০২:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

১৩ বছরের লিভ-ইনে অঙ্কুশ, ঐন্দ্রিলা

ইউএনএ প্রতিবেদক
  • আপডেট: ১০:০৯:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
  • / 2

টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা অঙ্কুশ ও অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সেন -ফাইল ফটো

বিয়ে ছাড়াই ১৩ বছর টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা অঙ্কুশ ও অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সেন লিভ-ইনে রয়েছে । কদিন পরপরই শোনা যায় তাদের বিয়ের খবর। তবু বিয়েটা আর শেষ পর্যন্ত হয় না। ছাদনা তলা পর্যন্ত আর যাওয়া হয় না।

প্রশ্ন করতেই রসিকতা করে ঐন্দ্রিলা বললেন, বিয়ে ছাড়াই ১৩ বছর কেটে গেছে। আরও ১৩টা বছর না হয় কেটে যাবে।

অভিনেত্রী মানেই ‘পটের বিবি’-এ মিথ ভেঙেছে বহু আগেই। ছুটির দিনে অবসরে সুযোগ পেলেই অভিনেতার জন্য রান্নাঘরে গিয়ে হাতা-খুন্তি তুলে নেন হাতে। ছটপট তৈরি করে ফেলেন এমন এক কিছু রেসিপি, যা নাকি ‘বশ’ করে নিতে পারে অঙ্কুশকে। ঐন্দ্রিলা বলেন, আমার হাতে চিকেন পোলাও খাইয়েই ওকে বশ করে নিতে পারি।

অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সেন নিজে খেতে ভালোবাসেন এবং অন্যকে খাওয়াতে ভালোবাসেন । আর তাই প্রেমিক ও অভিনেতা অঙ্কুশ নাকি ভালোবাসেন লটে মাছ খেতে। আর সেটি পছন্দই করেন না অভিনেত্রী। তাই বলে কি ভালোবাসার মানুষটাকে রান্না করে খাওয়াবেন না তা কি হয়?

অভিনেত্রী বলেন, অঙ্কুশের জন্য লটে মাছ রান্না করে দিই। চেটেপুটে খায়। আসলে এই রান্নার একটা সিক্রেট আছে।

সিক্রেট, সেটি আবার কী? এমন প্রশ্ন করতেই খানিক যেন সাবধানী হলেন ঐন্দ্রিলা সেন। এটি হচ্ছে মন জয়ের গোপন রহস্য তা ফাঁস করতে একেবারেই নারাজ অভিনেত্রী।

তবু সাংবাদিকের প্রশ্ন কি আর এড়িয়ে থাকা যায়? জোরাজুরিতে ঐন্দ্রিলা বললেন, নামানোর আগে হালকা একটু ঘি ছড়িয়ে দিই। গন্ধে ম-ম করে। খেতেও ভালো লাগে।

আর আতপ চালের গরম গরম ধোঁয়া ওঠা ফ্যানা-ভাত। সঙ্গে আলু মাখা, কাঁচালংকা আর অল্প ঘি-মাখন… সাক্ষাৎ স্বর্গ। তবে অনেকেই ফ্যানের গন্ধ পছন্দ করেন না। তাদের জন্যও দাওয়াই আছে ঐন্দ্রিলার।

তিনি বলেন, মা ভীষণ ভালো রান্না করেন। আমার মাসি, দিদা এমনকি ছোট বোন সবাই ভালো রাঁধুনি। সেটা কিছুটা হয়তো আমার মধ্যেও আছে।

অভিনেত্রী বলেন, মা এমন একটা ফ্যানা ভাতের রেসিপি বানায় না, উফফ মুখে লেগে থাকে। সামান্য ফ্যানা ভাত কিন্তু মা বানায় দুধ দিয়ে। ঠিক পদ্ধতিটা বলতে পারব না। তবে নুন-মিষ্টি দিয়ে এমনভাবে বানায় তা যেন অমৃতের সমান। ফ্যানের গন্ধ, টেরই পাওয়া যাবে না।

অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সেন আগামী দিনে রেস্তোরাঁ খোলার। স্বপ্ন দেখেন। ভালো একটি রেস্তোরাঁ। না, কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি নয়। বরং কম তেলে বাড়ির স্বাদের রান্না নিয়ে রেস্তোরাঁ খোলার স্বপ্ন তার দীর্ঘদিনের। মাঝে ভেবেও ছিলেন। তবে বাবার হঠাৎ মৃত্যুতে সে কাজে বাধা আসে। তবে আশা ছাড়েননি অভিনেত্রী। জানান, স্বপ্ন দেখতে কে না ভালোবাসে, বলুন?

 

শেয়ার করুন
ট্যাগ :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

১৩ বছরের লিভ-ইনে অঙ্কুশ, ঐন্দ্রিলা

আপডেট: ১০:০৯:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা অঙ্কুশ ও অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সেন -ফাইল ফটো

বিয়ে ছাড়াই ১৩ বছর টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা অঙ্কুশ ও অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সেন লিভ-ইনে রয়েছে । কদিন পরপরই শোনা যায় তাদের বিয়ের খবর। তবু বিয়েটা আর শেষ পর্যন্ত হয় না। ছাদনা তলা পর্যন্ত আর যাওয়া হয় না।

প্রশ্ন করতেই রসিকতা করে ঐন্দ্রিলা বললেন, বিয়ে ছাড়াই ১৩ বছর কেটে গেছে। আরও ১৩টা বছর না হয় কেটে যাবে।

অভিনেত্রী মানেই ‘পটের বিবি’-এ মিথ ভেঙেছে বহু আগেই। ছুটির দিনে অবসরে সুযোগ পেলেই অভিনেতার জন্য রান্নাঘরে গিয়ে হাতা-খুন্তি তুলে নেন হাতে। ছটপট তৈরি করে ফেলেন এমন এক কিছু রেসিপি, যা নাকি ‘বশ’ করে নিতে পারে অঙ্কুশকে। ঐন্দ্রিলা বলেন, আমার হাতে চিকেন পোলাও খাইয়েই ওকে বশ করে নিতে পারি।

অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সেন নিজে খেতে ভালোবাসেন এবং অন্যকে খাওয়াতে ভালোবাসেন । আর তাই প্রেমিক ও অভিনেতা অঙ্কুশ নাকি ভালোবাসেন লটে মাছ খেতে। আর সেটি পছন্দই করেন না অভিনেত্রী। তাই বলে কি ভালোবাসার মানুষটাকে রান্না করে খাওয়াবেন না তা কি হয়?

অভিনেত্রী বলেন, অঙ্কুশের জন্য লটে মাছ রান্না করে দিই। চেটেপুটে খায়। আসলে এই রান্নার একটা সিক্রেট আছে।

সিক্রেট, সেটি আবার কী? এমন প্রশ্ন করতেই খানিক যেন সাবধানী হলেন ঐন্দ্রিলা সেন। এটি হচ্ছে মন জয়ের গোপন রহস্য তা ফাঁস করতে একেবারেই নারাজ অভিনেত্রী।

তবু সাংবাদিকের প্রশ্ন কি আর এড়িয়ে থাকা যায়? জোরাজুরিতে ঐন্দ্রিলা বললেন, নামানোর আগে হালকা একটু ঘি ছড়িয়ে দিই। গন্ধে ম-ম করে। খেতেও ভালো লাগে।

আর আতপ চালের গরম গরম ধোঁয়া ওঠা ফ্যানা-ভাত। সঙ্গে আলু মাখা, কাঁচালংকা আর অল্প ঘি-মাখন… সাক্ষাৎ স্বর্গ। তবে অনেকেই ফ্যানের গন্ধ পছন্দ করেন না। তাদের জন্যও দাওয়াই আছে ঐন্দ্রিলার।

তিনি বলেন, মা ভীষণ ভালো রান্না করেন। আমার মাসি, দিদা এমনকি ছোট বোন সবাই ভালো রাঁধুনি। সেটা কিছুটা হয়তো আমার মধ্যেও আছে।

অভিনেত্রী বলেন, মা এমন একটা ফ্যানা ভাতের রেসিপি বানায় না, উফফ মুখে লেগে থাকে। সামান্য ফ্যানা ভাত কিন্তু মা বানায় দুধ দিয়ে। ঠিক পদ্ধতিটা বলতে পারব না। তবে নুন-মিষ্টি দিয়ে এমনভাবে বানায় তা যেন অমৃতের সমান। ফ্যানের গন্ধ, টেরই পাওয়া যাবে না।

অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সেন আগামী দিনে রেস্তোরাঁ খোলার। স্বপ্ন দেখেন। ভালো একটি রেস্তোরাঁ। না, কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি নয়। বরং কম তেলে বাড়ির স্বাদের রান্না নিয়ে রেস্তোরাঁ খোলার স্বপ্ন তার দীর্ঘদিনের। মাঝে ভেবেও ছিলেন। তবে বাবার হঠাৎ মৃত্যুতে সে কাজে বাধা আসে। তবে আশা ছাড়েননি অভিনেত্রী। জানান, স্বপ্ন দেখতে কে না ভালোবাসে, বলুন?

 

শেয়ার করুন