শেয়ারবাজারে কারসাজির দায়ে সাকিবকে বড় অঙ্কের জরিমানা

- আপডেট: ০৩:০১:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
- / 4
সাকিব আল হাসান-ফাইল ছবি
বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক ও তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে শেয়ারবাজারে কারসাজির দায়ে ২ কোটি ২৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
এপ্রিলে প্রকাশিত বিএসইসি’র এনফোর্সমেন্ট অ্যাকশন রিপোর্ট অনুযায়ী, সোনালী পেপারের শেয়ারদর নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে কারসাজি করায় সাকিবসহ ১৩ জনকে মোট ২৯ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন আবুল খায়ের (হিরু নামেও পরিচিত), কাজী সাদিয়া হাসান, আবুল কালাম মাতব্বর, ডিআইটি কো-অপারেটিভ, কাজী ফারিদ হাসান, কাজী ফুয়াদ হাসান, কনিকা আফরোজ, সাজেদ মাতব্বর, মোহাম্মদ বশর, মোনার্ক হোল্ডিংস, মোনার্ক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস, সফটঅ্যাভিয়ন এবং জাভেদ এ মতিন।
বিএসইসি জানায়, ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ অক্টোবর এবং ১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দুটি সময়ে এই কারসাজি হয়। ওই সময় সোনালী পেপারের শেয়ারদর ১২৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৯৫৭ টাকা ৭০ পয়সা।
প্রতারণার মাধ্যমে এই সিন্ডিকেট প্রায় ৩৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা মুনাফা তোলে। পাশাপাশি আরও প্রায় ৫৫ কোটি টাকার সম্ভাব্য মুনাফা অমূল্যায়িত অবস্থায় ছিল। বিএসইসির তদন্তে প্রমাণ মেলে, অভিযুক্তরা একটি সিন্ডিকেট গড়ে কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দাম বাড়িয়েছে। এতে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন হয়েছে।
কমিশনে দেওয়া এক লিখিত বক্তব্যে আবুল খায়ের সাকিবের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য। এটি ইচ্ছাকৃত নয় অজ্ঞতা থেকেই হয়েছে। ভবিষ্যতে আমি আরও সচেতন থাকব।
শুধু সোনালী পেপার নয় এপ্রিলে বিএসইসি চারটি কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজির দায়ে মোট ২৪ ব্যক্তিকে ৫৪ কোটি টাকা জরিমানা করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি সায়েদুর রহমান ও তার সহযোগীরা সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজির দায়ে ১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা জরিমানা গুনেছেন। নূরজাহান বেগম ও তার সহযোগীদের জরিমানা করা হয়েছে ৭৬ লাখ টাকা।
জেমিনি সি ফুডের শেয়ার নিয়ে কারসাজির দায়ে ৫ জনকে ৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া আবুল খায়ের ও তার সহযোগীদের আরও ১৯ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজির জন্য।
এ ব্যাপারে সায়েদুর রহমান বৃহস্পতিবার বলেন, এ ঘটনা ২০২৩ সালের। আমি ৫দিনে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৪ লাখ শেয়ার কিনেছি। আমার স্ত্রী ৪দিনে ২ লাখ ৫০ শেয়ার কিনেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো শেয়ার বিক্রি করিনি। ওই সময়ে ৭০ টাকায় কিনেছিলাম। বর্তমানে তা ৫০ টাকার নিচে।
তিনি বলেন, এই কোম্পানির মোট শেয়ার ৪ কোটি ৭৫ লাখ। সেক্ষেত্রে আমার পরিবারের কাছে থাকা ৯ লাখ শেয়ার, মোট শেয়ারের ১ শতাংশ কিছুটা বেশি। এই পরিমাণ শেয়ার দিয়ে সিরিয়াল ট্রেডিং হয় কীভাবে?