আগামী ৩০ বছরে ধ্বংসের ঝুঁকিতে অ্যামাজন রেইনফরেস্ট

- আপডেট: ০৭:০০:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / 45
অ্যামাজন পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ ‘কার্বন বেসিন’, যা হাজার হাজার কোটি টন কার্বন ধারণ করে আছে।তাই পৃথিবীর অক্সিজেন বলা হয় অ্যামাজন বনকে।অ্যামাজনের বিশাল বনে এমন কঠোর পরিবর্তন কেবল আঞ্চলিক জলবায়ুর ফল নয় বরং গোটা বিশ্বেই এর প্রভাব পড়ে।
বন ধ্বংসের একাধিক কারণ একসঙ্গে ঘটায় ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় অর্ধেক অ্যামাজন আফ্রিকার সাভানা তৃণভূমির মতো কম গাছওয়ালা খোলা বনের চেহারা পেতে পারে।এই তথ্য জানিয়েছে অনলাইন সংবাদ সাইট ফিউচারিজমের প্রতিবেদনে।
এছাড়াও বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল ‘নেচার’-এ প্রকাশিত নতুন এক গবেষণাপত্রে বলা হেয়েছে,ব্রাজিলের বিখ্যাত অ্যামাজন রেইনফরেস্টের বড় এক অংশ এমন ‘সংকটের মুখে রয়েছে যে, বন উজাড় ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আগামী ৩০ বছরের আগেই অ্যামাজন ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
“অ্যামাজনকে নিরাপদ সীমার মধ্যে সুরক্ষিত রাখার জন্য সমন্বিত স্থানীয় ও বৈশ্বিক প্রচেষ্টা লাগবে,” বলেছেন ‘টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অফ মিউনিখ’-এর ‘আর্থ সিস্টেম মডেলিং’ বিভাগের অধ্যাপক ও এ গবেষণার সহ-লেখক নিকলাস বোয়ার্স।
তিনি আরও বলেছেন, পাশাপাশি বন উজাড় বন্ধ করে সেখাসে প্রচুর গাছপালা লাগাতে হবে। সেইসেঙ্গে গোটা বিশ্বে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ বন্ধ করতেও অনেক পদক্ষেপ নিতে হবে।
গবেষকদের মতে, অ্যামাজনের বন উজাড় হওয়ার হার বেড়ে যাওয়ার পেছনে আগুন ও তাপমাত্রার ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধির মতো বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে, যা অ্যামাজনকে ‘প্রতি মুহূর্তে খালি করে দিচ্ছে’। এ বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণে রাখলে বন ধ্বংস ও অবক্ষয় কম হবে।উদাহরণ হিসাবে, বৃষ্টিপাত ও আগুনের মতো অনুষঙ্গগুলোর দিকে নজর রাখা যেতে পারে।
“প্রতি বছর অ্যামাজনে বৃষ্টিপাতের মাত্রা ১৮০০ মিলিমিটারের কম হওয়ায় এটি রেইনফরেস্ট থেকে সাভানার মতো গাছপালায় আকস্মিকভাবে রূপান্তরের ঝুঁকি রয়েছে, যার মূল উদ্দীপক হতে পারে খরা বা দাবানল। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় অ্যামাজন বনে খরা ও দাবালন বৃদ্ধির মাত্রা গুরুতর হয়ে উঠেছে,” এক বিবৃতিতে বলেছেন ‘পটসডাম ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইমেট ইমপ্যাক্ট রিসার্চ’-এর বিজ্ঞানী ও সহ গবেষক।
এদিকে, দক্ষিণ আমেরিকার বৃষ্টিপাতের ওপরও অ্যামাজনের আর্দ্রতার বড় প্রভাব রয়েছে।