তীরে এসে তরী ডুবালো বাংলাদেশ

- আপডেট: ০৭:০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪
- / 22
বাংলাদেশের হয়ে মাহমুদউল্লাহ ও হৃদয়ের পার্টনারশিপ কিছুটা জয়ের আশা তৈরি করেছিলো। ছবি:সংগৃহীত
টি-২০ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে নিজেদের গ্রুপের শক্তিশালী দল দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে জিতা ম্যাচটি মাত্র ৪ রানে পরাজিত হলো বাংলাদেশ দল। এ যেন তীরে এসে তরী ডুবালো বাংলাদেশ দল।অবশ্য ভাগ্য এদিন বাংলাদেশের পক্ষে সহায় হয়নি।তা না হলে কেশব মহারাজের শেষ ওভারে ৫ম বলে মাহমুদুল্লাহর হিট করা বলটি একটুর জন্য ছয় বঞ্চিত হয়ে ক্যাচ আউট হতে হলো।পরে অবশ্য শেষ বলে ৬ রানের শেষ একটা সুযোগ থাকলেও তাসকিন ভালো মত ব্যাটে বল হিট করতে পারেনি।শেষমেশ বাংলাদেশকে ৪ রানে পরাজয় বরন করতে হলো।এ যেন গতকালের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পুনরাবৃত্তি হলো আজ।
নিউইয়র্কের নাসাউ ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামটিতে এর আগের ম্যাচ গুলো লো-স্কোরিং ম্যাচ হয়েছিল। তাই আগেই অনুমেয় ছিলো পিচ বোলিং ফ্রেন্ডলি হবে।
পিচের সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ দুর্দান্ত বোলিং করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২০ ওভারে মাত্র ১১৩ রানে থামিয়ে দেয়। জবাবে ১১৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ শুরুতে ৬.১ ওভারে ২৯ রানে তানজিদ তামিম ও লিটনের উইকেটে হারায়। এরপর ক্রিজে এসে দলীয় ৩৭ রানের মাথায় নরকিয়ের বলে আউট হন সাকিব।কিছুটা গুছিয়ে শুরু করা অধিনায়ক শান্ত ব্যক্তিগত ১৪ রান করে দলীয় ৫০ রানে সাকিবের মত একই ভাবে আউট হন নরকিয়ের বলে।এরপর অবশ্য প্রাথমিক বিপদ সামলিয়ে বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তোলার গড় স্বভাবিক রাখেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ ও হৃদয়।এই দুজনের ৪৪ রানে জুটি ভাঙ্গে দলীয় ৯৪ রানে। ৩৪ বলে ২ চার ও ২ ছয়ে রাবাদার বলে ৩৭ রানে আউট হন হৃদয়। হৃদয়ের আউটের পর রান তোলায় চাপে পরে যায় বাংলাদেশ।কেশব মহারাজের শেষ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিলো ১১ রান হাতে ছিলো ৫ উইকেট;শেষমেশ বাংলাদেশ ৭ রানের বেশি করতে পারেনি। যার ফলে ৪ রানে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ।

এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ওভারে হার্ডহিটার ডি-কক ছয় চারে শুরু করলেও ওভারে শেষ বলে রেজা হেনরিকস কে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে তানজিম সাকিব।জ্বলে উঠতে থাকা ডি-কক কে দলীয় ১৯ রানে বোল্ড করেন আগের উইকেট পাওয়া তানজিম সাকিব। শুরুতে উইকেট পরতে থাতক দক্ষিণ আফ্রিকা পাওয়ারপ্লেতে ৪ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৫ রান করে।পরবর্তীতে প্রাথমিক বিপদ সামলিয়ে ক্লাসেন ও ডেবিড মিলারের ৭৯ রানের পার্টনাশিপ ভালো সংগ্রহের ইঙ্গিত দিচ্ছলো। দলীয় ১০২ ও ১০৬ রানে ক্লাসেন ও মিলার আউট হলে শেষের দিকে রান তুলতে ব্যর্থ হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান সংগ্রহ করে প্রোটিয়ারা। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ বলে ৪৬ রান করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন ক্লাসেন। আর ৩৮ বলে ২৯ রান আসে মিলারের ব্যাট থেকে।বাংলাদেশের হয়ে তানজিম সাকিব ৩, তাসকিন ২ ও রিশাদ ১ টি করে উইকেট নেন।
এই জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সুপার এইট মোটামুটি ভাবে নিশ্চিত করলো।
আর বাংলাদেশেকে পরবর্তী ম্যাচের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস ও নেপালের বিপক্ষে জয় ও অন্যান্য ম্যাচের সমীকরণের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।আর যদি দুটি ম্যাচের মধ্যে একটিতে হারে তাহলে জটিলতম সমীকরণে পরতে হবে বাংলাদেশেকে।