০২:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের ‘লংমার্চ টু তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা’ কর্মসূচি

ইউএনএ প্রতিবেদক
  • আপডেট: ০৪:৪৪:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
  • / 13

 রাজধানির তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার সামনে  লং মার্চ টু তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা কর্মসূচি পালন করে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটটের শিক্ষার্থীরা – ছবি : ইউএনএ

পলিটেকনিক ছাত্র রাকিবুলকে নির্যাতন, ভিডিও ধারণ করার প্রতিবাদ এবং মামলা হওয়ার পরেও প্রশাসন সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করার প্রতিবাদে রোববার লং মার্চ টু তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, সকাল ১১টায় ক্যাম্পাস থেকে লংমার্চ শুরু করে বেলা ১২টায় তারা তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় পৌঁছান। পরে সেখানে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল থানায় পুলিশের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।

এর আগে তারা শনিবার বিকেলে লং মার্চের ঘোষণা দেন। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, গত ১৮ মে ছাত্রদল নেতারা রাকিবুল ইসলামকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে এবং সেই নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে। পরে আমরা থানায় মামলা করেছি। কিন্তু মামলা করার পরেও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তাই আমরা লংমার্চ ও থানার সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছি।

এর আগে গত ১৭ মে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে পাঁচ শিক্ষার্থীর ওপর ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

দ্রুততম সময়ে দোষীদের বহিষ্কার, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

ক্যাম্পাসের শহীদ মেধা চত্বরে হামলার এ ঘটনায় আহতরা হলেন কামরুল, ইয়াসিন, মানিক, সাগর, নাবিল। তারা সবাই ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্টের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র।

হামলাকারীরা হলেন ইলেকট্রিক্যাল ৩য় পর্বের ছাত্র আলিফ, সচীন ও ইলেকট্রনিকস ৩য় পর্বের ছাত্র সৈকত। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তারা পূর্বে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল ও বর্তমানে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত।

তারা আগেও ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। গত মাসে কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রোগ্রাম বন্ধ করতে তারা হামলা চালায় এবং তারও আগে সাকিব উল্লাহ নামের এক শিক্ষার্থীকে নির্মমভাবে মারধর করে। এদের নামে তেজগাঁও থানায় হত্যা চেষ্টা মামলাও রয়েছে।

জানা যায়, শনিবার (১৭ মে) ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্টের ৭ম পর্বের ক্লাস চলাকালীন ৩য় পর্বের কিছু শিক্ষার্থী উচ্চস্বরে গান গাওয়ায় শ্রেণিকক্ষে বিঘ্ন ঘটে। শিক্ষকদের অনুমতিক্রমে ৭ম পর্বের শিক্ষার্থীরা তাদের গান বন্ধ করার অনুরোধ জানায়। কিন্তু অনুরোধ করার পরও ৩য় পর্বের কিছু ছাত্র আধিপত্যবাদী আচরণ প্রদর্শন করে।

দুপুর ২টার দিকে ক্যাম্পাসের দক্ষিণ গেটে সিনিয়র ছাত্রদের টেনে নিয়ে গিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে। ঘটনাটি সম্পূর্ণ সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে।

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের ‘লংমার্চ টু তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা’ কর্মসূচি

আপডেট: ০৪:৪৪:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

 রাজধানির তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার সামনে  লং মার্চ টু তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা কর্মসূচি পালন করে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটটের শিক্ষার্থীরা – ছবি : ইউএনএ

পলিটেকনিক ছাত্র রাকিবুলকে নির্যাতন, ভিডিও ধারণ করার প্রতিবাদ এবং মামলা হওয়ার পরেও প্রশাসন সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করার প্রতিবাদে রোববার লং মার্চ টু তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, সকাল ১১টায় ক্যাম্পাস থেকে লংমার্চ শুরু করে বেলা ১২টায় তারা তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় পৌঁছান। পরে সেখানে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল থানায় পুলিশের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।

এর আগে তারা শনিবার বিকেলে লং মার্চের ঘোষণা দেন। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, গত ১৮ মে ছাত্রদল নেতারা রাকিবুল ইসলামকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে এবং সেই নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে। পরে আমরা থানায় মামলা করেছি। কিন্তু মামলা করার পরেও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তাই আমরা লংমার্চ ও থানার সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছি।

এর আগে গত ১৭ মে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে পাঁচ শিক্ষার্থীর ওপর ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

দ্রুততম সময়ে দোষীদের বহিষ্কার, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

ক্যাম্পাসের শহীদ মেধা চত্বরে হামলার এ ঘটনায় আহতরা হলেন কামরুল, ইয়াসিন, মানিক, সাগর, নাবিল। তারা সবাই ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্টের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র।

হামলাকারীরা হলেন ইলেকট্রিক্যাল ৩য় পর্বের ছাত্র আলিফ, সচীন ও ইলেকট্রনিকস ৩য় পর্বের ছাত্র সৈকত। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তারা পূর্বে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল ও বর্তমানে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত।

তারা আগেও ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। গত মাসে কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রোগ্রাম বন্ধ করতে তারা হামলা চালায় এবং তারও আগে সাকিব উল্লাহ নামের এক শিক্ষার্থীকে নির্মমভাবে মারধর করে। এদের নামে তেজগাঁও থানায় হত্যা চেষ্টা মামলাও রয়েছে।

জানা যায়, শনিবার (১৭ মে) ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্টের ৭ম পর্বের ক্লাস চলাকালীন ৩য় পর্বের কিছু শিক্ষার্থী উচ্চস্বরে গান গাওয়ায় শ্রেণিকক্ষে বিঘ্ন ঘটে। শিক্ষকদের অনুমতিক্রমে ৭ম পর্বের শিক্ষার্থীরা তাদের গান বন্ধ করার অনুরোধ জানায়। কিন্তু অনুরোধ করার পরও ৩য় পর্বের কিছু ছাত্র আধিপত্যবাদী আচরণ প্রদর্শন করে।

দুপুর ২টার দিকে ক্যাম্পাসের দক্ষিণ গেটে সিনিয়র ছাত্রদের টেনে নিয়ে গিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে। ঘটনাটি সম্পূর্ণ সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে।

শেয়ার করুন