১২:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

লেবুর খোসা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী

ইউএনএ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০১:০৭:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
  • / 4

এসেনশিয়াল তেল, ভিটামিন এবং লিমোনিন ও ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো যৌগে ভরপুর খোসার অংশ- ছবি : ফাইল ফটো

লেবুর চেয়ে লেবুর খোসা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। সাধারণত লেবুর খোসা ব্যবহার করে নানা ধরনের গৃহস্থালীর কাজকর্ম করা হয়। কিন্তু খোসার উপরিতলের পাতলা হলুদ-সবুজ অংশ বা ইংরেজিতে যাকে বলে জেস্ট তা বড়ই অবহেলার পাত্র। কিন্তু কোরানো খোসাও স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।

এসেনশিয়াল তেল, ভিটামিন এবং লিমোনিন ও ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো যৌগে ভরপুর খোসার এই অংশ। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, প্রদাহনাশী বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি খাবারের মধ্যে যোগ করা যায়। লেবুর রসের থেকেও বেশি পুষ্টিগুণ জেস্টে থাকে। স্বাদ রসের মতোই টক টক। তবে ছাড়ানোর সময়ে সতর্ক না থাকলে জেস্টের পরের স্তরের সাদা অংশ উঠে আসতে পারে। আর সে অংশের স্বাদ বেশ তেতো হয়। তাই রান্নায় বুঝেশুনে ব্যবহার না করলে তেতো হয়ে যেতে পারে খাবার।

লেবুর খোসার উপরিতলের (জেস্ট) উপকারিতা হলো :
১. অকালবার্ধক্য এবং কোষের ক্ষতির জন্য দায়ী ফ্রি র‌্যাডিকালস। সেগুলোর সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারে ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ভিটামিন সি। আর খোসার পাতলা স্তরে সে উপাদানগুলিরই আধিক্য থাকে। অ্যান্টি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে শরীরের উপকার করে। ক্যানসার, ডায়াবিটিস এবং হার্টের রোগের ঝুঁকি কিছুটা এড়ানো সম্ভব লেবুর জেস্ট খেলে।

২. লেবুর খোসার উপরিতলে থাকা ভিটামিন সি শ্বেত রক্তকণিকার উৎপাদনে এবং ক্রিয়াকলাপে সাহায্য করে। ফলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত হয়।

৩. কোলাজেনের অভাবে ত্বক ঔজ্জ্বল্য হারায়, বলিরেখা পড়ে, বয়সের ছাপ পড়ে। কিন্তু লেবুর খোসায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন সি কোলাজেনের উৎপাদন বাড়ায়। ফলে ত্বকের সমস্যাগুলি দূর হতে পারে লেবুর জেস্টের সাহায্যে। অতিবেগনি রশ্মি এবং দূষণের কারণে ত্বকের যে ক্ষতি হয় সে সব থেকেও রক্ষা করতে পারে এটি। ত্বকের স্বাস্থ্যকে ভিতর থেকে উন্নত করার জন্য লেবুর জেস্টের তুলনা হয় না।

৪. লেবুর খোসায় পাওয়া যায় লিমোনিন নামের এক ধরনের অপরিহার্য তেল। এটি যকৃতের উৎসেচকগুলিকে উদ্দীপিত করে। ফলে শরীরে থাকা বিষাক্ত পদার্থগুলো বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ শরীরকে ডিটক্সিফাই করে। তাছাড়া এটি পিত্ত উৎপাদন বাড়ায় বলে হজম ক্ষমতা উন্নত হয়।

৫. লেবুর জেস্টে পেকটিন নামে এক ধরনের দ্রবণীয় ফাইবার থাকে। তাই এটি খেলে দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভরা ভরা থাকে। হঠাৎ হঠাৎ খিদে পাওয়ার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে। ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে লেবুর খোসার উপরের পাতলা স্তর।

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

লেবুর খোসা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী

আপডেট: ০১:০৭:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

এসেনশিয়াল তেল, ভিটামিন এবং লিমোনিন ও ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো যৌগে ভরপুর খোসার অংশ- ছবি : ফাইল ফটো

লেবুর চেয়ে লেবুর খোসা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। সাধারণত লেবুর খোসা ব্যবহার করে নানা ধরনের গৃহস্থালীর কাজকর্ম করা হয়। কিন্তু খোসার উপরিতলের পাতলা হলুদ-সবুজ অংশ বা ইংরেজিতে যাকে বলে জেস্ট তা বড়ই অবহেলার পাত্র। কিন্তু কোরানো খোসাও স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।

এসেনশিয়াল তেল, ভিটামিন এবং লিমোনিন ও ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো যৌগে ভরপুর খোসার এই অংশ। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, প্রদাহনাশী বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি খাবারের মধ্যে যোগ করা যায়। লেবুর রসের থেকেও বেশি পুষ্টিগুণ জেস্টে থাকে। স্বাদ রসের মতোই টক টক। তবে ছাড়ানোর সময়ে সতর্ক না থাকলে জেস্টের পরের স্তরের সাদা অংশ উঠে আসতে পারে। আর সে অংশের স্বাদ বেশ তেতো হয়। তাই রান্নায় বুঝেশুনে ব্যবহার না করলে তেতো হয়ে যেতে পারে খাবার।

লেবুর খোসার উপরিতলের (জেস্ট) উপকারিতা হলো :
১. অকালবার্ধক্য এবং কোষের ক্ষতির জন্য দায়ী ফ্রি র‌্যাডিকালস। সেগুলোর সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারে ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ভিটামিন সি। আর খোসার পাতলা স্তরে সে উপাদানগুলিরই আধিক্য থাকে। অ্যান্টি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে শরীরের উপকার করে। ক্যানসার, ডায়াবিটিস এবং হার্টের রোগের ঝুঁকি কিছুটা এড়ানো সম্ভব লেবুর জেস্ট খেলে।

২. লেবুর খোসার উপরিতলে থাকা ভিটামিন সি শ্বেত রক্তকণিকার উৎপাদনে এবং ক্রিয়াকলাপে সাহায্য করে। ফলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত হয়।

৩. কোলাজেনের অভাবে ত্বক ঔজ্জ্বল্য হারায়, বলিরেখা পড়ে, বয়সের ছাপ পড়ে। কিন্তু লেবুর খোসায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন সি কোলাজেনের উৎপাদন বাড়ায়। ফলে ত্বকের সমস্যাগুলি দূর হতে পারে লেবুর জেস্টের সাহায্যে। অতিবেগনি রশ্মি এবং দূষণের কারণে ত্বকের যে ক্ষতি হয় সে সব থেকেও রক্ষা করতে পারে এটি। ত্বকের স্বাস্থ্যকে ভিতর থেকে উন্নত করার জন্য লেবুর জেস্টের তুলনা হয় না।

৪. লেবুর খোসায় পাওয়া যায় লিমোনিন নামের এক ধরনের অপরিহার্য তেল। এটি যকৃতের উৎসেচকগুলিকে উদ্দীপিত করে। ফলে শরীরে থাকা বিষাক্ত পদার্থগুলো বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ শরীরকে ডিটক্সিফাই করে। তাছাড়া এটি পিত্ত উৎপাদন বাড়ায় বলে হজম ক্ষমতা উন্নত হয়।

৫. লেবুর জেস্টে পেকটিন নামে এক ধরনের দ্রবণীয় ফাইবার থাকে। তাই এটি খেলে দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভরা ভরা থাকে। হঠাৎ হঠাৎ খিদে পাওয়ার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে। ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে লেবুর খোসার উপরের পাতলা স্তর।

শেয়ার করুন