রোমাঞ্চকর সুপার ওভারে পাকিস্তানকে হারিয়ে অঘটনের জন্ম দিলো যুক্তরাষ্ট্র

- আপডেট: ০৭:৪৭:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪
- / 25
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে সুপার ওভারে জয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রের খেলোয়াড়দের উদযাপন। ছবি: সংগৃহীত
টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসরে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র ভালোই জানান দিচ্ছে নিজেদের শক্তিমত্তা।এবারের আসরে দ্বিতীয় সুপার ওভার গড়ানো রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে সাবেক টি-২০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানকে হারিয়ে অঘটনের জন্ম দিলো যুক্তরাষ্ট্র।টি-২০ বিশ্বকাপের একই আসরে দু’বার সুপার ওভার হওয়াটা ছিলো বিরল ঘটনা।
পাকিস্তানের দেয়া ১৬০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামা স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের চার বিশ্বমানের পেস বোলারদের সামলিয়ে ম্যাচে ভালো ভাবে জবাব দিচ্ছিলো।শেষ ওভারে যুক্তরাষ্ট্রের ১৫ রানের সমীকরন মিলানো কিছুটা অসম্ভব হয়ে পরে।কিন্তু অ্যারন জোন্স ও নীতিশ কুমার দুর্দান্ত ব্যাটিং করে হারা ম্যাচটি সুপার ওভারে নিয়ে যায়।
সুপার ওভারে ম্যাচ জয় করতে মরিয়া পাকিস্তান তাদের বেষ্ট বোলার আমিরের হাতে বল তুলে দেন।ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি খেলেও ওভারের বাকী বল গুলোতে কোন বাউন্ডারি আসেনি।তারপরেও সুপার ওভারের রেকর্ড ৮টি অতিরিক্ত রানের ফলে যুক্তরাষ্ট্র ১৮ রানের পুঁজি তুলে।যার মধ্যে ১০ রান আসে ব্যাট থেকে।
ম্যাচ জিততে সুপার ওভারে ৬ বলে ১৯ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান মাত্র ১ উইকেটে হারিয়ে ১৩ রান তুলতে সক্ষম হয়।পাকিস্তানের হয়ে সুপার ওভারে ব্যাট করতে আসা ফখর জামান,ইফতেখার ও শাদাব খান কেউই ম্যাচ বের করতে পারেনি।কানাডার পর সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপের সুপার এইটে যাওয়া অনেকটা সহজ হয়ে গেল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য।
এর আগে মূল ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র।টস জিতে বোলিং নেওয়াটা যুক্তরাষ্ট্রের বোলাররা ভালোভাবে বুঝিয়ে দিলো পাকিস্তানকে।পাওয়ারপ্লের প্রথম ৬ ওভারে মাত্র ৩০ রানের পাকিস্তানের ৩ জন টপ অর্ডারকে তুলে নেয় যুক্তরাষ্ট্র।ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানকে ৭২ রানের জুটিতে প্রাথমিক চাপ সামাল দেন বাবর আজম ও শাদাব।ইনিংসের ১৩ তম ওভারে দলীয় ৯৮ রানে শাদাব আউট হলে বড় স্কোর করার কিছুটা আশঙ্কায় পরে পাকিস্তান। শাদাব ৩ ছয় ও ১ চারে ২৫ বলে ৪০ রান করে।এরপরের বলে আজম খানকে ০ রানে আউট করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি করে কেনিজিগে।রানের গতি ধরে রাখা অধিনায়ক বাবর ৪৩ বলে ৪৪ রান করে দলীয় ১২৬ রানে আউট হন। শেষ দিকে শাহীন আফ্রিদির ১৬ বলে ২৩ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করে পাকিস্তান।যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার নোশতুশ কেনিজিগে, বাঁহাতি পেসার সৌরভ নেত্রভালকারের শিকার ২ উইকেট।
১৬০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামা যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের বিশ্বমানের টপ বোলারদের ভালভাবে জবাব দিচ্ছিলো। দলীয় ৩৬ রানে স্টেভেন টেলর আউট হলেও স্বাভাবিক ব্যাটিংয়ে রান তোলছিলো অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল ও গিউস।দলীয় ১০৪ ও ১১১ রানে মোনাঙ্ক ও গিউস আউট হলে শেষ দিকে ম্যাচ বের করাটা আরও কঠিন হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রের। শেষ ওভারে জোন্স ও নীতিশের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ম্যাচ টাই করে যুক্তরাষ্ট্র। এই হারে পাকিস্তানের জন্য সুপার এইটে যাওয়া অনেকটা কঠিন হলেও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খানিকটা সহজ।