শুক্রবারও চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা বন্ধ ছিল

- আপডেট: ০২:৪০:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
- / 3
বুধবার সকাল থেকে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে অচলাবস্থা চলছে -ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসক-কর্মচারীদের সঙ্গে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের সংঘর্ষের জেরে শুক্রবার তৃতীয় দিনও চিকিৎসাসেবা বন্ধ ছিল। বুধবার সকাল থেকে হাসপাতালে এই অচলাবস্থা চলছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিরাপত্তার অভাবে চিকিৎসকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে ফিরছেন না। তাছাড়া আহতরা বাসা-বাড়িতে হামলার পরিকল্পনা করছে-এমন গুঞ্জনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন হাসপাতালটির চিকিৎসকরা। চিকিৎসাসেবা কখন চালু হবে, সে বিষয়ে কিছু বলতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে হাসপাতাল পরিচালক অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরীর কক্ষে ভাঙচুরের পর চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলা করে আহতদের একাংশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী চিকিৎসকরা কর্মবিরতি শুরু করলে সেখানেও হামলা করা হয়। পরে সংঘর্ষে ৯ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী আহত হন।
বুধবারের সংঘর্ষের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনেক সাধারণ রোগী ইতোমধ্যে অন্যত্র চলে গেছেন। তবে জুলাই আহতদের কেউ হাসপাতাল ছেড়ে যাননি।
শুক্রবার সকালে সরেজমিন দেখা যায়, হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক ও নার্স নেই। বিভিন্ন স্থান থেকে আসা নতুন রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে ফেরত যাচ্ছেন। আগে যেসব রোগী এখান থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন, তাদের অনেকে ফলোআপের জন্য এসে তা না পেয়ে ফিরে যান।
এদিকে হাসপাতালে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে পুলিশ সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুধবারের পর আর কোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেনি। নির্দেশনা অনুযায়ী তারা হাসপাতালে অবস্থান করবেন। হাসপাতালে দায়িত্বরত সহকারী আনসার কমান্ডার অমৃত বালা বলেন, এখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। কবে হাসপাতালে চিকিৎসক ও কর্মচারীরা আসবেন। তা তারা জানেন না।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জানে আলম বলেন, হাসপাতাল বন্ধ। কোনো চিকিৎসক ও কর্মচারী প্রবেশ করতে পারছেন না। কবে নাগাদ পুনরায় সেবা চালু হবে সেটা জানা নেই। হাসপাতালে কোনো রোগীর অবস্থানের তথ্যও আমার কাছে নেই।
প্রসঙ্গত, নানা দাবিতে ২৫ মে হাসপাতাল পরিচালকের কক্ষে বিষপান করেন চার আহত তরুণ। এর রেশ না কাটতেই মঙ্গলবার পরিচালক অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরীকে অবরুদ্ধ করে গায়ে পেট্রল ও কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান তারা। পরদিন বুধবার চিকিৎসকদের ওপর হামলা হয়।
এসব ঘটনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালকের দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি। পরে তাকে সাত দিনের ছুটি দেওয়া হয়। তার স্থানে ডা. জানে আলমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।