০৪:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫

বড় বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করা হবে : গভর্নর

ইউএনএ প্রতিবেদক
  • আপডেট: ১২:৩২:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
  • / 11

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর -ফাইল ফটো

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, দুর্বল ব্যাংকগুলোর একীভূত করার আগে সরকার সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেবে। ব্যাংকগুলোর আমানতকারীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ আমানতকারীরা একটি শক্তিশালী ব্যাংকের অংশ হয়ে যাবেন।

মঙ্গলবার (২৭ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

গভর্নর বলেন, আমানতকারীরা যেন টাকা উত্তোলন না করেন। কারণ সরকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ায় তাদের আমানত নিরাপদই থাকবে। একীভূত করার আগে ব্যাংক রেজুলেশন ফান্ড গঠনের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক তহবিল সংগ্রহ করবে। স্টেটেজিক পার্টনার খোঁজা হবে এবং বড় বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করা হবে।

তিনি বলেন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে প্রতিবন্ধতার মুখে ফেলা হবে না। এ পর্যন্ত কোনো ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়নি এবং ব্যবসা পরিচালনায় কোনো বাধাও সৃষ্টি করা হয়নি। কেবল ব্যক্তিগত কিছু অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পাচার হওয়া অর্থ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওই সময়ে ১৮ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। এ অর্থ ফেরত আনতে তিন থেকে পাঁচ বছর সময় লাগবে। অর্থপাচার রোধে বা পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পূর্ব কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না।

এখন আন্তঃমন্ত্রণালয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় আইন ও বিধিমালা সংশোধন করবে সরকার। এ সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের ক্ষমতাও বাড়ানো হবে।

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

বড় বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করা হবে : গভর্নর

আপডেট: ১২:৩২:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর -ফাইল ফটো

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, দুর্বল ব্যাংকগুলোর একীভূত করার আগে সরকার সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেবে। ব্যাংকগুলোর আমানতকারীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ আমানতকারীরা একটি শক্তিশালী ব্যাংকের অংশ হয়ে যাবেন।

মঙ্গলবার (২৭ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

গভর্নর বলেন, আমানতকারীরা যেন টাকা উত্তোলন না করেন। কারণ সরকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ায় তাদের আমানত নিরাপদই থাকবে। একীভূত করার আগে ব্যাংক রেজুলেশন ফান্ড গঠনের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক তহবিল সংগ্রহ করবে। স্টেটেজিক পার্টনার খোঁজা হবে এবং বড় বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করা হবে।

তিনি বলেন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে প্রতিবন্ধতার মুখে ফেলা হবে না। এ পর্যন্ত কোনো ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়নি এবং ব্যবসা পরিচালনায় কোনো বাধাও সৃষ্টি করা হয়নি। কেবল ব্যক্তিগত কিছু অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পাচার হওয়া অর্থ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওই সময়ে ১৮ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। এ অর্থ ফেরত আনতে তিন থেকে পাঁচ বছর সময় লাগবে। অর্থপাচার রোধে বা পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পূর্ব কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না।

এখন আন্তঃমন্ত্রণালয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় আইন ও বিধিমালা সংশোধন করবে সরকার। এ সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের ক্ষমতাও বাড়ানো হবে।

শেয়ার করুন