১১:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবি

যমুনার সামনে জুমা পড়লেন আন্দোলনরতরা : সমাবেশ শুরু

ইউএনএ প্রতিবেদক
  • আপডেট: ০২:৩২:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫
  • / 3

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে জুমার নামাজ আদায় করেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলনরতরা – ছবি : সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার মাধ্যমে নিষিদ্ধ করার দাবিতে আন্দোলনরতরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনের জুমার নামাজ আদায় করেছেন।

শুক্রবার (৯ মে) দুপুর ১টার দিকে আন্দোলনকারীরা মঞ্চ থেকে এসে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনের রাস্তার ওপরেই নামাজের প্রস্তুতি নেন।
কেউ জায়নামাজ, আবার কেউ রুমাল বিছিয়ে নামাজের জন্য বসেন। কাউকে কাউকে জাতীয় পতাকাকে সামনে রেখে সারিতে বসতে দেখা যায়।

সুন্নত নামাজ আদায় ও খুতবা শেষে দুপুর ১টা ১০ মিনিটে জুমার নামাজ শুরু হয়। এতে ইমামতি করেন এনসিপি নেতা মাওলানা সানাউল্লাহ।

এদিকে নামাজের শুরু থেকেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করেন। সেখানে পুলিশ এবং স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রোটেকশন ব্যাটালিয়নের (এসপিবিএন) সদস্যদের মোতায়েন থাকতে দেখা যায়।

গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ। জনরোষের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশ থেকে পালান দলটির প্রধান শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের হিসাব মতে, ওই অভ্যুত্থানে হাসিনার নির্দেশে নিরাপত্তা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডারদের হামলাসহ সহিংসতায় এক হাজার চারশ’ জন নিহত হন।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই তাদের বিচার দাবিতে সোচ্চার ছিলেন অভ্যুত্থানে সক্রিয় ছাত্র-জনতা।

বুধবার (৭ মে) গভীর রাতে চুপিসারে আওয়ামী লীগ আমলের দুইবারের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের প্রেক্ষাপটে দলটির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জোরদার হয়। জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বিভিন্ন প্লাটফর্ম এক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছার বিষয়েও প্রশ্ন তোলে।

এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টায় যমুনার সামনে এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর ডাকে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়।

এতে হাসনাতের দল এনসিপির পাশাপাশি যোগ দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবির, আপ বাংলাদেশ, জুলাই ঐক্য, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, কওমী মাদরাসার শিক্ষার্থী, ইনকিলাব মঞ্চসহ গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের নেতা-কর্মীরা। এ ছাড়া বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত হচ্ছেন।

সকালে ওই কর্মসূচি থেকে শুক্রবার জুমার নামাজের পর বড় সমাবেশের ঘোষণা দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। এজন্য যমুনা ভবনের পাশেই মিন্টো রোড সংলগ্ন ফোয়ারার কাছে পাঁচটি ট্রাকে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়। দুপুর ১২টায় যমুনার সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মঞ্চের দিকে যান আন্দোলনকারীরা।

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবি

যমুনার সামনে জুমা পড়লেন আন্দোলনরতরা : সমাবেশ শুরু

আপডেট: ০২:৩২:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে জুমার নামাজ আদায় করেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলনরতরা – ছবি : সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার মাধ্যমে নিষিদ্ধ করার দাবিতে আন্দোলনরতরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনের জুমার নামাজ আদায় করেছেন।

শুক্রবার (৯ মে) দুপুর ১টার দিকে আন্দোলনকারীরা মঞ্চ থেকে এসে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনের রাস্তার ওপরেই নামাজের প্রস্তুতি নেন।
কেউ জায়নামাজ, আবার কেউ রুমাল বিছিয়ে নামাজের জন্য বসেন। কাউকে কাউকে জাতীয় পতাকাকে সামনে রেখে সারিতে বসতে দেখা যায়।

সুন্নত নামাজ আদায় ও খুতবা শেষে দুপুর ১টা ১০ মিনিটে জুমার নামাজ শুরু হয়। এতে ইমামতি করেন এনসিপি নেতা মাওলানা সানাউল্লাহ।

এদিকে নামাজের শুরু থেকেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করেন। সেখানে পুলিশ এবং স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রোটেকশন ব্যাটালিয়নের (এসপিবিএন) সদস্যদের মোতায়েন থাকতে দেখা যায়।

গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ। জনরোষের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশ থেকে পালান দলটির প্রধান শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের হিসাব মতে, ওই অভ্যুত্থানে হাসিনার নির্দেশে নিরাপত্তা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডারদের হামলাসহ সহিংসতায় এক হাজার চারশ’ জন নিহত হন।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই তাদের বিচার দাবিতে সোচ্চার ছিলেন অভ্যুত্থানে সক্রিয় ছাত্র-জনতা।

বুধবার (৭ মে) গভীর রাতে চুপিসারে আওয়ামী লীগ আমলের দুইবারের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের প্রেক্ষাপটে দলটির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জোরদার হয়। জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বিভিন্ন প্লাটফর্ম এক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছার বিষয়েও প্রশ্ন তোলে।

এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টায় যমুনার সামনে এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর ডাকে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়।

এতে হাসনাতের দল এনসিপির পাশাপাশি যোগ দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবির, আপ বাংলাদেশ, জুলাই ঐক্য, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, কওমী মাদরাসার শিক্ষার্থী, ইনকিলাব মঞ্চসহ গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের নেতা-কর্মীরা। এ ছাড়া বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত হচ্ছেন।

সকালে ওই কর্মসূচি থেকে শুক্রবার জুমার নামাজের পর বড় সমাবেশের ঘোষণা দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। এজন্য যমুনা ভবনের পাশেই মিন্টো রোড সংলগ্ন ফোয়ারার কাছে পাঁচটি ট্রাকে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়। দুপুর ১২টায় যমুনার সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মঞ্চের দিকে যান আন্দোলনকারীরা।

শেয়ার করুন