০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

সীমান্তে হাতি তাড়ানো সোলার ফেন্সিং কাজে আসছে না গ্রামবাসীদের

খোরশেদ আলম, শেরপুর
  • আপডেট: ১০:৪৫:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪
  • / 53

শেরপুরের সীমান্তে হাতি তাড়ানোর সোলার ফেন্সিং কাজে আসছে না গ্রামবাসীদের। ফলে থেকেই গেল বন্য হাতির তান্ডবে গ্রামবাসীদের দুঃখ-দুর্দশা। গত প্রায় ২ যুগ ধরে সীমান্তবর্তী শেরপুরের পাহাড়ি গ্রামবাসীরা বন্যহাতির তান্ডবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। উপর্যপুরি বন্যহাতির তান্ডবে জান-মাল ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়। ফলে নিদ্রাহীনভাবে রাত্রী যাপন করছেন পাহাড়ি গ্রামবাসীরা । বন্যহাতির কবল থেকে পাহাড়ী গ্রামবাসীদের জান-মাল রক্ষার্থে ২০১৬ সালে জেলার সীমান্তের ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার হাতি কবলিত পাহাড়ি গ্রামগুলোতে স্থাপন করা হয় সোলার ফেন্সিং(বৈদ্যুতিক তারের বেড়া)। যা দিয়ে হাতি আক্রান্ত হবে, কিন্তু মারা যাবে না। গারো পাহাড়ের ১৩কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এ সোলার ফেন্সিং স্থাপন করা হয়। এতে সরকারের ব্যয় হয় প্রায় ১কোটি টাকা। বন-বিভাগের বন্য প্রাণী অধিদপ্তরে তদারকিতে এ কাজটি সম্পন্ন করা হয়। গুরুচরণ দুধনই ৪.৫ কিলোমিটার, ছোট গজনী ৩ কিলোমিটার, বড় গজনী-হালচাটি ৩.৫ কিলোমিটার এবং নালিতাবাড়ীর মায়াগাছীতে ২কিলোমিটার এলাকার জুড়ে স্থাপন করা হয় সোলার ফেন্সিং। কিন্তু ঠিকাদার নিম্নমানের কাজ করায় নির্মান কাজ শেষ হতে না হতেই তা অকেজো হয়ে পড়ে। উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান নবেস খকশী ও কাংশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, ঠিকাদার কর্তৃক নিম্নমানের কাজ করায় নির্মান কাজ শেষ না হতেই তা অকেজো হয়ে পড়ে। ফলে হাতি তাড়ানোর ক্ষেত্রে তা গ্রামবাসীদের কোনই কাজে আসছে না। এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলার রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল করিমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গ্রামবাসীদের অসচেতনতা ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের তদারকীর অভাবে সোলার ফেন্সিং অকেজো হয়ে পরেছে। তিনি আরো বলেন, সোলার ফেন্সিং সচল করতে বন বিভাগের পক্ষ থেকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন
ট্যাগ :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

সীমান্তে হাতি তাড়ানো সোলার ফেন্সিং কাজে আসছে না গ্রামবাসীদের

আপডেট: ১০:৪৫:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪

শেরপুরের সীমান্তে হাতি তাড়ানোর সোলার ফেন্সিং কাজে আসছে না গ্রামবাসীদের। ফলে থেকেই গেল বন্য হাতির তান্ডবে গ্রামবাসীদের দুঃখ-দুর্দশা। গত প্রায় ২ যুগ ধরে সীমান্তবর্তী শেরপুরের পাহাড়ি গ্রামবাসীরা বন্যহাতির তান্ডবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। উপর্যপুরি বন্যহাতির তান্ডবে জান-মাল ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়। ফলে নিদ্রাহীনভাবে রাত্রী যাপন করছেন পাহাড়ি গ্রামবাসীরা । বন্যহাতির কবল থেকে পাহাড়ী গ্রামবাসীদের জান-মাল রক্ষার্থে ২০১৬ সালে জেলার সীমান্তের ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার হাতি কবলিত পাহাড়ি গ্রামগুলোতে স্থাপন করা হয় সোলার ফেন্সিং(বৈদ্যুতিক তারের বেড়া)। যা দিয়ে হাতি আক্রান্ত হবে, কিন্তু মারা যাবে না। গারো পাহাড়ের ১৩কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এ সোলার ফেন্সিং স্থাপন করা হয়। এতে সরকারের ব্যয় হয় প্রায় ১কোটি টাকা। বন-বিভাগের বন্য প্রাণী অধিদপ্তরে তদারকিতে এ কাজটি সম্পন্ন করা হয়। গুরুচরণ দুধনই ৪.৫ কিলোমিটার, ছোট গজনী ৩ কিলোমিটার, বড় গজনী-হালচাটি ৩.৫ কিলোমিটার এবং নালিতাবাড়ীর মায়াগাছীতে ২কিলোমিটার এলাকার জুড়ে স্থাপন করা হয় সোলার ফেন্সিং। কিন্তু ঠিকাদার নিম্নমানের কাজ করায় নির্মান কাজ শেষ হতে না হতেই তা অকেজো হয়ে পড়ে। উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান নবেস খকশী ও কাংশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, ঠিকাদার কর্তৃক নিম্নমানের কাজ করায় নির্মান কাজ শেষ না হতেই তা অকেজো হয়ে পড়ে। ফলে হাতি তাড়ানোর ক্ষেত্রে তা গ্রামবাসীদের কোনই কাজে আসছে না। এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলার রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল করিমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গ্রামবাসীদের অসচেতনতা ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের তদারকীর অভাবে সোলার ফেন্সিং অকেজো হয়ে পরেছে। তিনি আরো বলেন, সোলার ফেন্সিং সচল করতে বন বিভাগের পক্ষ থেকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন