আনার হত্যা মামলার মূল তদন্ত ভারতে হবে, সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ

- আপডেট: ০৫:৪৪:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪
- / 16
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি, ছবি- সংগৃহীত
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, এমপি আনার হত্যার মূল মামলা ভারতে হয়েছে এবং মূল তদন্তও ভারতে হবে। তবে তদন্তে বাংলাদেশ সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
শনিবার (১ জুন) দুপুর দেড়টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে (টিএসসি) ছাত্রলীগ কর্তৃক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত ‘আমাদের বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক বক্তৃতা প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী। আনার হত্যা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মূল হত্যাকাণ্ড যেহেতু ভারতে হয়েছে সেহেতু মূল মামলাও ভারতে হয়েছে। ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দি বিনিময় চুক্তি আছে। তাই ভারতই এ হত্যাকাণ্ডের মূল তদন্ত করবে। আমাদের দেশে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হলে আমাদের পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করত। তারা যদি আমাদের সম্পৃক্ত করে তাহলে আমরা তাদের সহযোগিতা করব।
হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত একজন নেপালে পালিয়ে গেছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একজন সংসদ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে আর আমরা বসে থাকবো এমন হতে পারে না। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এবং সহযোগিতাকারী সবাইকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে। নেপালে একজন পালিয়ে গেছে। তবে সে কোথায় আছে সেটা সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। তদন্ত হচ্ছে, তাকে ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি নিয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, যদি কেউ অন্যায় করে তাহলে তার শাস্তি বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী হবে। তার বিষয়ে তদন্ত চলছে। তিনি অন্যায় করেছেন নাকি নির্দোষ, তিনি কি কর ফাঁকি দিয়েছেন নাকি অন্যভাবে অর্থ সম্পদ গড়েছেন, সেটা তদন্ত শেষ হলে সে অনুযায়ী তার বিচার করা হবে।
তদন্ত চলমান অবস্থায় একজন আইজিপি বিদেশ চলে যেতে পারেন কিনা জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, তিনি এখন দেশে আছেন নাকি বিদেশে চলে গেছেন এটা আমি জানি না।
আইজিপির এমন কর্মকাণ্ডে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, না, এটা ব্যক্তিগত বিষয়। আমাদের পুলিশ বাহিনী অনেক কষ্ট করে। জঙ্গি-সন্ত্রাস দমন, কোভিডসহ যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তারা জীবন বাজি রেখে কাজ করেছে। কোনো ব্যক্তি অপরাধ করলে তার দায় প্রতিষ্ঠান নেয় না।