০২:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫
তালাবদ্ধ রয়েছে নগর ভবন

নগর ভবনের জরুরি কাজকর্ম চলছে অন্যত্র

ইউএনএ প্রতিবেদক
  • আপডেট: ০৯:৪৭:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • / 6

তালাবদ্ধই রাখা হয়েছে নগর ভবন-ফাইল ছবি

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে টানা ২১ দিন আন্দোলনের পর ঈদ উপলক্ষ্যে বুধবার থেকে বিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে তালাবদ্ধই রাখা হয়েছে নগর ভবন। এ কারণে সেবা নিতে এসেও ফিরে গেছেন অনেকে।

ভবন তালাবদ্ধ থাকায় সেখানে কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও প্রবেশ করতে পারছেন না। পাশের সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল আর ওয়াসা ভবনে বসে জরুরি কাজ সারছেন তারা।

নগরভবনে গিয়ে দেখা যায়, সেবাপ্রার্থীর পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফিরে যাচ্ছেন। তাঁতীবাজারের বাসিন্দা আব্দুর রসুল সমকালকে বলেন, ছেলের জন্মসনদের জন্য ১৫ দিন ধরে এসেও ফেরত চলে যেতে হচ্ছে। ভেবেছিলাম আন্দোলনে যেহেতু বিরতি দেওয়া হয়েছে, তাই হয়তো অফিস খুলেছে। তবে এসে দেখি ভবনের তালা খুলেনি।

বুধবার দুপুরে ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা রাসেল রহমান ও তথ্য কর্মকর্তা জোবায়ের হোসেন নগর ভবনে এসে ফেরত যাচ্ছিলেন। তারা বলেন, প্রতিদিন অফিসে এসেও ফেরত চলে যেতে হয়। কারণ ভবন তালাবদ্ধ। জরুরি কিছু কাজের জন্য ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী সরকারী কর্মচারী হাসপাতালের একটি কক্ষে বসেছেন, সেখানেই তারা যাচ্ছেন।

বর্তমান প্রশাসক ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বও পালন করছেন। সেখানেও ডিএসসিসির কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এদিন সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে প্রবেশ করছিলেন তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী খাইরুল বাকের। তিনি বলেন, প্রধান নির্বাহী এখানে বসেছেন। তাই এখানেই ফাইলপত্র নিয়ে এসেছি।

গত মঙ্গলবার ইশরাক হোসেন নগর ভবনের সামনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দেন। এ সময় তিনি বলেন, সামনে ঈদ, জনগণের ভোগান্তি ও যাতায়াতের কথা মাথায় রেখে আমরা নগর ভবনে অবরোধ এবং ঘেরাওয়ের কর্মসূচি কিছুটা শিথিল, কিছুটা বিরতি দিয়েছি। তবে এই সরকারকে এখন বাধ্য হয়ে বলতে হচ্ছে, অবিলম্বে মেয়র পদে শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা না করলে ভোটারদের নিয়ে নিজেই শপথ পড়ে চেয়ারে বসবো।

ইশরাকের শপথ আয়োজনের দাবিতে নগর ভবনের মূল ফটকে গত ১৫ মে তালা ঝুলিয়ে দেন তার সমর্থকরা। তারপর থেকে কার্যত বন্ধ রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের সেবা কার্যক্রম।

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

তালাবদ্ধ রয়েছে নগর ভবন

নগর ভবনের জরুরি কাজকর্ম চলছে অন্যত্র

আপডেট: ০৯:৪৭:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

তালাবদ্ধই রাখা হয়েছে নগর ভবন-ফাইল ছবি

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে টানা ২১ দিন আন্দোলনের পর ঈদ উপলক্ষ্যে বুধবার থেকে বিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে তালাবদ্ধই রাখা হয়েছে নগর ভবন। এ কারণে সেবা নিতে এসেও ফিরে গেছেন অনেকে।

ভবন তালাবদ্ধ থাকায় সেখানে কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও প্রবেশ করতে পারছেন না। পাশের সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল আর ওয়াসা ভবনে বসে জরুরি কাজ সারছেন তারা।

নগরভবনে গিয়ে দেখা যায়, সেবাপ্রার্থীর পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফিরে যাচ্ছেন। তাঁতীবাজারের বাসিন্দা আব্দুর রসুল সমকালকে বলেন, ছেলের জন্মসনদের জন্য ১৫ দিন ধরে এসেও ফেরত চলে যেতে হচ্ছে। ভেবেছিলাম আন্দোলনে যেহেতু বিরতি দেওয়া হয়েছে, তাই হয়তো অফিস খুলেছে। তবে এসে দেখি ভবনের তালা খুলেনি।

বুধবার দুপুরে ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা রাসেল রহমান ও তথ্য কর্মকর্তা জোবায়ের হোসেন নগর ভবনে এসে ফেরত যাচ্ছিলেন। তারা বলেন, প্রতিদিন অফিসে এসেও ফেরত চলে যেতে হয়। কারণ ভবন তালাবদ্ধ। জরুরি কিছু কাজের জন্য ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী সরকারী কর্মচারী হাসপাতালের একটি কক্ষে বসেছেন, সেখানেই তারা যাচ্ছেন।

বর্তমান প্রশাসক ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বও পালন করছেন। সেখানেও ডিএসসিসির কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এদিন সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে প্রবেশ করছিলেন তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী খাইরুল বাকের। তিনি বলেন, প্রধান নির্বাহী এখানে বসেছেন। তাই এখানেই ফাইলপত্র নিয়ে এসেছি।

গত মঙ্গলবার ইশরাক হোসেন নগর ভবনের সামনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দেন। এ সময় তিনি বলেন, সামনে ঈদ, জনগণের ভোগান্তি ও যাতায়াতের কথা মাথায় রেখে আমরা নগর ভবনে অবরোধ এবং ঘেরাওয়ের কর্মসূচি কিছুটা শিথিল, কিছুটা বিরতি দিয়েছি। তবে এই সরকারকে এখন বাধ্য হয়ে বলতে হচ্ছে, অবিলম্বে মেয়র পদে শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা না করলে ভোটারদের নিয়ে নিজেই শপথ পড়ে চেয়ারে বসবো।

ইশরাকের শপথ আয়োজনের দাবিতে নগর ভবনের মূল ফটকে গত ১৫ মে তালা ঝুলিয়ে দেন তার সমর্থকরা। তারপর থেকে কার্যত বন্ধ রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের সেবা কার্যক্রম।

শেয়ার করুন