সূর্যের দেখা মিলছেনা পঞ্চগড়ে, শীতের তিব্রতায় বিপর্যস্ত জনজীবন

- আপডেট: ১১:৩৯:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 16
ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেশিরভাগ সময় মিলছেনা সূর্যের আলো। হেড লাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলছে যানবাহন। ছবি : ইউএনএ
পঞ্চগড়ে তিনদিন ধরে হাঁড়কাপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। দিনের বেশিরভাগ সময়ে মিলছেনা সূর্যের আলো। ঘন কুয়াশার সাথে উত্তরের হিমেল বাতাসে কাবু হয়ে যাচ্ছে জনজীবন। প্রতিদিন রাত থেকে নামছে কুয়াশা, পড়ছে শীত। রাতভর টিপ টিপ করে পড়ছে কুয়াশা। তখন যানবাহগুলো হলুদ বাতি জালিয়ে ধীরগতিতে চলছে। ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন চারদিক। তখন হেডলাইট জালিয়ে ধীর গতিতে চলে যানবাহন। এক কথায় সকালে ও রাতে জবুথবু অবস্থা জনজীবনে।
যদিও শীত কাল আসতে আরও চারদিন বাকি। তবুও হেমন্তের শেষ দিকে এসে পুরোপুরি শীতের আমেজ। দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যবধানও কমে গেছে। সকালে ও রাতে ১০ থেকে ১২ ডিগ্রী তাপমাত্রা, দিনের বেলায় সর্বোচ্চ ২১ থেকে ২৪ ডিগ্রীতে উঠানামা করছে।
তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেনী আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগাড় সুত্রে জানা যায় ১১ ডিসেম্বর বুধবার সর্বনিন্ম ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রী সর্বোচ্চ ২১ দশমিক ৮ ডিগ্রী, ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রী সর্বোচ্চ ২৪ দশমিক ৭ ডিগ্রী, ০৯ ডিসেম্বর সোমবার ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রী সর্বোচ্চ ২৪ দশমিক ৭ ডিগ্রী তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
বুধবার দিনের বেলায় সারাদিন সূর্য মাঝে মাঝে উকি দিলেও আলো ছড়াতে পারেনি। সকাল বেলায় হাটে বাজারে জনশুন্যতা দেখা গেছে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বের হয়নি। তবে ঘন কুয়াশা আর শীত উপেক্ষা করে বের হয় কিছু নিন্ম আয়ের মানুষ। বিশেষ করে অটো ইজিবাইক আর পরিবহন শ্রমিকরা কাজে যোগ দেয়।
বুধবার দুপুরে পঞ্চগড়ের হাড়িভাষা এলাকার ইজিবাইক চালক জসিমউদ্দিন জানান তিন দিন ধরে সূর্য দেখা যায়না হাটে বাজারে লোকজন কম এজন্য আমাদের ইনকাম কমে গেছে।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে মেডিসিন ও হৃদরোগের চিকিৎসক মাহাবুব উল আলম জানান শীতের কারনে হাসপাতালে শিশু এবং বয়স্ক রোগী বেড়ে গেছে। বর্তমানে চিকিৎসা দিতে হিমশীম খেতে হচ্ছে রোগীর চাপে।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবেত আলী জানান শীত মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। দরিদ্র শীতার্তদের ইতিমধ্যে দুই হাজার কম্বল বিতরন করা হয়েছে। শীত বস্ত্র চেয়ে মন্ত্রনালয়ে আবেদন করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে আরও শীত বস্ত্র পাঁ উপজেলায় বিতরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।