সেই চিরচেনা রূপ নেই এখন আর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে।– ইউএনএ 

সেই চিরচেনা রূপ নেই এখন আর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। সড়ক ও রেলপথে ঘরমুখো মানুষের চাপ থাকলেও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের চিত্র পুরোপুরি আলাদা। স্বাভাবিকের চেয়ে যাত্রীর উপস্থিতি কিছুটা বেশি হলেও তেমন ভিড় দেখা যায়নি ঘাটে। সরকার নির্ধারিত ভাড়ায় ঠিক সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চগুলো। এতে করে স্বাচ্ছন্দ্য নিয়েই ঢাকা ছাড়ছেন যাত্রীরা।

শুক্রবার (১৪ জুন) সকালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, টার্মিনালের পন্টুনে বাঁধা আছে চাঁদপুর-ইলিশাগামী সারিসারি লঞ্চ। লঞ্চগুলোতে যাত্রীদের বাড়তি কোনো চাপ নেই। এখনো কিছু কিছু লঞ্চে কেবিন খালি রয়েছে। যাত্রীর চাপ কম থাকায় লঞ্চ কর্মচারীদের তেমন কর্মব্যস্ততাও নেই। লঞ্চ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিকেলের দিকে যাত্রীর চাপ আরও বাড়তে পারে।

টার্মিনালের পন্টুনে বাধা আছে দক্ষিণাঞ্চলগামী সারি সারি লঞ্চ। ২-৩টি লঞ্চে যাত্রীদের দেখা গেলেও বাড়তি কোনো চাপ নেই। যাত্রীর চাপ কম থাকায় লঞ্চ কর্মচারীদের তেমন কর্মব্যস্ততাও নেই।

এদিকে ঈদযাত্রার সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল পরিদর্শন করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বেলা সাড়ে ১১টায় পরিদর্শনে আসেন তিনি। তার সঙ্গে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ও অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ভোলাগামী এক যাত্রী জানান, লঞ্চে আগের মতো ভিড় নেই। যাত্রীও আছে কিন্তু অতিরিক্ত চাপ নেই। অন্য সময়ে কয়েক দিন আগেও টিকিট পাওয়া যেত না। আজ ঘাটে এসেই টিকিট নিতে পেরেছি।

লঞ্চ মালিক সমিতির মহাসচিব শহিদুল হক ভূঁইয়া জানান, আমাদের কিছু লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে গিয়েছিল। এখন সেই রুটগুলোতে লঞ্চের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। তাই যাত্রীরা এখনো কেবিনের টিকিট সংগ্রহ করতে পারছেন। আজ যেহেতু ছুটি শুরু তাই যাত্রীর চাপ বাড়বে বলে আশা করছি। যাত্রীর চাপ বাড়লে লঞ্চের সংখ্যাও বাড়ানো হবে। আমরা প্রস্তুতি নিয়ে লঞ্চ ঘাটেই ভিড়িয়ে রেখেছি।