১১:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
ফেসবুক পোস্টে যা জানালেন সারজিস

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন দিন

ইউএনএ প্রতিবেদক
  • আপডেট: ০১:৪৯:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
  • / 10

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম -সংগৃহীত ছবি

জাতীয় নির্বাচনের আগে ঢাকা সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় নির্বাচন চেয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

সোমবার (১৯ মে) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হলে দেশ ও জনগণের কী উপকার হবে তা তুলে ধরেছেন।

ওই পোস্টে সারজিস আলম লিখেছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে ঢাকা সিটি করপোরেশনসহ সব স্থানীয় নির্বাচন হোক। তাহলে ইশরাক ভাইয়ের মতো যোগ্য ব্যক্তিরা তুলনামূলক লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে প্রতিযোগিতা করে গ্রহণযোগ্যতা এবং জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবে।

তা ছাড়া জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হলে আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে জনগণ এবং দেশ উপকৃত হবে।

বর্তমানে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের অফিসগুলোতে জনপ্রতিনিধির অভাবে যে সেবাগুলো বিঘ্নিত হচ্ছে জনগণ সেই সেবাগুলো আবার পেতে শুরু করবে।

জাতীয় নির্বাচনের আগে এই স্থানীয় নির্বাচন সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশের লিটমাস টেস্ট হতে পারে। যেমন : নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিচার বিভাগ।

স্বচ্ছ নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য এগুলো কতটা কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে সেই লিটমাস টেস্ট হতে পারে। অতঃপর প্রয়োজন অনুযায়ী সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন, বিয়োজন হতে পারে। সরাসরি জাতীয় নির্বাচন হলে যদি অপ্রত্যাশিত কিছু বিষয় পরিলক্ষিত হয় তাহলে সেগুলো সংশোধনের আর সুযোগ থাকবে না। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে মার্কা দিয়ে কিংবা সিলেকশন প্রক্রিয়ায় নমিনেশন দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের মাইম্যানকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে জনপ্রতিনিধি করা হয়। কিন্তু এই অন্তর্বর্তী সরকারের সময় সেই স্থানীয় নির্বাচন হলে মাইম্যান নয় বরং জনগণের রায়ে জনগণের ম্যান জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার অধিক সম্ভাবনা থাকে।

বিএনপি এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। তাদের কর্মী থেকে শুরু করে সমর্থনও সবচেয়ে বেশি। তাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি।

তবে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টা হবে সেটি হচ্ছে তাদের একাধিক প্রতিনিধির মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য এবং জনপ্রিয় মানুষটি নির্বাচিত হবে। চাঁদাবাজ, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী, সিন্ডিকেটের অংশীদার, তেলবাজরা জনপ্রতিনিধির চেয়ারে বসার সুযোগ পাবে না। আশা করি এ বিষয়ে তাদের দ্বিমত থাকবে না।

আগে স্থানীয় নির্বাচনের কথা বলছি বলে এখানে যেন জাতীয় নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র খোঁজা না হয়। প্রয়োজনে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে দেওয়া হোক। সেটা নিয়ে আমাদের আপত্তি থাকবে না।

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

ফেসবুক পোস্টে যা জানালেন সারজিস

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন দিন

আপডেট: ০১:৪৯:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম -সংগৃহীত ছবি

জাতীয় নির্বাচনের আগে ঢাকা সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় নির্বাচন চেয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

সোমবার (১৯ মে) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হলে দেশ ও জনগণের কী উপকার হবে তা তুলে ধরেছেন।

ওই পোস্টে সারজিস আলম লিখেছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে ঢাকা সিটি করপোরেশনসহ সব স্থানীয় নির্বাচন হোক। তাহলে ইশরাক ভাইয়ের মতো যোগ্য ব্যক্তিরা তুলনামূলক লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে প্রতিযোগিতা করে গ্রহণযোগ্যতা এবং জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবে।

তা ছাড়া জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হলে আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে জনগণ এবং দেশ উপকৃত হবে।

বর্তমানে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের অফিসগুলোতে জনপ্রতিনিধির অভাবে যে সেবাগুলো বিঘ্নিত হচ্ছে জনগণ সেই সেবাগুলো আবার পেতে শুরু করবে।

জাতীয় নির্বাচনের আগে এই স্থানীয় নির্বাচন সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশের লিটমাস টেস্ট হতে পারে। যেমন : নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিচার বিভাগ।

স্বচ্ছ নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য এগুলো কতটা কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে সেই লিটমাস টেস্ট হতে পারে। অতঃপর প্রয়োজন অনুযায়ী সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন, বিয়োজন হতে পারে। সরাসরি জাতীয় নির্বাচন হলে যদি অপ্রত্যাশিত কিছু বিষয় পরিলক্ষিত হয় তাহলে সেগুলো সংশোধনের আর সুযোগ থাকবে না। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে মার্কা দিয়ে কিংবা সিলেকশন প্রক্রিয়ায় নমিনেশন দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের মাইম্যানকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে জনপ্রতিনিধি করা হয়। কিন্তু এই অন্তর্বর্তী সরকারের সময় সেই স্থানীয় নির্বাচন হলে মাইম্যান নয় বরং জনগণের রায়ে জনগণের ম্যান জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার অধিক সম্ভাবনা থাকে।

বিএনপি এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। তাদের কর্মী থেকে শুরু করে সমর্থনও সবচেয়ে বেশি। তাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি।

তবে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টা হবে সেটি হচ্ছে তাদের একাধিক প্রতিনিধির মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য এবং জনপ্রিয় মানুষটি নির্বাচিত হবে। চাঁদাবাজ, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী, সিন্ডিকেটের অংশীদার, তেলবাজরা জনপ্রতিনিধির চেয়ারে বসার সুযোগ পাবে না। আশা করি এ বিষয়ে তাদের দ্বিমত থাকবে না।

আগে স্থানীয় নির্বাচনের কথা বলছি বলে এখানে যেন জাতীয় নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র খোঁজা না হয়। প্রয়োজনে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে দেওয়া হোক। সেটা নিয়ে আমাদের আপত্তি থাকবে না।

শেয়ার করুন