির চাপ। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে; বেড়ে যাবে শিল্পের খরচ। এছাড়া বাণিজ্যের ব্যয় বেড়ে যাওয়া, প্রবাসী আয় কমে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানির অস্থিরতা মোকাবিলায় বাংলাদেশের জ্বালানি সরবরাহব্যবস্থাকে আরও টেকসই ও বহুমুখী করতে হবে। বিকল্প জ্বালানি উৎস যেমন এলএনজি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি বা বিকল্প উৎস থেকে আমদানির দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। একইসঙ্গে অভ্যন্তরীণ ব্যবহারে সাশ্রয়ী ও পরিকল্পিত খরচ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে জ্বালানির দামে হঠাৎ কোনো পরিবর্তন দেশের অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা না দেয়।

আগাম ঝুঁকি বিবেচনা করে বিকল্প উৎস থেকে মজুত বাড়ানোর পরিকল্পনা আগেই করে রেখেছিল ভারত সরকার। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানির পরিমাণ জুন মাসে সৌদি আরব ও ইরাক থেকে সম্মিলিত আমদানিও ছাড়িয়ে গেছে।

বিশ্ববাণিজ্য বিশ্লেষক সংস্থা কেপলারের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, জুন মাসে ভারতীয় রিফাইনারিগুলো প্রতিদিন ২০ থেকে ২২ লাখ ব্যারেল রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে, যা গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে অপরিশোধিত তেলের আমদানি বাড়িয়েছে ভারত

আপডেট: ০৮:২৫:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

প্রতিকী ছবি 

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের তীব্রতা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহে বড় ধরনের বিঘ্নের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশ্ববাজারে অস্থিরতা সত্ত্বেও, ঘরোয়া বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখতে এবং ভবিষ্যতের চাহিদা মাথায় রেখে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে অপরিশোধিত তেলের আমদানি বাড়িয়েছে ভারত।

ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১২ দিনের পাল্টাপাল্টি হামলার পর শেষমেশ যুদ্ধবিরতিতে ইরান-ইসরায়েল রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তেলের বাজারে এর মধ্যে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছিল। এমনকি তেল বাণিজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পথ হরমুজ প্রণালি ইরান বন্ধ করে দেবে, এমন হুমকি দিয়েছিল। এ বাস্তবতায় রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে তেল আমদানি বৃদ্ধি করে ভারত।

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশও। সামগ্রিকভাবে এই যুদ্ধ পরিস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বহুমুখী নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে তাৎক্ষণিক হবে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং সে কারণে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতির চাপ। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে; বেড়ে যাবে শিল্পের খরচ। এছাড়া বাণিজ্যের ব্যয় বেড়ে যাওয়া, প্রবাসী আয় কমে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানির অস্থিরতা মোকাবিলায় বাংলাদেশের জ্বালানি সরবরাহব্যবস্থাকে আরও টেকসই ও বহুমুখী করতে হবে। বিকল্প জ্বালানি উৎস যেমন এলএনজি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি বা বিকল্প উৎস থেকে আমদানির দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। একইসঙ্গে অভ্যন্তরীণ ব্যবহারে সাশ্রয়ী ও পরিকল্পিত খরচ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে জ্বালানির দামে হঠাৎ কোনো পরিবর্তন দেশের অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা না দেয়।

আগাম ঝুঁকি বিবেচনা করে বিকল্প উৎস থেকে মজুত বাড়ানোর পরিকল্পনা আগেই করে রেখেছিল ভারত সরকার। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানির পরিমাণ জুন মাসে সৌদি আরব ও ইরাক থেকে সম্মিলিত আমদানিও ছাড়িয়ে গেছে।

বিশ্ববাণিজ্য বিশ্লেষক সংস্থা কেপলারের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, জুন মাসে ভারতীয় রিফাইনারিগুলো প্রতিদিন ২০ থেকে ২২ লাখ ব্যারেল রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে, যা গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

শেয়ার করুন