টিউলিপের ব্যাপারে নতুন সিদ্ধান্ত
শেখ হাসিনাকে ফেরাতে কাজ করছে দুদক

- আপডেট: ০৯:৪৭:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
- / 2
শেখ হাসিনা, টিউলিপ ও দুদক চেয়ারম্যানের ব্রিফ- ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ভারতের সঙ্গে করা চুক্তির মাধ্যমেই শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন। সে ব্যাপারে দুদক কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক নির্ধারিত তারিখে হাজির না হওয়ায় তার ব্যাপারে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি। তাকে দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান।
বুধবার (১৪ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দুদক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে একাধিক মামলা হয়েছে। এছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার ও জালিয়াতি করে রাজউকের আবাসন প্রকল্পে ১০ কাঠা করে ৬০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা করেছে দুদক।
গত ২৩ এপ্রিল দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ভাগনি ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিককে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছিল দুদক।
শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ভারতের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি হয়েছিল ২০১১ সালে। সে চুক্তির আওতায় তাকে ফেরত আনা সম্ভব। আমরা আদালতের আদেশ অনুযায়ী কাজ করব।
টিউলিপের ব্যাপারে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, টিউলিপ সিদ্দিক হাজির না হওয়ায় আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ হারিয়েছেন। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ নিয়ম অনুযায়ী সবাই পেয়ে থাকেন। কেউ উপস্থিত না হলে আন্তর্জাতিকভাবে যেটি প্রযোজ্য, সেটি অনুসরণ করা হবে।
ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেন, যদি আমরা স্বাভাবিকভাবে তাকে না পাই কিংবা তিনি যদি বিদেশি নাগরিক হন অথবা পলাতক থাকেন তাহলে অবশ্যই তাকে ‘অ্যাবস্কন্ডিং’ [পলাতক] হিসেবে বিবেচনা করব।
সাবেক ব্রিটিশ এই প্রতিমন্ত্রী দেশে ফেরানোর বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, সে ক্ষেত্রে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারকে জানানো হবে। এরপর পদ্ধতিগতভাবে তাকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চালানো হবে।
এর আগে টিউলিপের বিরুদ্ধে রাজধানীর পূর্বাচলে প্লট পাওয়া এবং গুলশানে একটি ফ্ল্যাট দখলের অভিযোগে মামলা করে দুদক। মামলার এজাহারে বলা হয়, কোনো টাকা পরিশোধ না করেই টিউলিপ সিদ্দিক ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের কাছ থেকে অবৈধ পারিতোষিক হিসেবে গুলশান-২ এর একটি ফ্ল্যাট গ্রহণ করেন।
বুধবার সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য টিউলিপকে তলব করেছিল দুদক। তিনি না আসায় তাকে অনুপস্থিত হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। সে হিসেবেই দুদক পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান।