শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আকবর খান রনোর মরদেহ

- আপডেট: ০১:৫৬:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪
- / 21
ফাইল ছবি
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আকবর খান রনোকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়েছে। এরপর শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার লাশ রাখা হয়েছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
সোমবার (১৩ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হায়দার আকবর খান রনোকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
এর আগে সকাল ১০টায় হায়দার আকবর খান রনোর মরদেহ প্রথমে রাজধানীর পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুক্তিভবনে আনা হবে। সেখানে দলের পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর শোভাযাত্রাসহকারে মরদেহ নেওয়া হয় শহীদ মিনারে।
আজ সোমবার জানাজা ও দাফন হবে হায়দার আকবর খান রনোর।
সিপিবির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেলা দেড়টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে হায়দার আকবর খান রনোর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে তাঁকে।
এদিকে প্রবীণ এ রাজনীতিবিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ দেশব্যাপী শোক পালন করছে সিপিবি। এর অংশ হিসেবে দলীয় কার্যালয়গুলোতে কালো পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিত করা হয়েছে। শ্রদ্ধা নিবেদন করা হচ্ছে তাঁর প্রতিকৃতিতে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আকবর খান রনো ৮২ বছর বয়সে শনিবার রাত ২টা ৫ মিনিটে রাজধানীর হেলথ এন্ড হোপ হাসপাতালে মারা যান। প্রবীণ এই বামপন্থি নেতা তাঁর ধানমন্ডির বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। গত সোমবার সন্ধ্যায় গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে হেলথ এন্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রনোর একমাত্র মেয়ে রানা সুলতানাসহ বিপুল সংখ্যক আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছে।
আওয়ামী লীগ, বিএনপি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), গণসংস্কৃতি ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (টিইউসি), গণজাগরণ মঞ্চ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ প্রভৃতি রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবে।
১৯৬৩ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৬৬ সালে তিনি সরাসরি শ্রমিক আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন।
হায়দার আকবর খান রনো রাজনীতি, অর্থনীতি, দর্শন এমনকি সাহিত্য ও বিজ্ঞানের ওপরও অনেক বই লিখেছেন। তিনি ২০২২ সালে ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার’ লাভ করেন।