০৩:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

লজ্জার রেকর্ডে হার দিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপ শুরু শ্রীলংকার

জাহিদ হাসান
  • আপডেট: ০৬:১১:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪
  • / 19

মাত্র ৭ রানে ৪ উইকেট নেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ জয়ের নায়ক অ্যানরিখ নর্কিয়ে উইকেট পাওয়ার পর সতীর্থের সাথে উদযাপন। ছবি: সংগৃহীত 

সংক্ষিপ্ত স্কোর: শ্রীলঙ্কা: কুশাল মেন্ডিস ১৯, ম্যাথিউস ১৬,কামিন্দো ১১; নর্কিয়া ৪/৭,রাবাদা ২/২১,মহারাজ ২/২২; দক্ষিন আফ্রিকা: ডি-কক ২০, ক্লাসেন ১৯;  শানাকা ১/৬, হাসারাঙ্গা ২/২২


টি-২০ বিশ্বকাপের শুরুটা যে এতবাজে ভাবে হারতে হবে তা হয়তো ভাবেনি শ্রীলঙ্কা।দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ৭৭ রানে অলআউট হয় ২০১৪ টি-২০ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা।নিজেদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসের এটি সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। এর আগে তাদের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ ছিল ৮২ রান ২০১৬ সালে ভারতের বিপক্ষে।তবে বিশ্বকাপে এটি সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ নয়। নেদারল্যান্ডসকে ৩৯ রানে অলআউট করেছিল ২০১৪ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা।দক্ষিণ আফ্রিকা ২২ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জিতলেও তাদের জন্য জিতাটাও এত সহজ ছিলোনা। দু’দলের ব্যাটিংয়ে যতটা না বাজে পারফরম্যান্স হয়েছে তার চেয়ে বাজে পারফরম্যান্স ছিলো পিচের প্রশ্নবিদ্ধ আচরন,তা দু’দলের ইনিংসে ফুটর উঠেছে।ধীর গতির উইকেটে কখনো অসমান বাউন্স,অসামঞ্জস্য সুইং,আর মন্থর আউট ফিল্ড,সব মিলিয়ে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়াম টি-২০ আকর্ষন পূরন করতে পারেনি।

নিজেদের বিশ্বকাপ যাত্রার শুরুর ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে লঙ্কানরা।ম্যাচের শুরুতে ব্যাট বলে সামঞ্জস্য করতে পারছিলোনা লঙ্কান দু’ওপেনার নিশাঙ্কা ও কুশাল মেন্ডিস।পিচে বল ধীরগতিতে আসা ও এলোমেলো বাউন্সে পরাস্ত হচ্ছিলো বারবার।মন্থর পিচকে কাজে লাগাতে বেশি দেরি হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার।ইনিংসের ৩.১ ওভারে দলীয় ১৩ রানে নিশাঙ্কাকে ফেরান বার্টম্যান। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে মন্থর গতির পিচে লঙ্কানদের রান দাঁড়য় মাত্র ২৪।ইনিংসের ৮তম ওভারে দলীয় ৩১ রানে কামিন্দোকে ফেরান এনরিক নর্কিয়া।এর পরের ওভারে স্পিনার মহারাজ দলীয় ৩২ রানে অধিনায়ক হাসারাঙ্গা ও সামারাবিক্রমার উইকেট তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করে। ততক্ষণে লঙ্কানদের ইনিংস তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে পড়ছে।এরপরে লঙ্কানদের ইনিংস দাঁড় করানোর চেষ্টা করা কুশল মেন্ডিসকে ব্যাক্তিগত ১৯ রানে ফেরান নর্কিয়া। অর্ধশত পূরনের আগে ৬ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা ১৯.১ ওভারে ৭৭ রানে অল আউট হয়ে যায়।যা নিজেদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন স্কোর।দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন নর্কিয়া, রাবাদা ও মহারাজ ২ উইকেট নেন,আর বার্টম্যান নেন ১টি।

নর্কিয়া ৪ ওভারে মাত্র ৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ১.৭৫ ইকোনমিতে টি-২০ ইতিহাসের সেরা ইকোনমিকেল বলার হওয়ার রেকর্ড গড়লেন।এর আগে রেকর্ডটি ছিল শ্রীলঙ্কার বৈচিত্র্যময় স্পিনার অজন্তা মেন্ডিসের।২০১২ সালে হাম্বানটোটায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২.০ ইকোনমিতে বোলিং করেছিলেন মেন্ডিস।

৭৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য জয়টা তেমন সহজ ছিলোনা।ইনিংসের শুরুতে দলীয় ১০ রানে রেজা হেনরিক্সকে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। লঙ্কানদের মত তাদেরও পাওয়ারপ্লেতে রান তোলার অবস্থা তেমন ভালো ছিলোনা।৬ ওভার শেষে মাত্র ২৭ রান তোলে ২ উইকেট হারিয়ে। দেখেশোনে খেলা ডি-ককও ব্যাক্তিগত ২০ রান করে হাসারাঙার বলে তাকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান প্যাভিলিয়ানে।

এরপরেই হাসারাঙ্গা ১৩তম ওভারে দলীয় ৫৮ রানে স্টাবসের  উইকেট নিলে কিছুটা চাপে পড়ে দক্ষিন আফিকা।এরপর অবশ্য ক্লাসেন ও মিলার দক্ষিন আফ্রিকাকে ২২ বল বাকী থাকতে ৬ উইকেটের  জয় নিশ্চিত করে ফিরে।ক্লাসেন ১ছয় ও ১ চারে ২২ বলে ১৯ রান করেন।লঙ্কানদের হয়ে হাসারাঙ্গা ২টি ও থুসারা ও শানাকা ১টি করে উইকেট নেন।

এই জয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে ডি-গ্রুপের শীর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডি-গ্রুপের তাদের অন্যান্য প্রতিপক্ষ হলো বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল।

শেয়ার করুন
ট্যাগ :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

লজ্জার রেকর্ডে হার দিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপ শুরু শ্রীলংকার

আপডেট: ০৬:১১:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪

মাত্র ৭ রানে ৪ উইকেট নেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ জয়ের নায়ক অ্যানরিখ নর্কিয়ে উইকেট পাওয়ার পর সতীর্থের সাথে উদযাপন। ছবি: সংগৃহীত 

সংক্ষিপ্ত স্কোর: শ্রীলঙ্কা: কুশাল মেন্ডিস ১৯, ম্যাথিউস ১৬,কামিন্দো ১১; নর্কিয়া ৪/৭,রাবাদা ২/২১,মহারাজ ২/২২; দক্ষিন আফ্রিকা: ডি-কক ২০, ক্লাসেন ১৯;  শানাকা ১/৬, হাসারাঙ্গা ২/২২


টি-২০ বিশ্বকাপের শুরুটা যে এতবাজে ভাবে হারতে হবে তা হয়তো ভাবেনি শ্রীলঙ্কা।দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ৭৭ রানে অলআউট হয় ২০১৪ টি-২০ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা।নিজেদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসের এটি সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। এর আগে তাদের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ ছিল ৮২ রান ২০১৬ সালে ভারতের বিপক্ষে।তবে বিশ্বকাপে এটি সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ নয়। নেদারল্যান্ডসকে ৩৯ রানে অলআউট করেছিল ২০১৪ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা।দক্ষিণ আফ্রিকা ২২ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জিতলেও তাদের জন্য জিতাটাও এত সহজ ছিলোনা। দু’দলের ব্যাটিংয়ে যতটা না বাজে পারফরম্যান্স হয়েছে তার চেয়ে বাজে পারফরম্যান্স ছিলো পিচের প্রশ্নবিদ্ধ আচরন,তা দু’দলের ইনিংসে ফুটর উঠেছে।ধীর গতির উইকেটে কখনো অসমান বাউন্স,অসামঞ্জস্য সুইং,আর মন্থর আউট ফিল্ড,সব মিলিয়ে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়াম টি-২০ আকর্ষন পূরন করতে পারেনি।

নিজেদের বিশ্বকাপ যাত্রার শুরুর ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে লঙ্কানরা।ম্যাচের শুরুতে ব্যাট বলে সামঞ্জস্য করতে পারছিলোনা লঙ্কান দু’ওপেনার নিশাঙ্কা ও কুশাল মেন্ডিস।পিচে বল ধীরগতিতে আসা ও এলোমেলো বাউন্সে পরাস্ত হচ্ছিলো বারবার।মন্থর পিচকে কাজে লাগাতে বেশি দেরি হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার।ইনিংসের ৩.১ ওভারে দলীয় ১৩ রানে নিশাঙ্কাকে ফেরান বার্টম্যান। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে মন্থর গতির পিচে লঙ্কানদের রান দাঁড়য় মাত্র ২৪।ইনিংসের ৮তম ওভারে দলীয় ৩১ রানে কামিন্দোকে ফেরান এনরিক নর্কিয়া।এর পরের ওভারে স্পিনার মহারাজ দলীয় ৩২ রানে অধিনায়ক হাসারাঙ্গা ও সামারাবিক্রমার উইকেট তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করে। ততক্ষণে লঙ্কানদের ইনিংস তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে পড়ছে।এরপরে লঙ্কানদের ইনিংস দাঁড় করানোর চেষ্টা করা কুশল মেন্ডিসকে ব্যাক্তিগত ১৯ রানে ফেরান নর্কিয়া। অর্ধশত পূরনের আগে ৬ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা ১৯.১ ওভারে ৭৭ রানে অল আউট হয়ে যায়।যা নিজেদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন স্কোর।দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন নর্কিয়া, রাবাদা ও মহারাজ ২ উইকেট নেন,আর বার্টম্যান নেন ১টি।

নর্কিয়া ৪ ওভারে মাত্র ৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ১.৭৫ ইকোনমিতে টি-২০ ইতিহাসের সেরা ইকোনমিকেল বলার হওয়ার রেকর্ড গড়লেন।এর আগে রেকর্ডটি ছিল শ্রীলঙ্কার বৈচিত্র্যময় স্পিনার অজন্তা মেন্ডিসের।২০১২ সালে হাম্বানটোটায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২.০ ইকোনমিতে বোলিং করেছিলেন মেন্ডিস।

৭৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য জয়টা তেমন সহজ ছিলোনা।ইনিংসের শুরুতে দলীয় ১০ রানে রেজা হেনরিক্সকে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। লঙ্কানদের মত তাদেরও পাওয়ারপ্লেতে রান তোলার অবস্থা তেমন ভালো ছিলোনা।৬ ওভার শেষে মাত্র ২৭ রান তোলে ২ উইকেট হারিয়ে। দেখেশোনে খেলা ডি-ককও ব্যাক্তিগত ২০ রান করে হাসারাঙার বলে তাকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান প্যাভিলিয়ানে।

এরপরেই হাসারাঙ্গা ১৩তম ওভারে দলীয় ৫৮ রানে স্টাবসের  উইকেট নিলে কিছুটা চাপে পড়ে দক্ষিন আফিকা।এরপর অবশ্য ক্লাসেন ও মিলার দক্ষিন আফ্রিকাকে ২২ বল বাকী থাকতে ৬ উইকেটের  জয় নিশ্চিত করে ফিরে।ক্লাসেন ১ছয় ও ১ চারে ২২ বলে ১৯ রান করেন।লঙ্কানদের হয়ে হাসারাঙ্গা ২টি ও থুসারা ও শানাকা ১টি করে উইকেট নেন।

এই জয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে ডি-গ্রুপের শীর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডি-গ্রুপের তাদের অন্যান্য প্রতিপক্ষ হলো বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল।

শেয়ার করুন