০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫

শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতা মুক্তিযোদ্ধা : উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম

ইউএনএ প্রতিবেদক
  • আপডেট: ১২:৪৬:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • / 10

ছবি : সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতা মুক্তিযোদ্ধা বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম।

বুধবার সকালে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল যমুনাকে এ কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধ বিয়ষক উপদেষ্টা।

মুজিব নগর সরকারে যারা ছিলেন তারা মুক্তিযোদ্ধা; তবে ওই সরকারের কর্মকর্তা- কর্মচারী সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবে বলে জানান ফারুক-ই আজম।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদসহ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী চার শতাধিক রাজনীতিবিদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) সংশোধিত অধ্যাদেশ জারি করে। অধ্যাদেশে এসব নেতার পরিচয় ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়।

পরে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

জামুকার সংশোধিত অধ্যাদেশ অনুযায়ী, প্রবাসী মুজিবনগর সরকারের সদস্যরা হবেন ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগ থেকে এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এতে কারও নাম না থাকলেও নতুন সংজ্ঞা অনুযায়ী উল্লিখিত নেতাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল হয়ে গেছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

অধ্যাদেশ অনুযায়ী, শুধু মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারই নয়, আরও চার শ্রেণির স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

এই চার শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা হলেন প্রথমত, যেসব বাংলাদেশি পেশাজীবী বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশেষ অবদান রেখেছেন এবং বিশ্ব জনমত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।

দ্বিতীয়ত, যারা মুক্তিযুদ্ধকালীন গঠিত বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর) অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারী বা দূতসহ অন্যান্য সহকারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তৃতীয়ত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সব শিল্পী ও কলাকুশলী এবং দেশ ও দেশের বাইরে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে দায়িত্ব পালনকারী সব বাংলাদেশি সাংবাদিক। চতুর্থত, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল।

বাতিল হওয়া জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন ২০২২ অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুসহ প্রবাসী সরকারের এমএনএ বা এমপিএ এবং উল্লিখিত চার শ্রেণির সবাই বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃত ছিলেন। নতুন অধ্যাদেশে তাদের মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী করার ফলে তাদের বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিচিতি বাতিল হয়ে গেল।

শেয়ার করুন
ট্যাগ :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতা মুক্তিযোদ্ধা : উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম

আপডেট: ১২:৪৬:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

ছবি : সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতা মুক্তিযোদ্ধা বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম।

বুধবার সকালে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল যমুনাকে এ কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধ বিয়ষক উপদেষ্টা।

মুজিব নগর সরকারে যারা ছিলেন তারা মুক্তিযোদ্ধা; তবে ওই সরকারের কর্মকর্তা- কর্মচারী সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবে বলে জানান ফারুক-ই আজম।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদসহ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী চার শতাধিক রাজনীতিবিদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) সংশোধিত অধ্যাদেশ জারি করে। অধ্যাদেশে এসব নেতার পরিচয় ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়।

পরে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

জামুকার সংশোধিত অধ্যাদেশ অনুযায়ী, প্রবাসী মুজিবনগর সরকারের সদস্যরা হবেন ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগ থেকে এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এতে কারও নাম না থাকলেও নতুন সংজ্ঞা অনুযায়ী উল্লিখিত নেতাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল হয়ে গেছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

অধ্যাদেশ অনুযায়ী, শুধু মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারই নয়, আরও চার শ্রেণির স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

এই চার শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা হলেন প্রথমত, যেসব বাংলাদেশি পেশাজীবী বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশেষ অবদান রেখেছেন এবং বিশ্ব জনমত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।

দ্বিতীয়ত, যারা মুক্তিযুদ্ধকালীন গঠিত বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর) অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারী বা দূতসহ অন্যান্য সহকারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তৃতীয়ত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সব শিল্পী ও কলাকুশলী এবং দেশ ও দেশের বাইরে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে দায়িত্ব পালনকারী সব বাংলাদেশি সাংবাদিক। চতুর্থত, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল।

বাতিল হওয়া জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন ২০২২ অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুসহ প্রবাসী সরকারের এমএনএ বা এমপিএ এবং উল্লিখিত চার শ্রেণির সবাই বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃত ছিলেন। নতুন অধ্যাদেশে তাদের মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী করার ফলে তাদের বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিচিতি বাতিল হয়ে গেল।

শেয়ার করুন