১২:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

সংস্কার-নির্বাচনী রোডম্যাপ দাবি করেছে জামায়াত

ইউএনএ প্রতিবেদক
  • আপডেট: ০২:৫৯:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
  • / 4

প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান -ছবি : ইউএনএ

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার কাছে মূলত দুটি বিষয়ে স্পষ্ট রোডম্যাপ চাওয়া হয়েছে।

শনিবার (২৪ মে) প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন জামায়াত আমির।

তিনি বলেন, আমরা বলেছি দুইটা বিষয় স্পষ্ট করা দরকার। একটা বলেছি, নির্বাচনটা কখন হবে? আপনি যে সময়সীমা দিয়েছেন, এর ভিতরেই জনগণের কোনো বড় ধরনের ভোগান্তি না হয়ে একটা স্বস্তিকর সময়ে নির্বাচনটা হওয়া দরকার। দুই নম্বর আমরা বলেছি, এই নির্বাচনের আগে অবশ্যই সংস্কার এবং বিচারের কিছু দৃশ্যমান প্রক্রিয়া জনগণের সামনে আসতে হবে।

জামায়াত আমির বলেন, সংস্কার শেষ না করে যদি কোনো নির্বাচন হয় এই নির্বাচনে জনগণ তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে না। আবার সব সংস্কার এখন করা সম্ভবও না। মাত্র পাঁচটি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে তারা হাত দিয়েছেন। এতটুকু নিষ্পত্তি করা দরকার সন্তোষজনকভাবে।

উপদেষ্টাদের পদত্যাগ ইস্যুতে জামায়াত আমির জানিয়েছেন, তারা কারও পদত্যাগ চাননি।

তিনি বলেন, ২৪ জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে দেশে একটি পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু এই পরিবর্তনের এখন যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন সরকারে তারা। তাদের পরিচয় হচ্ছে যে তারা কোনো পার্টিতে বিলং করবেন না। এটা হওয়া উচিত। কিন্তু এখানেও কিছু ব্যতিক্রম ঘটেছে। এটা সমাজকে মাঝে মাঝে উদ্বিগ্ন করেছে।

তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবেই এই পরিবর্তন বা বিপ্লবের অবশ্যম্ভাবী দাবি ছিল অর্থবহ কিছু সংস্কার করা লাগবে, এবং যারা অপরাধী তাদের বিচার করতে হবে। এই সংস্কার এবং বিচারের মধ্য দিয়েই একটি অর্থপূর্ণ নির্বাচন হবে এবং ওই নির্বাচনে সমতল মাঠ থাকবে। নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করবেন তাদেরকে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হতে হবে না। এখানে পেশিশক্তি ও কালো টাকার প্রভাব চলবে না।

তিনি বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছর দেশের মানুষ নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি, ভোটের অধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এবার তারা নিঃসংকোচে নিজেরাই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চায় এবং সেই সুযোগ পাবে নিশ্চিতভাবে। এটিই হচ্ছে জনগণের দাবি।

জামায়াত আমির বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যেই কয়েকবার বলেছেন, নির্বাচন তিনি দিতে চান এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যবর্তী কোনো এক সময়ে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট তিনি কোনো রোডম্যাপ দেননি। কোনো মাস, সপ্তাহ তিনি ঘোষণা করেননি। এটাকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের দাবি, নির্বাচনের রোডম্যাপের ব্যাপারে আছে। আমাদেরও কিছু রিকমেন্ডেশন ছিল।

আমরা তার প্রতি সম্মান রেখেই বলেছিলাম, দায়িত্ব আমরা তাকে সবাই মিলে দিয়েছি, তিনি চেয়ে নেননি এবং তিনি কোনো দলের পক্ষ থেকে নির্বাচিত কোনো দায়িত্বশীল নেতা নন। বরং তিনি জনগণের ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই জায়গায় একটি গুরুভার গ্রহণ করেছেন। তাকে আমরা তার সম্মান বজায় রেখে দেশের স্বার্থটা দেখবেন বলে আমরা সবসময় বলে আসছি।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা আজকেও এ ব্যাপারে কথা বলেছি। আমরা বলেছি, দুটি বিষয়ে স্পষ্ট করা দরকার। একটি নির্বাচন কবে হবে সেটা আপনি সময় দিয়েছেন কিন্তু এর ভেতরেই জনগণের কোনো বড় ধরনের ভোগান্তি না হয়ে একটি কমফোর্টেবল টাইমে একটি নির্বাচন হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। দ্বিতীয়টি হলো নির্বাচনের আগে অবশ্যই সংস্কার এবং দৃশ্যমান বিচার প্রক্রিয়া জনগণের সামনে আসতে হবে। সংস্কার শেষ না করে যদি নির্বাচন হয় তাহলে সেই নির্বাচনে জনগণ তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে না।

তিনি বলেন, আবার সব সংস্কারই এই সরকারের পক্ষে করা সম্ভব হবে না। মাত্র পাঁচটা সুনির্দিষ্ট বিষয়ে তারা হাত দিয়েছেন। এতটুকু নিষ্পত্তি হওয়া উচিত সন্তোষজনকভাবে। এর পাশাপাশি এখানে জুলাই ঘোষণাপত্র ব্যাপার স্যাপার আছে যা জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে জড়িত।

তিনি বলেন, অনেক দলের দাবির মধ্যেও কিছু ভিন্নতা আছে, এটা থাকবে। দলগুলোর মতেরও ভিন্নতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। গণতন্ত্রের সৌন্দর্য হচ্ছে, আমার মতো আমি প্রকাশ করবো, আরেকজনের মতের প্রতি আমি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবো। আমি কারো মতকে তুচ্ছ জ্ঞান করবো না, উপহাস করবো না এবং কাউকে অপমানিত করবো না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই সীমা আমরা মেনে চলতে পারিনি। আমাদের এটা পারা উচিত। গণতন্ত্রের সৌন্দর্যে ভিন্ন মত প্রকাশ করার সুযোগ, অবকাশ আছে।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি সমস্ত দলই দেশকে ভালোবাসে। এই ভালোবাসা দায়িত্ববোধ ও জায়গা থেকে আমরা যদি সব দল এগিয়ে আসি এবং আমরা যদি সংস্কারের প্রক্রিয়াকে অর্থবহ সহযোগিতা করি তাহলে একটি অর্থবহ সংস্কারের মধ্য দিয়ে আমরা একটি অর্থবহ নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারবো ইনশাল্লাহ। আমরা সেই দিনটির অপেক্ষায় আছি।

তিনি বলেন, সমাজে যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছিল এটাকে কেন্দ্র করে আপাত দৃষ্টিতে তা কিছুটা কমেছে। আমরা এর স্থায়ী নিষ্পত্তি চাই। আমরা মনে করি দুটো রোডম্যাপ ঘোষণা করলে শিগগিরই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। একটি হচ্ছে সংস্কারের রোডম্যাপ আরেকটা হচ্ছে নির্বাচনী রোডম্যাপ। এ দুটোই অতীব গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা মনে করি।

তিনি বলেন, আমরা দেশকে ভালোবাসার জায়গা থেকে, বিবেক ও দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে যেটা উত্তম মনে করেছি সেটাই বলেছি এবং সে ব্যাপারে কাজ করতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ন্যায় ও সত্যের পথে আমরা অবিচল থাকবো এবং দেশের স্বার্থকে আমরা বড় করে দেখবো এটাই আমাদের অঙ্গীকার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

সংস্কার-নির্বাচনী রোডম্যাপ দাবি করেছে জামায়াত

আপডেট: ০২:৫৯:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান -ছবি : ইউএনএ

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার কাছে মূলত দুটি বিষয়ে স্পষ্ট রোডম্যাপ চাওয়া হয়েছে।

শনিবার (২৪ মে) প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন জামায়াত আমির।

তিনি বলেন, আমরা বলেছি দুইটা বিষয় স্পষ্ট করা দরকার। একটা বলেছি, নির্বাচনটা কখন হবে? আপনি যে সময়সীমা দিয়েছেন, এর ভিতরেই জনগণের কোনো বড় ধরনের ভোগান্তি না হয়ে একটা স্বস্তিকর সময়ে নির্বাচনটা হওয়া দরকার। দুই নম্বর আমরা বলেছি, এই নির্বাচনের আগে অবশ্যই সংস্কার এবং বিচারের কিছু দৃশ্যমান প্রক্রিয়া জনগণের সামনে আসতে হবে।

জামায়াত আমির বলেন, সংস্কার শেষ না করে যদি কোনো নির্বাচন হয় এই নির্বাচনে জনগণ তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে না। আবার সব সংস্কার এখন করা সম্ভবও না। মাত্র পাঁচটি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে তারা হাত দিয়েছেন। এতটুকু নিষ্পত্তি করা দরকার সন্তোষজনকভাবে।

উপদেষ্টাদের পদত্যাগ ইস্যুতে জামায়াত আমির জানিয়েছেন, তারা কারও পদত্যাগ চাননি।

তিনি বলেন, ২৪ জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে দেশে একটি পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু এই পরিবর্তনের এখন যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন সরকারে তারা। তাদের পরিচয় হচ্ছে যে তারা কোনো পার্টিতে বিলং করবেন না। এটা হওয়া উচিত। কিন্তু এখানেও কিছু ব্যতিক্রম ঘটেছে। এটা সমাজকে মাঝে মাঝে উদ্বিগ্ন করেছে।

তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবেই এই পরিবর্তন বা বিপ্লবের অবশ্যম্ভাবী দাবি ছিল অর্থবহ কিছু সংস্কার করা লাগবে, এবং যারা অপরাধী তাদের বিচার করতে হবে। এই সংস্কার এবং বিচারের মধ্য দিয়েই একটি অর্থপূর্ণ নির্বাচন হবে এবং ওই নির্বাচনে সমতল মাঠ থাকবে। নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করবেন তাদেরকে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হতে হবে না। এখানে পেশিশক্তি ও কালো টাকার প্রভাব চলবে না।

তিনি বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছর দেশের মানুষ নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি, ভোটের অধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এবার তারা নিঃসংকোচে নিজেরাই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চায় এবং সেই সুযোগ পাবে নিশ্চিতভাবে। এটিই হচ্ছে জনগণের দাবি।

জামায়াত আমির বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যেই কয়েকবার বলেছেন, নির্বাচন তিনি দিতে চান এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যবর্তী কোনো এক সময়ে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট তিনি কোনো রোডম্যাপ দেননি। কোনো মাস, সপ্তাহ তিনি ঘোষণা করেননি। এটাকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের দাবি, নির্বাচনের রোডম্যাপের ব্যাপারে আছে। আমাদেরও কিছু রিকমেন্ডেশন ছিল।

আমরা তার প্রতি সম্মান রেখেই বলেছিলাম, দায়িত্ব আমরা তাকে সবাই মিলে দিয়েছি, তিনি চেয়ে নেননি এবং তিনি কোনো দলের পক্ষ থেকে নির্বাচিত কোনো দায়িত্বশীল নেতা নন। বরং তিনি জনগণের ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই জায়গায় একটি গুরুভার গ্রহণ করেছেন। তাকে আমরা তার সম্মান বজায় রেখে দেশের স্বার্থটা দেখবেন বলে আমরা সবসময় বলে আসছি।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা আজকেও এ ব্যাপারে কথা বলেছি। আমরা বলেছি, দুটি বিষয়ে স্পষ্ট করা দরকার। একটি নির্বাচন কবে হবে সেটা আপনি সময় দিয়েছেন কিন্তু এর ভেতরেই জনগণের কোনো বড় ধরনের ভোগান্তি না হয়ে একটি কমফোর্টেবল টাইমে একটি নির্বাচন হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। দ্বিতীয়টি হলো নির্বাচনের আগে অবশ্যই সংস্কার এবং দৃশ্যমান বিচার প্রক্রিয়া জনগণের সামনে আসতে হবে। সংস্কার শেষ না করে যদি নির্বাচন হয় তাহলে সেই নির্বাচনে জনগণ তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে না।

তিনি বলেন, আবার সব সংস্কারই এই সরকারের পক্ষে করা সম্ভব হবে না। মাত্র পাঁচটা সুনির্দিষ্ট বিষয়ে তারা হাত দিয়েছেন। এতটুকু নিষ্পত্তি হওয়া উচিত সন্তোষজনকভাবে। এর পাশাপাশি এখানে জুলাই ঘোষণাপত্র ব্যাপার স্যাপার আছে যা জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে জড়িত।

তিনি বলেন, অনেক দলের দাবির মধ্যেও কিছু ভিন্নতা আছে, এটা থাকবে। দলগুলোর মতেরও ভিন্নতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। গণতন্ত্রের সৌন্দর্য হচ্ছে, আমার মতো আমি প্রকাশ করবো, আরেকজনের মতের প্রতি আমি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবো। আমি কারো মতকে তুচ্ছ জ্ঞান করবো না, উপহাস করবো না এবং কাউকে অপমানিত করবো না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই সীমা আমরা মেনে চলতে পারিনি। আমাদের এটা পারা উচিত। গণতন্ত্রের সৌন্দর্যে ভিন্ন মত প্রকাশ করার সুযোগ, অবকাশ আছে।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি সমস্ত দলই দেশকে ভালোবাসে। এই ভালোবাসা দায়িত্ববোধ ও জায়গা থেকে আমরা যদি সব দল এগিয়ে আসি এবং আমরা যদি সংস্কারের প্রক্রিয়াকে অর্থবহ সহযোগিতা করি তাহলে একটি অর্থবহ সংস্কারের মধ্য দিয়ে আমরা একটি অর্থবহ নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারবো ইনশাল্লাহ। আমরা সেই দিনটির অপেক্ষায় আছি।

তিনি বলেন, সমাজে যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছিল এটাকে কেন্দ্র করে আপাত দৃষ্টিতে তা কিছুটা কমেছে। আমরা এর স্থায়ী নিষ্পত্তি চাই। আমরা মনে করি দুটো রোডম্যাপ ঘোষণা করলে শিগগিরই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। একটি হচ্ছে সংস্কারের রোডম্যাপ আরেকটা হচ্ছে নির্বাচনী রোডম্যাপ। এ দুটোই অতীব গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা মনে করি।

তিনি বলেন, আমরা দেশকে ভালোবাসার জায়গা থেকে, বিবেক ও দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে যেটা উত্তম মনে করেছি সেটাই বলেছি এবং সে ব্যাপারে কাজ করতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ন্যায় ও সত্যের পথে আমরা অবিচল থাকবো এবং দেশের স্বার্থকে আমরা বড় করে দেখবো এটাই আমাদের অঙ্গীকার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

শেয়ার করুন