০৭:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

১৫ বছরে দেশে ডালের উৎপাদন বেড়েছে ৪ গুণ- কৃষিমন্ত্রী

ডেস্ক নিউজ
  • আপডেট: ১০:৪৭:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / 22

বিগত ১৫ বছরে দেশে ডালের উৎপাদন ৪ গুণ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ। তিনি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কৃষিবান্ধব নীতি এবং বিজ্ঞানীরা উন্নত জাতের বীজ ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে এ সফলতা এসেছে। ২০০৮-০৯ সালে ডাল উৎপাদন হতো প্রায় দুই লাখ টন, ২০২২-২৩ সালে উৎপাদিত হচ্ছে প্রায় ৯ লাখ টন। উৎপাদন বাড়লেও তা দেশের চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ।

এ কারণে আমাদের এখন লক্ষ্য ডাল উৎপাদনে আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া।’

শনিবার  বিকেলে রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে আন্তর্জাতিক ডাল দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) আয়োজিত আন্তর্জাতিক সেমিনারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

কৃষীমন্ত্রী বলেন, ‘ডালের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন, মানসম্পন্ন বীজের পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং আধুনিক উৎপাদন প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। উন্নত প্রযুক্তি যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে গবেষণা এবং কৃষকের মাঠের মধ্যে ফলনের ব্যবধান কমিয়ে ফলন বাড়ানো যেতে পারে।

এ ছাড়াও আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে জলবায়ু সহনশীল জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে লবণাক্ত, খরা ও চরাঞ্চলে ডালের চাষ বাড়াতে হবে। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

সেমিনারে বারির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ কে এম মাহবুবুল আলম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, দেশে ডালের চাহিদা প্রায় ২৫ লাখ মেট্রিক টন।

এ চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হচ্ছে। বাকি চাহিদা মেটাতে ডাল আমদানি করতে হয়। দেশে চাষযোগ্য জমির ৭৬ শতাংশ জমিতে ধান চাষ হয়, অথচ ডালের চাষ হয় মাত্র ২ দশমিক ৪০ শতাংশ জমিতে। অন্য ফসলের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারা, উন্নত জাত ও বীজের অপর্যাপ্ততা, জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষিযন্ত্রের অপ্রতুলতা প্রভৃতি কারণে ডালের উৎপাদন কম বলে জানান তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার।

শেয়ার করুন
ট্যাগ :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

১৫ বছরে দেশে ডালের উৎপাদন বেড়েছে ৪ গুণ- কৃষিমন্ত্রী

আপডেট: ১০:৪৭:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বিগত ১৫ বছরে দেশে ডালের উৎপাদন ৪ গুণ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ। তিনি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কৃষিবান্ধব নীতি এবং বিজ্ঞানীরা উন্নত জাতের বীজ ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে এ সফলতা এসেছে। ২০০৮-০৯ সালে ডাল উৎপাদন হতো প্রায় দুই লাখ টন, ২০২২-২৩ সালে উৎপাদিত হচ্ছে প্রায় ৯ লাখ টন। উৎপাদন বাড়লেও তা দেশের চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ।

এ কারণে আমাদের এখন লক্ষ্য ডাল উৎপাদনে আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া।’

শনিবার  বিকেলে রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে আন্তর্জাতিক ডাল দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) আয়োজিত আন্তর্জাতিক সেমিনারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

কৃষীমন্ত্রী বলেন, ‘ডালের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন, মানসম্পন্ন বীজের পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং আধুনিক উৎপাদন প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। উন্নত প্রযুক্তি যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে গবেষণা এবং কৃষকের মাঠের মধ্যে ফলনের ব্যবধান কমিয়ে ফলন বাড়ানো যেতে পারে।

এ ছাড়াও আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে জলবায়ু সহনশীল জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে লবণাক্ত, খরা ও চরাঞ্চলে ডালের চাষ বাড়াতে হবে। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

সেমিনারে বারির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ কে এম মাহবুবুল আলম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, দেশে ডালের চাহিদা প্রায় ২৫ লাখ মেট্রিক টন।

এ চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হচ্ছে। বাকি চাহিদা মেটাতে ডাল আমদানি করতে হয়। দেশে চাষযোগ্য জমির ৭৬ শতাংশ জমিতে ধান চাষ হয়, অথচ ডালের চাষ হয় মাত্র ২ দশমিক ৪০ শতাংশ জমিতে। অন্য ফসলের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারা, উন্নত জাত ও বীজের অপর্যাপ্ততা, জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষিযন্ত্রের অপ্রতুলতা প্রভৃতি কারণে ডালের উৎপাদন কম বলে জানান তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার।

শেয়ার করুন