০৪:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

রিজার্ভের পরিমাণ দেশে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে

ইউএনএ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৭:৪৮:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 12

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দীর্ঘ সময় পর আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বিপিএম-৬ অনুযায়ী এটি ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। তবে নেট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (এনআইআর) বা ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ এখনও ১৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে রয়েছে।

২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থপাচার ও আর্থিক অনিয়মের কারণে এটি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৪.৭৫ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী ১৯.২০ বিলিয়ন ডলার।

রিজার্ভের আরও একটি হিসাব বাংলাদেশ ব্যাংক আইএমএফকে সরবরাহ করলেও তা প্রকাশ করে না। এই হিসাব অনুযায়ী, এনআইআর বর্তমানে ১৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি, যা মাসিক ৫.৫ বিলিয়ন ডলারের আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত নয়। সাধারণত একটি দেশের কমপক্ষে তিন মাসের আমদানির খরচের সমপরিমাণ রিজার্ভ থাকা প্রয়োজন।

এ বছরের জুলাই মাসে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও সংঘাতের কারণে প্রবাসী আয় কমে যায়। জুলাই মাসে রেমিট্যান্স ১৯০ কোটি ডলারে নেমে আসে, যা ছিল ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। তবে নতুন সরকারের কার্যক্রমের ফলে প্রবাসীদের মধ্যে বৈধ পথে অর্থ পাঠানোর প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। নভেম্বর মাসে রেমিট্যান্স বেড়ে ২২০ কোটি ডলারে পৌঁছে। অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) রেমিট্যান্স ধারাবাহিকভাবে ২ বিলিয়ন ডলারের ওপরে ছিল।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ একটি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার গুরুত্বপূর্ণ সূচক। যথাযথ নীতিমালা ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে এটি আরও শক্তিশালী করা সম্ভব।

 

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

রিজার্ভের পরিমাণ দেশে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে

আপডেট: ০৭:৪৮:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দীর্ঘ সময় পর আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বিপিএম-৬ অনুযায়ী এটি ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। তবে নেট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (এনআইআর) বা ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ এখনও ১৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে রয়েছে।

২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থপাচার ও আর্থিক অনিয়মের কারণে এটি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৪.৭৫ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী ১৯.২০ বিলিয়ন ডলার।

রিজার্ভের আরও একটি হিসাব বাংলাদেশ ব্যাংক আইএমএফকে সরবরাহ করলেও তা প্রকাশ করে না। এই হিসাব অনুযায়ী, এনআইআর বর্তমানে ১৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি, যা মাসিক ৫.৫ বিলিয়ন ডলারের আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত নয়। সাধারণত একটি দেশের কমপক্ষে তিন মাসের আমদানির খরচের সমপরিমাণ রিজার্ভ থাকা প্রয়োজন।

এ বছরের জুলাই মাসে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও সংঘাতের কারণে প্রবাসী আয় কমে যায়। জুলাই মাসে রেমিট্যান্স ১৯০ কোটি ডলারে নেমে আসে, যা ছিল ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। তবে নতুন সরকারের কার্যক্রমের ফলে প্রবাসীদের মধ্যে বৈধ পথে অর্থ পাঠানোর প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। নভেম্বর মাসে রেমিট্যান্স বেড়ে ২২০ কোটি ডলারে পৌঁছে। অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) রেমিট্যান্স ধারাবাহিকভাবে ২ বিলিয়ন ডলারের ওপরে ছিল।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ একটি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার গুরুত্বপূর্ণ সূচক। যথাযথ নীতিমালা ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে এটি আরও শক্তিশালী করা সম্ভব।

 

শেয়ার করুন