১২:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

রাবিতে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ: চার নেতা বহিষ্কার

ইউএনএ প্রতিবেদক
  • আপডেট: ০২:১৯:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪
  • / 38

ফাইল ছবি

সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের চার নেতাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বহিষ্কৃত চার নেতা হলেন— বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শাহিনুল ইসলাম সরকার ডন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ ও আশিকুর রহমান অপু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক কাবিরুজ্জামান রুহুল।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল সরকার ডন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কাবিরুজ্জামান রুহুলকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো। তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার লিখিত জবাব আগামী সাত দিনের মধ্যে ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, ছাত্রলীগে অন্যায়কারীর জায়গা নাই, অন্যায়কারীর কোনো দল বা পরিচয় থাকতে পারে না। অন্যায়কারীর পরিচয় শুধুই অন্যায়কারী। ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করার পূর্বে ভাবতে বাধ্য হবে এবং দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়, এমন কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখবে।

এ বিষয়ে বহিষ্কৃত নেতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল সরকার ডন বলেন, শনিবারের সোহরাওয়ার্দী হলের ঘটনায় আমি যুক্ত ছিলাম না।

মারামারি শুরু হওয়ার আগে আমি চলে আসছি। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ আমাদের সাত দিনের সময় দিয়েছে। আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলব।
বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ কথা বলতে রাজি হননি।

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাত ১১টা থেকে রাত দুইটা পর্যন্ত ছাত্রলীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় এক পক্ষ অবস্থান নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে। অপরপক্ষ মাদার বখ্শ হলের দিকে অবস্থান নিয়ে এই হামলা চালায়।

শেয়ার করুন
ট্যাগ :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

রাবিতে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ: চার নেতা বহিষ্কার

আপডেট: ০২:১৯:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

ফাইল ছবি

সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের চার নেতাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বহিষ্কৃত চার নেতা হলেন— বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শাহিনুল ইসলাম সরকার ডন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ ও আশিকুর রহমান অপু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক কাবিরুজ্জামান রুহুল।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল সরকার ডন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কাবিরুজ্জামান রুহুলকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো। তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার লিখিত জবাব আগামী সাত দিনের মধ্যে ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, ছাত্রলীগে অন্যায়কারীর জায়গা নাই, অন্যায়কারীর কোনো দল বা পরিচয় থাকতে পারে না। অন্যায়কারীর পরিচয় শুধুই অন্যায়কারী। ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করার পূর্বে ভাবতে বাধ্য হবে এবং দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়, এমন কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখবে।

এ বিষয়ে বহিষ্কৃত নেতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল সরকার ডন বলেন, শনিবারের সোহরাওয়ার্দী হলের ঘটনায় আমি যুক্ত ছিলাম না।

মারামারি শুরু হওয়ার আগে আমি চলে আসছি। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ আমাদের সাত দিনের সময় দিয়েছে। আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলব।
বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ কথা বলতে রাজি হননি।

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাত ১১টা থেকে রাত দুইটা পর্যন্ত ছাত্রলীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় এক পক্ষ অবস্থান নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে। অপরপক্ষ মাদার বখ্শ হলের দিকে অবস্থান নিয়ে এই হামলা চালায়।

শেয়ার করুন