১২:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

বন্দরের ডেভেলপমেন্ট হলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে: আশিক চৌধুরী

ইউএনএ নিউজ প্রতিবেদক
  • আপডেট: ০৯:৩৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫
  • / 3

চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী – ছবি: ইউএনএ 

আমরা বাংলাদেশকে গ্লোবাল ম্যানুফেকচারিং হাব করতে চাই। আমাদের এখন মূল লক্ষ্য বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। এজন্য বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। বন্দরের ডেভেলপমেন্ট শুরু হলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে। পোর্টের জার্নির এমবিশন কিন্তু ৫-৬ বছরের মধ্যে ক্লোজ করা উচিত। চট্টগ্রামের সব পোর্ট ২০৩০-৩১ নাগাদ হয়ে যাওয়ার কথা। ১৯৯০ সালের দিকে চীনা পণ্যকে কোয়ালিটি ভালো বলতো না মানুষ। এখন পরিস্থিতি উল্টে গেছে। এটা রাতারাতি হয়নি।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী।

সকালে তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া টার্মিনাল, বে টার্মিনাল, ফ্রি ট্রেড জোন এলাকা এবং বন্দরের এনসিটির অপারেশনাল কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। দুপুরে তিনি রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউতে ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন।

আশিক চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশকে দীর্ঘমেয়াদে গ্লোবাল ফ্যাক্টরি করতে চাই, গ্লোবাল ম্যানুফেকচারিং হাব করতে চাই। আমাদের একটা তরুণ প্রজন্ম আছে। তাদের ব্যবসা, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। এটার জন্য আমাদের পোর্ট সিটি বা কমার্শিয়াল হাবকে ঠিকভাবে ডেভেলপ করতে হবে।

ঢাকা হচ্ছে অফিশিয়াল রাজধানী। চট্টগ্রাম ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিকভাবে কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রাম বিভাগে টোটাল ইন্ডাস্ট্রির ৩০-৪০ শতাংশ এখনই হয়। আমরা যে বড় বড় ইনিশিয়েটিভের কথা বলি, চায়না স্পেশাল ইকোনমিক জোন, মীরসরাই ইকোনমিক জোন, ফ্রি ট্রেড জোনের কথা বলছি সব চট্টগ্রামে। ম্যানুফেকচারিং পাওয়ার হাউসগুলো চট্টগ্রামে হবে। এর প্রধান কারণ চট্টগ্রামের বন্দরগুলো। বন্দরগুলোকে সাকসেসফুল করতে না পারলে সব মাস্টারপ্ল্যান ফেল হবে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের পোর্ট ক্যাপাসিটি কিন্তু লিমিটেড। পোর্ট ক্যাপাসিটি শুনে মনে হয় আমরা ছয় গুণ করে ফেলবো। কিন্তু সেই ছয় গুণ করার পরেও আমরা ভিয়েতনামের ধারে কাছেও যাবো না। ভিয়েতনামে টোটাল ফোরটি ফোর (৪৪) পোর্ট। আমাদের এখানে পাঁচটা বা ছয়টা পোর্ট আছে মাতারবাড়ী, মোংলাসহ। পোর্ট ক্যাপাসিটি আমাদের স্টিল লিমিটেড।

বিডার চেয়ারম্যান বলেন, ওয়ার্ল্ডের যারা টপ পোর্ট অপারেটর তাদের আনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের ল্যান্ড লিমিটেড, ক্যাপাসিটি লিমিটেড, সেই লিমিটেড ক্যাপাসিটিকে যাতে আমরা বেস্ট ইউটিলাইজ করতে পারি।

ভিয়েতনামে লজিস্টিক সাপোর্ট ভালো। আমাদের জায়গা কম। তাই সব বন্দরকে আমাদের শতভাগ সক্ষম করতে হবে। নয়তো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে না। বন্দরের ডেভেলপমেন্ট শুরু হলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে।

আমাদের বন্দরের শ্রমিকদের বিদেশি কোম্পানি প্রশিক্ষণ দেবে। আমাদের লেবারদের স্কিল লেবেল বাড়াতে পারলে বিশ্বের উন্নত বন্দরগুলোতে কাজ করতে পারবে। জাতীয় স্বার্থ ও প্রভাব বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমাদের শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করে ভালোভাবে বন্দর অপারেট করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল ইসলাম, ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিএমইউজে) সভাপতি মো. শাহনওয়াজ, সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

বন্দরের ডেভেলপমেন্ট হলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে: আশিক চৌধুরী

আপডেট: ০৯:৩৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫

চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী – ছবি: ইউএনএ 

আমরা বাংলাদেশকে গ্লোবাল ম্যানুফেকচারিং হাব করতে চাই। আমাদের এখন মূল লক্ষ্য বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। এজন্য বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। বন্দরের ডেভেলপমেন্ট শুরু হলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে। পোর্টের জার্নির এমবিশন কিন্তু ৫-৬ বছরের মধ্যে ক্লোজ করা উচিত। চট্টগ্রামের সব পোর্ট ২০৩০-৩১ নাগাদ হয়ে যাওয়ার কথা। ১৯৯০ সালের দিকে চীনা পণ্যকে কোয়ালিটি ভালো বলতো না মানুষ। এখন পরিস্থিতি উল্টে গেছে। এটা রাতারাতি হয়নি।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী।

সকালে তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া টার্মিনাল, বে টার্মিনাল, ফ্রি ট্রেড জোন এলাকা এবং বন্দরের এনসিটির অপারেশনাল কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। দুপুরে তিনি রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউতে ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন।

আশিক চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশকে দীর্ঘমেয়াদে গ্লোবাল ফ্যাক্টরি করতে চাই, গ্লোবাল ম্যানুফেকচারিং হাব করতে চাই। আমাদের একটা তরুণ প্রজন্ম আছে। তাদের ব্যবসা, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। এটার জন্য আমাদের পোর্ট সিটি বা কমার্শিয়াল হাবকে ঠিকভাবে ডেভেলপ করতে হবে।

ঢাকা হচ্ছে অফিশিয়াল রাজধানী। চট্টগ্রাম ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিকভাবে কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রাম বিভাগে টোটাল ইন্ডাস্ট্রির ৩০-৪০ শতাংশ এখনই হয়। আমরা যে বড় বড় ইনিশিয়েটিভের কথা বলি, চায়না স্পেশাল ইকোনমিক জোন, মীরসরাই ইকোনমিক জোন, ফ্রি ট্রেড জোনের কথা বলছি সব চট্টগ্রামে। ম্যানুফেকচারিং পাওয়ার হাউসগুলো চট্টগ্রামে হবে। এর প্রধান কারণ চট্টগ্রামের বন্দরগুলো। বন্দরগুলোকে সাকসেসফুল করতে না পারলে সব মাস্টারপ্ল্যান ফেল হবে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের পোর্ট ক্যাপাসিটি কিন্তু লিমিটেড। পোর্ট ক্যাপাসিটি শুনে মনে হয় আমরা ছয় গুণ করে ফেলবো। কিন্তু সেই ছয় গুণ করার পরেও আমরা ভিয়েতনামের ধারে কাছেও যাবো না। ভিয়েতনামে টোটাল ফোরটি ফোর (৪৪) পোর্ট। আমাদের এখানে পাঁচটা বা ছয়টা পোর্ট আছে মাতারবাড়ী, মোংলাসহ। পোর্ট ক্যাপাসিটি আমাদের স্টিল লিমিটেড।

বিডার চেয়ারম্যান বলেন, ওয়ার্ল্ডের যারা টপ পোর্ট অপারেটর তাদের আনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের ল্যান্ড লিমিটেড, ক্যাপাসিটি লিমিটেড, সেই লিমিটেড ক্যাপাসিটিকে যাতে আমরা বেস্ট ইউটিলাইজ করতে পারি।

ভিয়েতনামে লজিস্টিক সাপোর্ট ভালো। আমাদের জায়গা কম। তাই সব বন্দরকে আমাদের শতভাগ সক্ষম করতে হবে। নয়তো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে না। বন্দরের ডেভেলপমেন্ট শুরু হলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে।

আমাদের বন্দরের শ্রমিকদের বিদেশি কোম্পানি প্রশিক্ষণ দেবে। আমাদের লেবারদের স্কিল লেবেল বাড়াতে পারলে বিশ্বের উন্নত বন্দরগুলোতে কাজ করতে পারবে। জাতীয় স্বার্থ ও প্রভাব বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমাদের শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করে ভালোভাবে বন্দর অপারেট করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল ইসলাম, ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিএমইউজে) সভাপতি মো. শাহনওয়াজ, সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন