০৪:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

রুক্ষ চুলের সমস্যায় সহজ সমাধান

লাইফস্টাইল ডেস্ক
  • আপডেট: ০৪:০৮:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মে ২০২৪
  • / 27

ফাইল ছবি

নারীর সৌন্দর্য বর্ধনে চুলের ভূমিকার কোন তুলনা হয় না। যে কোনো নারীকে খুব সহজেই রূপবতী করে তুলতে পারে তার ঝলমলে রেশমি চুল আর এই চুলই যখন রুক্ষ হয়ে পড়ে তখন লাবণ্যময়ী একটি চেহারাতেও এনে দেয় মলিনতার ছাপ। আমাদের বর্তমান যান্ত্রিক জীবনে চুল রুক্ষ হওয়ার অনেক কারণ আছে। চুল রুক্ষ হওয়ার একটি অন্যতম কারণ ধূলোবালি। ঝলমলে স্বাস্থ্যকর চুল তো পেতে চান সবাই। কিন্তু এই প্রচণ্ড গরমে সারাক্ষণ ঘামছে মাথার ত্বক। মাথার ত্বক পরিষ্কার করতে তাই দ্বারস্থ হতে হচ্ছে শ্যাম্পুর। এতে চুল পরিষ্কার হলেও হয়ে উঠছে রুক্ষ। শখের চুল চট করে ছোট করে ফেলাও তো সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাহলে উপায়? চুলের রুক্ষতা দুর করার রয়েছে সহজ উপায়। বাড়িতে থাকা সহজ তিনটি উপাদানেই এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

চুলের রুক্ষতা দূরীকরণের সহজ ৬টি উপায়

১. চুল বা ত্বকের সুস্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে উপকারী ওষুধ হল পানি। প্রচুর পরিমাণে পানি আমাদের শরীরকে যেমন সতেজ রাখে তেমনি আমাদের চুলকেও রাখে সতেজ। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দিনে ২-৩ লিটার পানি পান করা উচিত।

২. চুলের রুক্ষতা দূরীকরণে তেলের সাথে অন্য কিছুর তুলনা হয় না। অলিভ অয়েল অথবা রেড়ির তেল (ক্যাস্টর অয়েল) যেকোনো তেলই চুলকে মসৃণ করে তোলে। যেকোনো তেল রাতে ঘুমানোর আগে দিয়ে সকালে উঠে শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করে ফেলা সবচেয়ে উত্তম।

তবে যাদের তেল বেশিক্ষণ রাখতে সমস্যা তারা গোসলের ১ ঘণ্টা আগে তেলটি হালকা কুসুম গরম করে নিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করে নিতে পারেন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলতে পারেন। যেকোনো প্রকার তেলের মধ্যে চুলের রুক্ষতার জন্য অলিভ অয়েল সবচেয়ে ভালো। চুলকে কোমল ও লাবণ্যময়ী করে তোলে।

৩. যাদের চুল রুক্ষ আর সাথে খুশকিও আছে তারা হালকা কুসুম গরম তেলের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে দিতে পারেন আর শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার হিসেবে ১/২ মগ পানিতে সাদা ভিনেগার মিশিয়ে দিতে পারেন। এতে চুল ঝরঝরে হয় আর চুল খুশকি মুক্তও হয়।

৪. চুলকে ময়েশ্চারাইজ করতে ও রুক্ষতা দূর করতে মেয়নেজও ব্যবহার করতে পারেন। ১/২ কাপ মেয়নেজ নিয়ে হালকা গরম করে মাথায় ৪০-৪৫ মিনিট রাখুন। এতে চুলের রুক্ষ ভাব চলে যায় আর চুল অনেক সিল্কি হয়ে উঠবে।

৫. চুলের রুক্ষতার জন্য মেহেদি প্যাকও ব্যবহার করতে পারেন। বাজারে এখন বিভিন্ন ধরনের মেহেদি পাওয়া যায়। সেগুলোর প্যাক বানিয়ে ১ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেললেও চুল অনেক কোমল ও ঝরঝরে হয়ে উঠে।

৬. তবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলকে কোমল, নমনীয় ও ঝলমলে করার একটি অন্যতম উপায় হল- ১টি পাকা কলা, ১টি ডিম, ২-৩ চা চামচ টক দই, ২-৩ চা চামচ মধু, ১টি লেবুর সম্পূর্ণ রস সবকিছু একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে সেটি মাথায় ১ ঘণ্টার মতো রাখতে হবে। মিশ্রণটি দেওয়ার আগে চুলে ভালো করে তেল ম্যাসাজ করে নিতে হবে। এতে করে প্যাকটি খুব সহজে চুলে বসবে। অনেক সময় অনেকের চুলে মধু স্যুট করে না। সেক্ষেত্রে তারা মধু পরিহার করতে পারেন।

শেয়ার করুন
ট্যাগ :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

রুক্ষ চুলের সমস্যায় সহজ সমাধান

আপডেট: ০৪:০৮:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মে ২০২৪

ফাইল ছবি

নারীর সৌন্দর্য বর্ধনে চুলের ভূমিকার কোন তুলনা হয় না। যে কোনো নারীকে খুব সহজেই রূপবতী করে তুলতে পারে তার ঝলমলে রেশমি চুল আর এই চুলই যখন রুক্ষ হয়ে পড়ে তখন লাবণ্যময়ী একটি চেহারাতেও এনে দেয় মলিনতার ছাপ। আমাদের বর্তমান যান্ত্রিক জীবনে চুল রুক্ষ হওয়ার অনেক কারণ আছে। চুল রুক্ষ হওয়ার একটি অন্যতম কারণ ধূলোবালি। ঝলমলে স্বাস্থ্যকর চুল তো পেতে চান সবাই। কিন্তু এই প্রচণ্ড গরমে সারাক্ষণ ঘামছে মাথার ত্বক। মাথার ত্বক পরিষ্কার করতে তাই দ্বারস্থ হতে হচ্ছে শ্যাম্পুর। এতে চুল পরিষ্কার হলেও হয়ে উঠছে রুক্ষ। শখের চুল চট করে ছোট করে ফেলাও তো সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাহলে উপায়? চুলের রুক্ষতা দুর করার রয়েছে সহজ উপায়। বাড়িতে থাকা সহজ তিনটি উপাদানেই এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

চুলের রুক্ষতা দূরীকরণের সহজ ৬টি উপায়

১. চুল বা ত্বকের সুস্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে উপকারী ওষুধ হল পানি। প্রচুর পরিমাণে পানি আমাদের শরীরকে যেমন সতেজ রাখে তেমনি আমাদের চুলকেও রাখে সতেজ। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দিনে ২-৩ লিটার পানি পান করা উচিত।

২. চুলের রুক্ষতা দূরীকরণে তেলের সাথে অন্য কিছুর তুলনা হয় না। অলিভ অয়েল অথবা রেড়ির তেল (ক্যাস্টর অয়েল) যেকোনো তেলই চুলকে মসৃণ করে তোলে। যেকোনো তেল রাতে ঘুমানোর আগে দিয়ে সকালে উঠে শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করে ফেলা সবচেয়ে উত্তম।

তবে যাদের তেল বেশিক্ষণ রাখতে সমস্যা তারা গোসলের ১ ঘণ্টা আগে তেলটি হালকা কুসুম গরম করে নিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করে নিতে পারেন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলতে পারেন। যেকোনো প্রকার তেলের মধ্যে চুলের রুক্ষতার জন্য অলিভ অয়েল সবচেয়ে ভালো। চুলকে কোমল ও লাবণ্যময়ী করে তোলে।

৩. যাদের চুল রুক্ষ আর সাথে খুশকিও আছে তারা হালকা কুসুম গরম তেলের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে দিতে পারেন আর শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার হিসেবে ১/২ মগ পানিতে সাদা ভিনেগার মিশিয়ে দিতে পারেন। এতে চুল ঝরঝরে হয় আর চুল খুশকি মুক্তও হয়।

৪. চুলকে ময়েশ্চারাইজ করতে ও রুক্ষতা দূর করতে মেয়নেজও ব্যবহার করতে পারেন। ১/২ কাপ মেয়নেজ নিয়ে হালকা গরম করে মাথায় ৪০-৪৫ মিনিট রাখুন। এতে চুলের রুক্ষ ভাব চলে যায় আর চুল অনেক সিল্কি হয়ে উঠবে।

৫. চুলের রুক্ষতার জন্য মেহেদি প্যাকও ব্যবহার করতে পারেন। বাজারে এখন বিভিন্ন ধরনের মেহেদি পাওয়া যায়। সেগুলোর প্যাক বানিয়ে ১ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেললেও চুল অনেক কোমল ও ঝরঝরে হয়ে উঠে।

৬. তবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলকে কোমল, নমনীয় ও ঝলমলে করার একটি অন্যতম উপায় হল- ১টি পাকা কলা, ১টি ডিম, ২-৩ চা চামচ টক দই, ২-৩ চা চামচ মধু, ১টি লেবুর সম্পূর্ণ রস সবকিছু একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে সেটি মাথায় ১ ঘণ্টার মতো রাখতে হবে। মিশ্রণটি দেওয়ার আগে চুলে ভালো করে তেল ম্যাসাজ করে নিতে হবে। এতে করে প্যাকটি খুব সহজে চুলে বসবে। অনেক সময় অনেকের চুলে মধু স্যুট করে না। সেক্ষেত্রে তারা মধু পরিহার করতে পারেন।

শেয়ার করুন