অবশেষে ক্ষমা চাইলেন শামীম

- আপডেট: ১২:৫০:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
- / 5
শামীম হাসান সরকার – ছবি: সংগৃহীত
অভিনেতা শামীম হাসান সরকারের বিরুদ্ধে শুটিংয়ের সময় হেনস্তা, ধর্ষণের হুমকি এবং নেশাদ্রব্য সেবনের অভিযোগ এনেছেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা। তিনি একটি টিভি সেটের সাক্ষাৎকারে এসব অভিযোগের কথা বলেন। পাশাপাশি টিভি নাটকের অভিনয়শিল্পীদের সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘেও অভিযোগ জানান।
কিন্তু সব অভিযোগ অস্বীকার করে শিল্পী সংঘে পাল্টা অভিযোগ দেন শামীম হাসান সরকার। পাশাপাশি সংবাদ সম্মেলনও করেছেন এ অভিনেতা। সেখানে তিনি প্রিয়াঙ্কাসহ আরও কয়েকজন তারকাকে নিয়ে খোলামেলা বক্তব্য দেন।
এরপর সেসব নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। অনেক অভিনেতা, অভিনেত্রী ও প্রযোজক-নির্মাতা শামীমের লাগামহীন কথাবার্তার সমালোচনা করছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বৃহস্পতিবার রাতে অভিনয় শিল্পী সংঘের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। এতে অভিনেতা শামীম তার শুভাকাঙ্ক্ষী এবং নারী সহকর্মী প্রিয়াঙ্কার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
অভিনেতা শামীম হাসান সরকার বলেন, সম্প্রতি অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা প্রিয়ার সঙ্গে আমার একটা খারাপ এক্সপ্রিয়েন্স হয়। আমি তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছি। গালিগালাজ করেছি। সেই ঘটনার পর প্রিয়াঙ্কা সাথে আজ দেখা হয়েছে। আমি তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছি, আমার ভুলের জন্য লজ্জিত।
অভিনয় জীবনে শুধু প্রিয়াঙ্কাই নয়। বিভিন্নজনকে কষ্ট দিয়ে থাকতে পারেন। সেজন্য সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শামীম বলেন, হয়তো রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে কিছু বলেছি! আমি কথা দিচ্ছি আমার দ্বারা এরকম আর কখনো হবে না। খারাপ ব্যবহার বা খারাপ কথা কেউ পাবে না। আমার কথার মাধ্যমে আপনারা যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন, আমাকে মাপ করে দেবেন।
ওই ভিডিও বার্তায় সবশেষে তিনি বলেন, আমার শুভাকাঙ্ক্ষী যাদের কাছে অভিযোগটা গেছে সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। আপনাদের সবার কাছে কথা দিচ্ছি আমি এমনটা কখনো করব না।
এদিকে অভিনয় শিল্পী সংঘ এক পোস্টে জানিয়েছে, শামীম হাসান সরকার অভিনয় শিল্পী সংঘ বাংলাদেশ এর সদস্য সেহেতু সাংগঠনিক শৃঙ্খলা এবং শিষ্টাচার ভঙ্গ করায় অভিনেতাকে শেষবারের মতো সতর্ক করা হলো। পুনরায় এ ধরণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে শামীমের সদস্যপদ গঠনতান্ত্রিক নিয়মে খারিজ করা হবে।
এর আগে চায়ে চিনি কম হওয়ায় প্রোডাকশন বয়ের গায়ে গরম চা ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে অভিনেতা শামীম হাসান সরকারের বিরুদ্ধে। রাজধানীর উত্তরায় দোলনচাঁপা শুটিং হাউজে নির্মাতা আদিবাসী মিজানের শুটিং সেটে এ ঘটনা ঘটেছিল। বাংলাদেশ টেলিভিশন মিডিয়া প্রোডাকশন ম্যানেজার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার গণমাধ্যমে এ অভিযোগ জানান। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।