০২:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে রেকর্ড পনের তম শিরোপা ঘরে তুললো রিয়াল মাদ্রিদ

জাহিদ হাসান
  • আপডেট: ০৮:৪৫:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪
  • / 26

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ডর্টমুন্ডকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে ১৫তম শিরোপা উদযাপনে রিয়াল মাদ্রিদ।ছবি:সংগৃহীত 

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে ১৮তম ফাইনাল খেলে ১৫ তম শিরোপা অর্জন করেছে ইউরোপের সেরা ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। যার মধ্যে ১৯৮১ সালের পর ৯ বার ফাইনাল খেলা রিয়াল মাদ্রিদ সবকটিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছে।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও রিয়াল মাদ্রিদ এ যেন একে অপরের সামর্থক,সে কথাটায় আরেকবার প্রমান করলো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৫তম শিরোপা জিতে নেওয়া রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়াল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে যাওয়া মানে শিরোপা হাতে তোলা ১৯৮১ সাল থেকে সেটা বারবার প্রমানিত হয়ে আসছে।

ঐতিহাসিক ওয়েম্বলিতে তৃতীয় বারের মত ফাইনাল খেলতে আসা ডর্টমুন্ডকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে ১৫তম শিরোপা ঘরে তুললো রিয়াল মাদ্রিদ।আর এই ওয়েম্বলিতে ২০১৩ এর ফাইনালে বায়ার্নের কাছে হেরে শিরোপা বঞ্চিত হয়েছিল ডর্টমুন্ড।তারই যেন পুনরাবৃত্তি হলো ২০২৪ এর ফাইনালে। 

আজকের ফাইনালে সদ্য অবসরের ঘোষণা দেয়া মাদ্রিদের লিজেন্ড মিডফিল্ডার টনি ক্রসের শিরোপা জয়ের মাধ্যমে বিদায়টা স্মরণীয় হলো,আর মুদ্রার অন্যপিঠে ডর্টমুন্ডের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলা ক্লাবের আইকনিক প্লেয়ার মার্কো রেউসের জন্য শিরোপাটা অধরায় রয়ে গেল।

ইতিহাস,পরিসংখ্যান ও চলতি আসরের পারফরম্যান্স সবকিছু বিবেচনায় হট ফেবারিট হিসেবে ফাইনালে নামে রিয়াল মাদ্রিদ। আর অন্যদিকে শিরোপা পুনরুদ্ধারে বদ্ধপরিকর ডর্টমুন্ডের ছিল দৃঢ় আত্মবিশ্বাস।

ম্যাচের ২২ মিনিটে ডর্টমুন্ডের ফুলক্রুগের গড়ানো শট দুর্ভাগ্যবসত বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে।

ম্যাচের শুরুতে ফেবারিট রিয়াল বলের পজিশন নিয়ে খেললেও গোল করার মত কোন শক্তিশালী অ্যাটাক করতে পারেনি,উল্টো ডর্টমুন্ড বল পজিশন কম নিলেও দুর্দান্ত কিছু কাউন্টার অ্যাটাক ও গতির ফুটবল খেলেছে। যার ফলে ম্যাচের ১৪ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করে ডর্টমুন্ড। ফুলক্রুগের ব্যাক পাস থেকে পাওয়া বলে ডি-বক্সের ভিতরে শটটা পোস্টে রাখতে পারেননি ব্রান্ট। এর ৭ মিনিট পর ম্যাটস হামেলসের ডিফেন্স চেরা পাস থেকে আবারও সুযোগ পেয়েছে ডর্টমুন্ডের করিম আদেয়েমি, রিসিভ করা বল গোলকিপার কোর্তোয়াকে কাটিয়ে স্পেস নিতে গেলে বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি।যার ফলে সহজ সুযোগটি মিস হয়। এর ২ মিনিট পরই ভাগ্য সহায় হলে লিড নিতে পারতো ডর্টমুন্ড। ইয়ান মাতসেনের পাস থেকে পাওয়া বলটি ফুলক্রুগ কোর্তোয়াকে বিট করে পোস্টে মারলে বারে লেগে ফিরে আসে। তার কিছু সময় পর ২৭ মিনিটের মাথায় ব্রান্টের পাস থেকে আদেয়েমির বিপজ্জনক শট রুখে দেন চ্যাম্পিয়নস লিগে এবারের মৌসুমে এই প্রথমবারের মতো একাদশে সুযোগ পাওয়া কোর্তোয়া।কোর্তোয়া অবশ্য ৪১ মিনিটে সাবিতজারের ২৫ গজের দূরপাল্লার শট ঠেকিয়ে ফাইনালে লুনিনের না থাকার আক্ষেপটা বুঝিয়ে দেন। প্রথমার্ধের ডর্টমুন্ডের গতির খেলা দেখে কিছুটা হতভম্ব হয় রিয়াল সমর্থক।

দ্বিতীয়ার্ধে ৪৯ মিনিটে টনি ক্রুসের দুর্দান্ত ফ্রি-কিক ঠেকিয়ে দেয় ডর্টমুন্ডের গোলকিপার কোবেল

বিরতির পর রিয়াল কোচ আনচেলওির কৌশলে ম্যাচের অবস্থান পরিবর্তিত হতে থাকে, চ্যাম্পিয়নস লিগে অনেক ম্যাচে দেখা গেছে প্রথমার্ধে ধুকতে থাকা রিয়াল দ্বিতীয়ার্ধে খেলার পরিস্থিতি পাল্টে দারুন কামব্যাক করে। সেটায় দেখা গেলো দ্বিতীয়ার্ধের ৪৯ মিনিটে টনি ক্রুসের দারুন এক ফ্রি-কিক  ডর্টমুন্ডে গোলকিপার কোবেল ঠেকিয়ে দেয়। ততক্ষণে ম্যাচে ধার বেড়েছে রিয়ালের খেলার।

পরের ২০ মিনিটের মধ্যে ড্যানি কারভাহাল, ভিনিসিয়ুস গোলের সুযোগ নষ্ট করেন।এর মধ্যে ডর্টমুন্ডের কোচ তেরজিচ কৌশল পরিবর্তন করে ৭২ মিনিটে আদেয়েমিকে তুলে মার্কো রয়েসকে নামান। মঞ্চ তখন যেন পরিপূর্ণ। একদিকে ক্রুস, অন্য দিকে রেউস।দুজনেরই নিজ নিজ ক্লাবের হয়ে শেষ ম্যাচ। ক্রুসের অবশ্য ক্লাব ক্যারিয়ারে শেষ ম্যাচ।

দ্বিতীয়ার্ধে টনি ক্রুসের করা কর্নার থেকে দুর্দান্ত হেডে গোল করে রিয়ালকে লিড এনে দেন কারভাহাল।

ম্যাচের ৭৪ মিনিটে ডর্টমুন্ডের ডিফেন্ডারের ভুল ক্লিয়ারেন্সে কর্নার পায় রিয়াল। ক্রুসের কর্নার থেকে হেডে গোল করে রিয়ালকে ১-০ গোলে এগিয়ে ‍দেয় ড্যানি কারভাহাল।১ গোলে লিড নেয়া রিয়াল ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে প্রেসিং ফুটবল খেলতে থাকে।যার ফলে ম্যাচে ডর্টমুন্ডকে আর খুজে পাওয়া যায়নি।এর কিছু সময় পর ৮৩ মিনিটে মাতসেনের ভুল পাস ধরে জুড বেলিংহামের পাস থেকে সহজ প্লেসিং শটে গোল করে দলকে  ২-০ গোলের লিড এনে দেন ভিনিসিয়ুস।এরপর ডর্টমুন্ড অবশ্য বল একবার জালে পাঠিয়েছিল। হেডে ফুলক্রুগ গোল করলেও অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়।

ম্যাচের ৮৩ মিনিটে ঠান্ডা মাথায় প্লেসিং শটে বল জালে জড়ান রিয়ালের ভিনিসিয়ুস।

ম্যাচের ৮৫ মিনিটে ক্রুসকে তুলে লুকা মদরিচকে মাঠে নামান আনচেলত্তি। ক্লাব ক্যারিয়ারে শেষ মুহূর্তে যখন মাঠ থেকে বের হবেন তখন সমর্থকদের কাছ থেকে হাত নাড়িয়ে বিদায় নিচ্ছেন ক্রুস।

 

ম্যাচ শেষে একে অপরকে আলিঙ্গন করছেন দুই জার্মান রিক্রুট। দু’জনেরই নিজ নিজ ক্লাবের হয়ে এটাই শেষ ম্যাচ ছিলো।

এরপর দু’দল তেমন কোন গোলর সুযোগ তৈরি করতে না পারায় শেষমেষ ২-০ গোলে ডর্টমুন্ডকে পরাজিত করে রেকর্ড ১৫ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা ঘরে তুললো রিয়াল মাদ্রিদ।অন্যদিকে ২০১৩ এর মত আবার দ্বিতীয়বার শিরোপা বঞ্চিত হলো বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।।

শেয়ার করুন
ট্যাগ :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে রেকর্ড পনের তম শিরোপা ঘরে তুললো রিয়াল মাদ্রিদ

আপডেট: ০৮:৪৫:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ডর্টমুন্ডকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে ১৫তম শিরোপা উদযাপনে রিয়াল মাদ্রিদ।ছবি:সংগৃহীত 

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে ১৮তম ফাইনাল খেলে ১৫ তম শিরোপা অর্জন করেছে ইউরোপের সেরা ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। যার মধ্যে ১৯৮১ সালের পর ৯ বার ফাইনাল খেলা রিয়াল মাদ্রিদ সবকটিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছে।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও রিয়াল মাদ্রিদ এ যেন একে অপরের সামর্থক,সে কথাটায় আরেকবার প্রমান করলো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৫তম শিরোপা জিতে নেওয়া রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়াল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে যাওয়া মানে শিরোপা হাতে তোলা ১৯৮১ সাল থেকে সেটা বারবার প্রমানিত হয়ে আসছে।

ঐতিহাসিক ওয়েম্বলিতে তৃতীয় বারের মত ফাইনাল খেলতে আসা ডর্টমুন্ডকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে ১৫তম শিরোপা ঘরে তুললো রিয়াল মাদ্রিদ।আর এই ওয়েম্বলিতে ২০১৩ এর ফাইনালে বায়ার্নের কাছে হেরে শিরোপা বঞ্চিত হয়েছিল ডর্টমুন্ড।তারই যেন পুনরাবৃত্তি হলো ২০২৪ এর ফাইনালে। 

আজকের ফাইনালে সদ্য অবসরের ঘোষণা দেয়া মাদ্রিদের লিজেন্ড মিডফিল্ডার টনি ক্রসের শিরোপা জয়ের মাধ্যমে বিদায়টা স্মরণীয় হলো,আর মুদ্রার অন্যপিঠে ডর্টমুন্ডের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলা ক্লাবের আইকনিক প্লেয়ার মার্কো রেউসের জন্য শিরোপাটা অধরায় রয়ে গেল।

ইতিহাস,পরিসংখ্যান ও চলতি আসরের পারফরম্যান্স সবকিছু বিবেচনায় হট ফেবারিট হিসেবে ফাইনালে নামে রিয়াল মাদ্রিদ। আর অন্যদিকে শিরোপা পুনরুদ্ধারে বদ্ধপরিকর ডর্টমুন্ডের ছিল দৃঢ় আত্মবিশ্বাস।

ম্যাচের ২২ মিনিটে ডর্টমুন্ডের ফুলক্রুগের গড়ানো শট দুর্ভাগ্যবসত বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে।

ম্যাচের শুরুতে ফেবারিট রিয়াল বলের পজিশন নিয়ে খেললেও গোল করার মত কোন শক্তিশালী অ্যাটাক করতে পারেনি,উল্টো ডর্টমুন্ড বল পজিশন কম নিলেও দুর্দান্ত কিছু কাউন্টার অ্যাটাক ও গতির ফুটবল খেলেছে। যার ফলে ম্যাচের ১৪ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করে ডর্টমুন্ড। ফুলক্রুগের ব্যাক পাস থেকে পাওয়া বলে ডি-বক্সের ভিতরে শটটা পোস্টে রাখতে পারেননি ব্রান্ট। এর ৭ মিনিট পর ম্যাটস হামেলসের ডিফেন্স চেরা পাস থেকে আবারও সুযোগ পেয়েছে ডর্টমুন্ডের করিম আদেয়েমি, রিসিভ করা বল গোলকিপার কোর্তোয়াকে কাটিয়ে স্পেস নিতে গেলে বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি।যার ফলে সহজ সুযোগটি মিস হয়। এর ২ মিনিট পরই ভাগ্য সহায় হলে লিড নিতে পারতো ডর্টমুন্ড। ইয়ান মাতসেনের পাস থেকে পাওয়া বলটি ফুলক্রুগ কোর্তোয়াকে বিট করে পোস্টে মারলে বারে লেগে ফিরে আসে। তার কিছু সময় পর ২৭ মিনিটের মাথায় ব্রান্টের পাস থেকে আদেয়েমির বিপজ্জনক শট রুখে দেন চ্যাম্পিয়নস লিগে এবারের মৌসুমে এই প্রথমবারের মতো একাদশে সুযোগ পাওয়া কোর্তোয়া।কোর্তোয়া অবশ্য ৪১ মিনিটে সাবিতজারের ২৫ গজের দূরপাল্লার শট ঠেকিয়ে ফাইনালে লুনিনের না থাকার আক্ষেপটা বুঝিয়ে দেন। প্রথমার্ধের ডর্টমুন্ডের গতির খেলা দেখে কিছুটা হতভম্ব হয় রিয়াল সমর্থক।

দ্বিতীয়ার্ধে ৪৯ মিনিটে টনি ক্রুসের দুর্দান্ত ফ্রি-কিক ঠেকিয়ে দেয় ডর্টমুন্ডের গোলকিপার কোবেল

বিরতির পর রিয়াল কোচ আনচেলওির কৌশলে ম্যাচের অবস্থান পরিবর্তিত হতে থাকে, চ্যাম্পিয়নস লিগে অনেক ম্যাচে দেখা গেছে প্রথমার্ধে ধুকতে থাকা রিয়াল দ্বিতীয়ার্ধে খেলার পরিস্থিতি পাল্টে দারুন কামব্যাক করে। সেটায় দেখা গেলো দ্বিতীয়ার্ধের ৪৯ মিনিটে টনি ক্রুসের দারুন এক ফ্রি-কিক  ডর্টমুন্ডে গোলকিপার কোবেল ঠেকিয়ে দেয়। ততক্ষণে ম্যাচে ধার বেড়েছে রিয়ালের খেলার।

পরের ২০ মিনিটের মধ্যে ড্যানি কারভাহাল, ভিনিসিয়ুস গোলের সুযোগ নষ্ট করেন।এর মধ্যে ডর্টমুন্ডের কোচ তেরজিচ কৌশল পরিবর্তন করে ৭২ মিনিটে আদেয়েমিকে তুলে মার্কো রয়েসকে নামান। মঞ্চ তখন যেন পরিপূর্ণ। একদিকে ক্রুস, অন্য দিকে রেউস।দুজনেরই নিজ নিজ ক্লাবের হয়ে শেষ ম্যাচ। ক্রুসের অবশ্য ক্লাব ক্যারিয়ারে শেষ ম্যাচ।

দ্বিতীয়ার্ধে টনি ক্রুসের করা কর্নার থেকে দুর্দান্ত হেডে গোল করে রিয়ালকে লিড এনে দেন কারভাহাল।

ম্যাচের ৭৪ মিনিটে ডর্টমুন্ডের ডিফেন্ডারের ভুল ক্লিয়ারেন্সে কর্নার পায় রিয়াল। ক্রুসের কর্নার থেকে হেডে গোল করে রিয়ালকে ১-০ গোলে এগিয়ে ‍দেয় ড্যানি কারভাহাল।১ গোলে লিড নেয়া রিয়াল ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে প্রেসিং ফুটবল খেলতে থাকে।যার ফলে ম্যাচে ডর্টমুন্ডকে আর খুজে পাওয়া যায়নি।এর কিছু সময় পর ৮৩ মিনিটে মাতসেনের ভুল পাস ধরে জুড বেলিংহামের পাস থেকে সহজ প্লেসিং শটে গোল করে দলকে  ২-০ গোলের লিড এনে দেন ভিনিসিয়ুস।এরপর ডর্টমুন্ড অবশ্য বল একবার জালে পাঠিয়েছিল। হেডে ফুলক্রুগ গোল করলেও অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়।

ম্যাচের ৮৩ মিনিটে ঠান্ডা মাথায় প্লেসিং শটে বল জালে জড়ান রিয়ালের ভিনিসিয়ুস।

ম্যাচের ৮৫ মিনিটে ক্রুসকে তুলে লুকা মদরিচকে মাঠে নামান আনচেলত্তি। ক্লাব ক্যারিয়ারে শেষ মুহূর্তে যখন মাঠ থেকে বের হবেন তখন সমর্থকদের কাছ থেকে হাত নাড়িয়ে বিদায় নিচ্ছেন ক্রুস।

 

ম্যাচ শেষে একে অপরকে আলিঙ্গন করছেন দুই জার্মান রিক্রুট। দু’জনেরই নিজ নিজ ক্লাবের হয়ে এটাই শেষ ম্যাচ ছিলো।

এরপর দু’দল তেমন কোন গোলর সুযোগ তৈরি করতে না পারায় শেষমেষ ২-০ গোলে ডর্টমুন্ডকে পরাজিত করে রেকর্ড ১৫ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা ঘরে তুললো রিয়াল মাদ্রিদ।অন্যদিকে ২০১৩ এর মত আবার দ্বিতীয়বার শিরোপা বঞ্চিত হলো বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।।

শেয়ার করুন