০৭:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

৬ ব্যাংকের এলসি খোলায় শর্ত প্রত্যাহারের চিঠি কেন্দীয় ব্যাংকের

ইউএনএ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৩:৫০:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 18

– শরিয়াভিত্তিক ছয় ব্যাংক । ছবি : সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হওয়া শরিয়াভিত্তিক ছয় ব্যাংকের এলসি (ঋণপত্র) খোলায় শতভাগ মার্জিনের বাধ্যবাধকতা তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বৃহস্পতিবার ( ৫ ডিসেম্বর) ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

অনিয়মের কারণে তারল্যসংকটে পড়েছিল এমন ছয় ব্যাংকের ঋণ কার্যক্রম সীমিত করার পাশাপাশি তাদের ঋণপত্র (এলসি) খোলার কার্যক্রমেও শতভাগ মার্জিন আরোপ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন ব্যাংক ছয়টির উন্নতির স্বার্থে ঋণপত্র খোলায় আগের শর্ত তুলে নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ফলে ব্যাংকগুলো এখন চাহিদামতো আমদানির ঋণপত্র খুলতে পারবে।

এসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ইতিমধ্যে পরিবর্তন করা হয়েছে। পাশাপাশি তারল্যসংকট কাটাতে তাদের ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ধার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক ছয়টি হলো ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক। ছয় ব্যাংকই একসময় এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ও নিয়ন্ত্রণে ছিল। এতদিন এসব ব্যাংক এল‌সি খুলতে গেলে শতভাগ অর্থাৎ ১০০ টাকার এল‌সির বিপরীতে ১০০ টাকা মা‌র্জিন রাখতে হতো। এখন সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংক-গ্রাহকের সম্পর্কের ভিত্তিতে মা‌র্জিন নির্ধারণ করতে পারবে।

সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তারা মনে করেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুযোগ দেওয়ার ফলে তাদের আমদানি ব্যবসা শুরু করা সম্ভব হবে। বেশির ভাগ গ্রাহক শতভাগ টাকা জমা দিয়ে আমদানি ব্যবসা করতে চান না। এ জন্য অনেক গ্রাহক অন্য ব্যাংকে চলে গেছেন। এখন ওই গ্রাহকেরা আবার ফিরে আসতে পারেন।

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

৬ ব্যাংকের এলসি খোলায় শর্ত প্রত্যাহারের চিঠি কেন্দীয় ব্যাংকের

আপডেট: ০৩:৫০:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪

– শরিয়াভিত্তিক ছয় ব্যাংক । ছবি : সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হওয়া শরিয়াভিত্তিক ছয় ব্যাংকের এলসি (ঋণপত্র) খোলায় শতভাগ মার্জিনের বাধ্যবাধকতা তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বৃহস্পতিবার ( ৫ ডিসেম্বর) ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

অনিয়মের কারণে তারল্যসংকটে পড়েছিল এমন ছয় ব্যাংকের ঋণ কার্যক্রম সীমিত করার পাশাপাশি তাদের ঋণপত্র (এলসি) খোলার কার্যক্রমেও শতভাগ মার্জিন আরোপ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন ব্যাংক ছয়টির উন্নতির স্বার্থে ঋণপত্র খোলায় আগের শর্ত তুলে নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ফলে ব্যাংকগুলো এখন চাহিদামতো আমদানির ঋণপত্র খুলতে পারবে।

এসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ইতিমধ্যে পরিবর্তন করা হয়েছে। পাশাপাশি তারল্যসংকট কাটাতে তাদের ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ধার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক ছয়টি হলো ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক। ছয় ব্যাংকই একসময় এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ও নিয়ন্ত্রণে ছিল। এতদিন এসব ব্যাংক এল‌সি খুলতে গেলে শতভাগ অর্থাৎ ১০০ টাকার এল‌সির বিপরীতে ১০০ টাকা মা‌র্জিন রাখতে হতো। এখন সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংক-গ্রাহকের সম্পর্কের ভিত্তিতে মা‌র্জিন নির্ধারণ করতে পারবে।

সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তারা মনে করেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুযোগ দেওয়ার ফলে তাদের আমদানি ব্যবসা শুরু করা সম্ভব হবে। বেশির ভাগ গ্রাহক শতভাগ টাকা জমা দিয়ে আমদানি ব্যবসা করতে চান না। এ জন্য অনেক গ্রাহক অন্য ব্যাংকে চলে গেছেন। এখন ওই গ্রাহকেরা আবার ফিরে আসতে পারেন।

শেয়ার করুন