০৯:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫

বাংলাদেশে ভারতীয়দের অনুপ্রবেশ সঠিক প্রক্রিয়ায় হয়নি : নিরাপত্তা উপদেষ্টা

ইউএনএ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৯:২৫:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
  • / 2

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা বিষয়ক হাইরিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমান – ছবি: সংগৃহীত

সীমান্তে ভারত যেভাবে পুশইন (অবৈধ অনুপ্রবেশ) করেছে তা সঠিক প্রক্রিয়া নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা বিষয়ক হাইরিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমান। বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

খাগড়াছড়ি ও কুড়িগ্রাম সীমান্তে ভারত থেকে সে দেশের নাগরিকসহ লোকজনকে পুশইন করার বিষয়ে জানতে চাইলে ড. খলিলুর রহমান বলেন, আমরা প্রতিটি কেস আলাদা আলাদাভাবে নিরীক্ষণ করছি।

আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, আমাদের দেশের নাগরিক যদি কেউ হয়ে থাকেন আর সেটা যদি প্রমাণিত হয় তাহলে তাদের আমরা গ্রহণ করব। তবে এটা ফরমাল চ্যানেলে হতে হবে। এভাবে পুশইন করাটা সঠিক প্রক্রিয়া নয়।

বিষয়টি নিয়ে দিল্লির সঙ্গে কথা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে জোরপূর্বক প্রবেশের বিষয়ে দিল্লিকে জানানো হয়েছে। কোনো বাংলাদেশি নাগরিক হলে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় তাদের পাঠানোর কথাও বলা হয়েছে।

বুধবার ভোর সাড়ে ৪টা থেকে মাটিরাঙা তাইন্দং সীমান্ত দিয়ে ১৫ জন, গোমতি ইউনিয়নের শান্তিপুর সীমান্ত দিয়ে ২৭ জন ও পানছড়ির লোগাং ইউনিয়নের রুপসেনপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২৪ জনসহ মোট ৬৬ জন ভারতীয় নাগরিককে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক করে বিজিবি। আটক ব্যক্তিরা নিজেদের গুজরাটের বাসিন্দা দাবি করেন। আটকরা বাংলা ভাষাভাষী।

তাদের গুজরাট থেকে বিমানে করে সীমান্তে নিয়ে এসে বিএসএফ সদস্যরা শান্তিপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করায় বলে জানা যায়।

খাগড়াছড়ির ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসন নাজমুন আরা সুলতানা জানান, সর্বশেষ খবর পর্যন্ত ৬৬ জন ভারতীয় নাগরিক অনুপ্রবেশ করানো হয়েছে। বিজিবি বিষয়টি দেখভাল করছে। তাদের আওতায় রয়েছে অনুপ্রবেশকারীরা। বিজিবির সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে। আমরা তাদের দ্রুত পুশব্যাক করানোর চেষ্টা করছি।

শান্তিপুর সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করা ২৭ জন নিজেদের গুজরাটের বাসিন্দা দাবি করেছেন। তাদের দাবি, গুজরাট থেকে উড়োজাহাজে করে সীমান্তে এনে বিএসএফ সদস্যরা তাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করায়। আটককৃতরা বাংলা ভাষাভাষী। একই দিন কুড়িগ্রামের রৌমারী ও ভূরুঙ্গামারী সীমান্তে আট বাংলাদেশিসহ ৪৪ জনকে আটক করা হয়।

সম্প্রতি মেহেরপুরের মুজিবনগর দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে জোর করে পাঠিয়ে দেয় বিএসএফ। আটকরা বিজিবিকে জানান, বিএসএফ সদস্যরা কাঁটাতারের বেড়া খুলে বাংলাদেশের মধ্যে তাদের ঠেলে দিয়েছে।

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

বাংলাদেশে ভারতীয়দের অনুপ্রবেশ সঠিক প্রক্রিয়ায় হয়নি : নিরাপত্তা উপদেষ্টা

আপডেট: ০৯:২৫:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা বিষয়ক হাইরিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমান – ছবি: সংগৃহীত

সীমান্তে ভারত যেভাবে পুশইন (অবৈধ অনুপ্রবেশ) করেছে তা সঠিক প্রক্রিয়া নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা বিষয়ক হাইরিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমান। বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

খাগড়াছড়ি ও কুড়িগ্রাম সীমান্তে ভারত থেকে সে দেশের নাগরিকসহ লোকজনকে পুশইন করার বিষয়ে জানতে চাইলে ড. খলিলুর রহমান বলেন, আমরা প্রতিটি কেস আলাদা আলাদাভাবে নিরীক্ষণ করছি।

আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, আমাদের দেশের নাগরিক যদি কেউ হয়ে থাকেন আর সেটা যদি প্রমাণিত হয় তাহলে তাদের আমরা গ্রহণ করব। তবে এটা ফরমাল চ্যানেলে হতে হবে। এভাবে পুশইন করাটা সঠিক প্রক্রিয়া নয়।

বিষয়টি নিয়ে দিল্লির সঙ্গে কথা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে জোরপূর্বক প্রবেশের বিষয়ে দিল্লিকে জানানো হয়েছে। কোনো বাংলাদেশি নাগরিক হলে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় তাদের পাঠানোর কথাও বলা হয়েছে।

বুধবার ভোর সাড়ে ৪টা থেকে মাটিরাঙা তাইন্দং সীমান্ত দিয়ে ১৫ জন, গোমতি ইউনিয়নের শান্তিপুর সীমান্ত দিয়ে ২৭ জন ও পানছড়ির লোগাং ইউনিয়নের রুপসেনপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২৪ জনসহ মোট ৬৬ জন ভারতীয় নাগরিককে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক করে বিজিবি। আটক ব্যক্তিরা নিজেদের গুজরাটের বাসিন্দা দাবি করেন। আটকরা বাংলা ভাষাভাষী।

তাদের গুজরাট থেকে বিমানে করে সীমান্তে নিয়ে এসে বিএসএফ সদস্যরা শান্তিপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করায় বলে জানা যায়।

খাগড়াছড়ির ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসন নাজমুন আরা সুলতানা জানান, সর্বশেষ খবর পর্যন্ত ৬৬ জন ভারতীয় নাগরিক অনুপ্রবেশ করানো হয়েছে। বিজিবি বিষয়টি দেখভাল করছে। তাদের আওতায় রয়েছে অনুপ্রবেশকারীরা। বিজিবির সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে। আমরা তাদের দ্রুত পুশব্যাক করানোর চেষ্টা করছি।

শান্তিপুর সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করা ২৭ জন নিজেদের গুজরাটের বাসিন্দা দাবি করেছেন। তাদের দাবি, গুজরাট থেকে উড়োজাহাজে করে সীমান্তে এনে বিএসএফ সদস্যরা তাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করায়। আটককৃতরা বাংলা ভাষাভাষী। একই দিন কুড়িগ্রামের রৌমারী ও ভূরুঙ্গামারী সীমান্তে আট বাংলাদেশিসহ ৪৪ জনকে আটক করা হয়।

সম্প্রতি মেহেরপুরের মুজিবনগর দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে জোর করে পাঠিয়ে দেয় বিএসএফ। আটকরা বিজিবিকে জানান, বিএসএফ সদস্যরা কাঁটাতারের বেড়া খুলে বাংলাদেশের মধ্যে তাদের ঠেলে দিয়েছে।

শেয়ার করুন