০২:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

কিশোর গ্যাংয়ের আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যাবস্থা নেয়া হবে: র‌্যাব

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৫:০৪:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / 30

ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা স্থানীয় বড় ভাইদের হয়ে কাজ করে।অনেকেই এসব গ্রুপের সদস্যদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। যারা এসব গ্যাং গ্রুপের মদদদাতা রয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান চলমান রয়েছে। 

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় র‌্যাব-১ এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কিশোর গ্যাং গ্রুপ প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার মহাখালী, বনানী, বিমানবন্দর, টঙ্গি ও গাজীপুর এলাকায় একাধিক অভিযান চালিয়ে ৬টি কিশোর গ্যাং গ্রুপের দলনেতাসহ ৩৭ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১।

অভিযানে আসামিদের কাছ থেকে ৫০০ গ্রাম গাজা, ২৪ টি মোবাইল, ১টি ব্লেড, ১টি কুড়াল, ১টি পাওয়ার ব্যাংক, ৫টি রড, ১৬টি চাকু, ৩টি লোহার চেইন, ১টি হাতুড়ি, ১টি মোটরসাইকেল এবং নগদ ২৪ হাজার ২৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও বলেন বর্তমান সময়ে কিশোর গ্যাং, গ্যাং কালচার, উঠতি বয়সি ছেলেদের মাঝে ক্ষমতা বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক গ্রুপের সঙ্গে অন্য গ্রুপের মারামারি করা বহুল আলোচিত ঘটনা। গ্যাং সদস্যরা এলাকায় নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে দলবেঁধে ঘুরে, বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালায়, পথচারীদের উত্ত্যক্ত করে এবং ছোটখাটো বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মারামারি করে।  

এছাড়াও তারা নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে তাদের বিশৃঙ্খলায় কেউ প্রতিবাদ করলেও খুন করতেও দ্বিধাবোধ করে না। এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর মহাখালী, বনানী, বিমানবন্দর, টঙ্গি ও গাজীপুর এলাকায় একাধিক অভিযানে কিশোর গ্যাং গ্রুপ ‘০০৭ গ্রুপের দলনেতা আল-আমিন, জাউরা গ্রুপের দলনেতা মাহাবুব, বাবা গ্রুপের দলনেতা সাদ, হাই ভোল্টেজ গ্রুপের মনা, ডি কোম্পানির দলনেতা পাপ্পু ওরফে লন্ডন পাপ্পু ও তার অন্যতম দুই সহযোগী  আকাশ ও আমির হোসেন, জাহাঙ্গীর গ্রুপের দলনেতা বয়রা জাহাঙ্গীরসহ ৩৭ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ের নেতাদের ছত্রছায়ায় বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক মিছিল মিটিংয়ে দেখা যায়। এসব মদদদাতাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোস্তাক আহমেদ বলেন, আমি সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই অপরাধীদের কোনো দল বা ঠিকানা থাকতে পারে না। তাদের কোনো পরিচয় বিষয় না। তারা কার হয়ে কাজ করে সেটিও বিবেচ্য বিষয় নয়। কোনো অপরাধ করলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।  

শেয়ার করুন
ট্যাগ :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

কিশোর গ্যাংয়ের আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যাবস্থা নেয়া হবে: র‌্যাব

আপডেট: ০৫:০৪:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা স্থানীয় বড় ভাইদের হয়ে কাজ করে।অনেকেই এসব গ্রুপের সদস্যদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। যারা এসব গ্যাং গ্রুপের মদদদাতা রয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান চলমান রয়েছে। 

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় র‌্যাব-১ এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কিশোর গ্যাং গ্রুপ প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার মহাখালী, বনানী, বিমানবন্দর, টঙ্গি ও গাজীপুর এলাকায় একাধিক অভিযান চালিয়ে ৬টি কিশোর গ্যাং গ্রুপের দলনেতাসহ ৩৭ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১।

অভিযানে আসামিদের কাছ থেকে ৫০০ গ্রাম গাজা, ২৪ টি মোবাইল, ১টি ব্লেড, ১টি কুড়াল, ১টি পাওয়ার ব্যাংক, ৫টি রড, ১৬টি চাকু, ৩টি লোহার চেইন, ১টি হাতুড়ি, ১টি মোটরসাইকেল এবং নগদ ২৪ হাজার ২৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও বলেন বর্তমান সময়ে কিশোর গ্যাং, গ্যাং কালচার, উঠতি বয়সি ছেলেদের মাঝে ক্ষমতা বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক গ্রুপের সঙ্গে অন্য গ্রুপের মারামারি করা বহুল আলোচিত ঘটনা। গ্যাং সদস্যরা এলাকায় নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে দলবেঁধে ঘুরে, বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালায়, পথচারীদের উত্ত্যক্ত করে এবং ছোটখাটো বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মারামারি করে।  

এছাড়াও তারা নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে তাদের বিশৃঙ্খলায় কেউ প্রতিবাদ করলেও খুন করতেও দ্বিধাবোধ করে না। এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর মহাখালী, বনানী, বিমানবন্দর, টঙ্গি ও গাজীপুর এলাকায় একাধিক অভিযানে কিশোর গ্যাং গ্রুপ ‘০০৭ গ্রুপের দলনেতা আল-আমিন, জাউরা গ্রুপের দলনেতা মাহাবুব, বাবা গ্রুপের দলনেতা সাদ, হাই ভোল্টেজ গ্রুপের মনা, ডি কোম্পানির দলনেতা পাপ্পু ওরফে লন্ডন পাপ্পু ও তার অন্যতম দুই সহযোগী  আকাশ ও আমির হোসেন, জাহাঙ্গীর গ্রুপের দলনেতা বয়রা জাহাঙ্গীরসহ ৩৭ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ের নেতাদের ছত্রছায়ায় বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক মিছিল মিটিংয়ে দেখা যায়। এসব মদদদাতাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোস্তাক আহমেদ বলেন, আমি সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই অপরাধীদের কোনো দল বা ঠিকানা থাকতে পারে না। তাদের কোনো পরিচয় বিষয় না। তারা কার হয়ে কাজ করে সেটিও বিবেচ্য বিষয় নয়। কোনো অপরাধ করলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।  

শেয়ার করুন