১২:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫

হজমশক্তি বৃদ্ধিতে কিশমিশের তুলনা নেই

ইউএনএ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৭:৩১:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫
  • / 3

ছবি : সংগৃহীত

ওজন কমানো থেকে শুরু করে হজমশক্তি বৃদ্ধিতে কিশমিশের তুলনা নেই। পুষ্টিবিদরা বলছেন, সকালে কিশমিশ ভেজানো পানি শরীরে জাদুর মতো কাজ করে। তাই কিশমিশ ভেজানো পানিকে বলা হচ্ছে ‘সুপার ড্রিংক’। কারণ কিশমিশে থাকা ফাইবার সহজপাচ্য হয়ে ওঠে পানিতে ভিজলে, এটি খেলে পেট ভাল থাকে।

কিশমিশ ভেজানো পানি বেশ কিছু প্রয়োজনীয় ভিটামিনে সমৃদ্ধ। এতে ভিটামিন সি ও বিশেষ ধরনের বি ভিটামিন (যেমন বি৬ ও নিয়াসিন) থাকে। এ ছাড়া কিশমিশ পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজের উৎস। কিশমিশে শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে।

যার মধ্যে রয়েছে ফেনোলিক যৌগ ও ফ্ল্যাভোনয়েড যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। এখানেই শেষ নয় কিশমিশে থাকা প্রাকৃতিক চিনি পানিকে মিষ্টি করে তোলে।

কিশমিশ পানির ৮ উপকারিতা :
* কিশমিশ পানি প্রাকৃতিক শর্করা ও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ, যা দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করে।
* হজমে সহায়তা করে কিশমিশ। মূলত কিশমিশ পানিতে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার বা আঁশ হজমে সহায়ক। পানিতে ভিজিয়ে রাখলে কিশমিশের আঁশীয় উপাদান বৃদ্ধি পায়, যা কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং পেট পরিষ্কার রাখে।

* ত্বকের জন্য এটা খুব উপকারী। কিশমিশ-পানিতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বকে বার্ধক্যের লক্ষণ কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে, ত্বকের স্থিতিস্থাপকতার জন্য যা অপরিহার্য।

* ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। কিশমিশ পানিতে প্রাকৃতিক ডিটক্সিফাইং বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা যকৃৎ ভালো রাখে।

* কিশমিশের পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। কিশমিশ পানি হৃৎস্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

এই পানীয় হাড়ের জন্য খুব উপকারী। কিশমিশ ক্যালসিয়াম ও বোরনের ভালো উৎস, দুটিই শক্তিশালী হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয়। অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধেও সাহায্য করতে পারে।

* কিশমিশ পানিতে থাকা ভিটামিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে সংক্রমণ থেকে বাঁচায়।

* কিশমিশের পানি ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে। এটি চিনিযুক্ত পানীয়র স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে কাজ করে। সামগ্রিক ক্যালরি গ্রহণ কমাতে সাহায্য করে।

যেভাবে কিশমিশ পানি তৈরি করবেন : কাপের চার ভাগের এক ভাগ কিশমিশ ভালোভাবে ধুয়ে এক গ্লাস পানিতে সারা রাত বা কমপক্ষে ছয়-আট ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। সকালে কিশমিশ আলাদা করে পানিটুকু খালি পেটে বা আপনার সুবিধামতো সময়ে খান। অতিরিক্ত আঁশ ও পুষ্টির জন্য ভেজানো কিশমিশও খেতে পারেন। চাইলে কিশমিশ পানিতে চিয়া সিডও মেশাতে পারেন।

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

হজমশক্তি বৃদ্ধিতে কিশমিশের তুলনা নেই

আপডেট: ০৭:৩১:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

ছবি : সংগৃহীত

ওজন কমানো থেকে শুরু করে হজমশক্তি বৃদ্ধিতে কিশমিশের তুলনা নেই। পুষ্টিবিদরা বলছেন, সকালে কিশমিশ ভেজানো পানি শরীরে জাদুর মতো কাজ করে। তাই কিশমিশ ভেজানো পানিকে বলা হচ্ছে ‘সুপার ড্রিংক’। কারণ কিশমিশে থাকা ফাইবার সহজপাচ্য হয়ে ওঠে পানিতে ভিজলে, এটি খেলে পেট ভাল থাকে।

কিশমিশ ভেজানো পানি বেশ কিছু প্রয়োজনীয় ভিটামিনে সমৃদ্ধ। এতে ভিটামিন সি ও বিশেষ ধরনের বি ভিটামিন (যেমন বি৬ ও নিয়াসিন) থাকে। এ ছাড়া কিশমিশ পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজের উৎস। কিশমিশে শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে।

যার মধ্যে রয়েছে ফেনোলিক যৌগ ও ফ্ল্যাভোনয়েড যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। এখানেই শেষ নয় কিশমিশে থাকা প্রাকৃতিক চিনি পানিকে মিষ্টি করে তোলে।

কিশমিশ পানির ৮ উপকারিতা :
* কিশমিশ পানি প্রাকৃতিক শর্করা ও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ, যা দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করে।
* হজমে সহায়তা করে কিশমিশ। মূলত কিশমিশ পানিতে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার বা আঁশ হজমে সহায়ক। পানিতে ভিজিয়ে রাখলে কিশমিশের আঁশীয় উপাদান বৃদ্ধি পায়, যা কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং পেট পরিষ্কার রাখে।

* ত্বকের জন্য এটা খুব উপকারী। কিশমিশ-পানিতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বকে বার্ধক্যের লক্ষণ কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে, ত্বকের স্থিতিস্থাপকতার জন্য যা অপরিহার্য।

* ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। কিশমিশ পানিতে প্রাকৃতিক ডিটক্সিফাইং বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা যকৃৎ ভালো রাখে।

* কিশমিশের পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। কিশমিশ পানি হৃৎস্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

এই পানীয় হাড়ের জন্য খুব উপকারী। কিশমিশ ক্যালসিয়াম ও বোরনের ভালো উৎস, দুটিই শক্তিশালী হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয়। অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধেও সাহায্য করতে পারে।

* কিশমিশ পানিতে থাকা ভিটামিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে সংক্রমণ থেকে বাঁচায়।

* কিশমিশের পানি ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে। এটি চিনিযুক্ত পানীয়র স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে কাজ করে। সামগ্রিক ক্যালরি গ্রহণ কমাতে সাহায্য করে।

যেভাবে কিশমিশ পানি তৈরি করবেন : কাপের চার ভাগের এক ভাগ কিশমিশ ভালোভাবে ধুয়ে এক গ্লাস পানিতে সারা রাত বা কমপক্ষে ছয়-আট ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। সকালে কিশমিশ আলাদা করে পানিটুকু খালি পেটে বা আপনার সুবিধামতো সময়ে খান। অতিরিক্ত আঁশ ও পুষ্টির জন্য ভেজানো কিশমিশও খেতে পারেন। চাইলে কিশমিশ পানিতে চিয়া সিডও মেশাতে পারেন।

শেয়ার করুন