০৩:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

হাইকোর্টে ক্ষমা চাইলেন বিএনপি নেতা আলাল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট: ০৩:৪৬:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪
  • / 29

ফাইল ছবি

বিচার বিভাগ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্যে ঘটনায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

মঙ্গলবার (১৪ মে) বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তিনি ভবিষ্যতে বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন বলে লিখিত আবেদনে বলেছেন। আদালত এ বিষয়ে এক সপ্তাহ পর আদেশ দেবেন।

আদালতে আলালের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।

এর আগে আদালত অবমাননার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে আজ ১৪ মে তাকে সশরীরে হাজির হয়ে আদালত অবমাননার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না-তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইউটিউবে বিচার বিভাগ নিয়ে আলালের প্রকাশিত একটি বক্তব্য সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল অফিসের মাধ্যমে হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হয়। এরপর বিষয়টি আমলে নিয়ে বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ২৯ এপ্রিল স্বপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন। ওই আদেশের লিখিত অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে।

আদেশে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল গত ২৫ এপ্রিল ইউটিউবে মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের প্রকাশিত একটি ভিডিও ক্লিপ প্রধান বিচারপতির কাছে উপস্থাপন করেন। পরে প্রধান বিচারপতির আদেশ অনুযায়ী বিষয়টি এই বেঞ্চে উত্থাপন করা হয়। আদেশে আরও বলা হয়েছে, আমরা ভিডিওটি পর্যালোচনা করেছি। ভিডিওতে যে বক্তব্য রয়েছে তাতে আদালত অবমাননার প্রাথমিক উপাদান রয়েছে। মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল তার বক্তব্যের মাধ্যমে সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের এবং সমস্ত বিচার বিভাগকে অবমাননা করেছেন। আদালত মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বিরুদ্ধে আদালদ অবমাননার রুল জারি করেন। রুলে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ কেন আনা হবে না এবং আদালত অবমাননার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত বক্তব্যের লিংকটি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে ফেলতে বিটিআরসিকে নির্দশ দেন হাইকোর্ট।

সম্প্রতি বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এক টকশোতে বিচার বিভাগ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন, যা ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়ে।

শেয়ার করুন
ট্যাগ :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

হাইকোর্টে ক্ষমা চাইলেন বিএনপি নেতা আলাল

আপডেট: ০৩:৪৬:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

ফাইল ছবি

বিচার বিভাগ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্যে ঘটনায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

মঙ্গলবার (১৪ মে) বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তিনি ভবিষ্যতে বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন বলে লিখিত আবেদনে বলেছেন। আদালত এ বিষয়ে এক সপ্তাহ পর আদেশ দেবেন।

আদালতে আলালের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।

এর আগে আদালত অবমাননার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে আজ ১৪ মে তাকে সশরীরে হাজির হয়ে আদালত অবমাননার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না-তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইউটিউবে বিচার বিভাগ নিয়ে আলালের প্রকাশিত একটি বক্তব্য সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল অফিসের মাধ্যমে হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হয়। এরপর বিষয়টি আমলে নিয়ে বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ২৯ এপ্রিল স্বপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন। ওই আদেশের লিখিত অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে।

আদেশে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল গত ২৫ এপ্রিল ইউটিউবে মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের প্রকাশিত একটি ভিডিও ক্লিপ প্রধান বিচারপতির কাছে উপস্থাপন করেন। পরে প্রধান বিচারপতির আদেশ অনুযায়ী বিষয়টি এই বেঞ্চে উত্থাপন করা হয়। আদেশে আরও বলা হয়েছে, আমরা ভিডিওটি পর্যালোচনা করেছি। ভিডিওতে যে বক্তব্য রয়েছে তাতে আদালত অবমাননার প্রাথমিক উপাদান রয়েছে। মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল তার বক্তব্যের মাধ্যমে সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের এবং সমস্ত বিচার বিভাগকে অবমাননা করেছেন। আদালত মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বিরুদ্ধে আদালদ অবমাননার রুল জারি করেন। রুলে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ কেন আনা হবে না এবং আদালত অবমাননার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত বক্তব্যের লিংকটি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে ফেলতে বিটিআরসিকে নির্দশ দেন হাইকোর্ট।

সম্প্রতি বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এক টকশোতে বিচার বিভাগ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন, যা ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়ে।

শেয়ার করুন