১২:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ড আবেদনকারীদের জন্য দুঃসংবাদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট: ০৪:৪৬:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / 25

যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ড আবেদনকারীদের জন্য দুঃসংবাদ দিয়েছে দেশটির থিংকট্যাংক সংস্থা দ্য ক্যাটো ইনস্টিটিউট।

সম্প্রতি একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটনভিত্তিক এই সংস্থাটি, সেখানে বলা হয়েছে, চলতি ২০২৪ সালে মাত্র ৩ শতাংশ আবেদনকারীকে গ্রিন কার্ড (আবাসন) দেওয়া হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসীদের জন্য গ্রিন কার্ড অপরিহার্য একটি নথি। স্থায়ীভাবে বসবাস এবং যে কোনো প্রতিষ্ঠানের বৈধ কর্মী হওয়ার জন্য গ্রিন কার্ড অপরিহার্য। অতীতে এক গ্রিন কার্ডেই উভয় চাহিদা পূরণ হতো, তবে এখন বসবাস ও কর্মসংস্থানের জন্য আলাদা কার্ডের প্রয়োজন পড়ে।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী ও অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ক্যাটো ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, মন্ত্রনালয়ে আবাসনবাবদ গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন সংখ্যা বর্তমানে পৌঁছেছে প্রায় ৩ কোটি ৪৭ লাখে। আর কর্মসংস্থানের জ্য গ্রিন কার্ডের আবেদন জমেছে ১৮ লাখ।

এই আবেদনকারীদের মধ্যে বৈধ আবাসনের জন্য ৩ শতাংশ এবং কর্মসংস্থানের জন্য ৮ শতাংশ আবেদনকারীর আবেদন মঞ্জুর করা হবে বলে শ্বেতপত্রে উল্লেখ করেছে ক্যাটো ইনস্টিটিউট।

আবেদনের এই ব্যাপক জটের প্রধান কারণ অভিবাসন ইস্যুতে মার্কিন সরকারের কঠোর নীতি। ১৯৯০ সালের পর থেকে গ্রিন কার্ড ইস্যুর হার সীমিত রাখার নীতি মেনে চলছে দেশটি। ক্যাটো ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর আবাসন এবং কর্মসংস্থান বাবদ মোট ১ লাখ ৪০ হাজার অভিবাসীকে গ্রিন কার্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অভিবাসী ও অভিবাসন মন্ত্রণালয়।

আবেদনপত্রের জট কাটানোর জন্য নিজেদের শ্বেতপত্রে আবাসন-কর্মসংস্থানের পাশাপাশি আরও কয়েকটি ক্যাটাগরি সংযোজনের প্রস্তাব দিয়েছে ক্যাটো ইনস্টিটিউট। সেই সঙ্গে  প্রতি বছর অন্তত ৩৫ লাখ মানুষকে কোনো না কোনো ক্যাটাগরির অন্তত একটি গ্রিনকার্ড প্রদানের সুপারিশও করেছে সংস্থাটি।

 

খবর হিন্দুস্থান টাইমসের

শেয়ার করুন
ট্যাগ :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ড আবেদনকারীদের জন্য দুঃসংবাদ

আপডেট: ০৪:৪৬:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ড আবেদনকারীদের জন্য দুঃসংবাদ দিয়েছে দেশটির থিংকট্যাংক সংস্থা দ্য ক্যাটো ইনস্টিটিউট।

সম্প্রতি একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটনভিত্তিক এই সংস্থাটি, সেখানে বলা হয়েছে, চলতি ২০২৪ সালে মাত্র ৩ শতাংশ আবেদনকারীকে গ্রিন কার্ড (আবাসন) দেওয়া হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসীদের জন্য গ্রিন কার্ড অপরিহার্য একটি নথি। স্থায়ীভাবে বসবাস এবং যে কোনো প্রতিষ্ঠানের বৈধ কর্মী হওয়ার জন্য গ্রিন কার্ড অপরিহার্য। অতীতে এক গ্রিন কার্ডেই উভয় চাহিদা পূরণ হতো, তবে এখন বসবাস ও কর্মসংস্থানের জন্য আলাদা কার্ডের প্রয়োজন পড়ে।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী ও অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ক্যাটো ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, মন্ত্রনালয়ে আবাসনবাবদ গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন সংখ্যা বর্তমানে পৌঁছেছে প্রায় ৩ কোটি ৪৭ লাখে। আর কর্মসংস্থানের জ্য গ্রিন কার্ডের আবেদন জমেছে ১৮ লাখ।

এই আবেদনকারীদের মধ্যে বৈধ আবাসনের জন্য ৩ শতাংশ এবং কর্মসংস্থানের জন্য ৮ শতাংশ আবেদনকারীর আবেদন মঞ্জুর করা হবে বলে শ্বেতপত্রে উল্লেখ করেছে ক্যাটো ইনস্টিটিউট।

আবেদনের এই ব্যাপক জটের প্রধান কারণ অভিবাসন ইস্যুতে মার্কিন সরকারের কঠোর নীতি। ১৯৯০ সালের পর থেকে গ্রিন কার্ড ইস্যুর হার সীমিত রাখার নীতি মেনে চলছে দেশটি। ক্যাটো ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর আবাসন এবং কর্মসংস্থান বাবদ মোট ১ লাখ ৪০ হাজার অভিবাসীকে গ্রিন কার্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অভিবাসী ও অভিবাসন মন্ত্রণালয়।

আবেদনপত্রের জট কাটানোর জন্য নিজেদের শ্বেতপত্রে আবাসন-কর্মসংস্থানের পাশাপাশি আরও কয়েকটি ক্যাটাগরি সংযোজনের প্রস্তাব দিয়েছে ক্যাটো ইনস্টিটিউট। সেই সঙ্গে  প্রতি বছর অন্তত ৩৫ লাখ মানুষকে কোনো না কোনো ক্যাটাগরির অন্তত একটি গ্রিনকার্ড প্রদানের সুপারিশও করেছে সংস্থাটি।

 

খবর হিন্দুস্থান টাইমসের

শেয়ার করুন