০৫:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

পাহাড়ে মাচা পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে সাফল্য

ইউএনএ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৫:৩২:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪
  • / 30

পাহাড়ে মাচা পদ্ধতিতে তরমুজ চাষে সাফল্য পেলেন কৃষক আ: রব – ইউএনএ 

পাহাড়ে প্রথমবারের মতো মাচা পদ্ধতিতে বাণিজ্যিকভাবে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন মাটিরাঙ্গা উপজেলার কৃষক আব্দুর রব। তরমুজের মৌসুম না হলেও অসময়েও থোকায় থোকায় ঝুলে আছে মিষ্টি রসালো এই ফল। এমন দৃশ্য চোখে পড়বে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার চরপাড়া গ্রামে।

এই তরমুজ চাষে সার, বীজ, মাচা ও নেটসহ প্রতি বিঘা চাষ করতে খরচ হয় প্রায় ৩৫-৪০ হাজার টাকা।

বিঘা প্রতি ফলনে লাভ পাওয়া যায় আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা। কৃষক আ. রব বাণিজ্যিকভাবে গ্রীষ্মকালীন এ তরমুজ আবাদ করে লাভবান হয়েছেন। তাকে দেখে তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অনেকেই।
আ. রব জানান, আমি প্রথমবারের মতো গ্রীষ্মকালীন তরমুজ (ব্লাক বেবী) চাষ করেছি।

এখানে আমার ব্যয় হয়েছে ২০ হাজার টাকা, যে পরিমাণ ফলন হয়েছে, আশা করি দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো। আমার তরমুজ চাষ দেখে স্থানীয় কৃষকরা তরমুজ চাষে অনেকে আগ্রহী হয়ে উঠছে।

মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সহিদুল ইসলাম সোহাগ জানান, প্রথমবারের মতো ইন্ট্রিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (আইডিএফ) মাধ্যমে ব্লাক বেবী জাতের তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন কৃষক আ. রব। মাটিরাঙ্গা কৃষি অফিসের মাধ্যমে অন্যান্য কৃষকদের প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে এ তরমুজ চাষ ব্যাপকভাবে করতে পারলে কৃষকরাও লাভবান হবে।

আইডিএফ’র কৃষিবিদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আইডিএফের পক্ষ থেকে বীজসহ টেকনিক্যাল ও আর্থিকভাবে সহায়তা করছি। ভবিষ্যতে কৃষকরা এ জাতের তরমুজ চাষ করতে আগ্রহী থাকলে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।

 

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

পাহাড়ে মাচা পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে সাফল্য

আপডেট: ০৫:৩২:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪

পাহাড়ে মাচা পদ্ধতিতে তরমুজ চাষে সাফল্য পেলেন কৃষক আ: রব – ইউএনএ 

পাহাড়ে প্রথমবারের মতো মাচা পদ্ধতিতে বাণিজ্যিকভাবে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন মাটিরাঙ্গা উপজেলার কৃষক আব্দুর রব। তরমুজের মৌসুম না হলেও অসময়েও থোকায় থোকায় ঝুলে আছে মিষ্টি রসালো এই ফল। এমন দৃশ্য চোখে পড়বে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার চরপাড়া গ্রামে।

এই তরমুজ চাষে সার, বীজ, মাচা ও নেটসহ প্রতি বিঘা চাষ করতে খরচ হয় প্রায় ৩৫-৪০ হাজার টাকা।

বিঘা প্রতি ফলনে লাভ পাওয়া যায় আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা। কৃষক আ. রব বাণিজ্যিকভাবে গ্রীষ্মকালীন এ তরমুজ আবাদ করে লাভবান হয়েছেন। তাকে দেখে তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অনেকেই।
আ. রব জানান, আমি প্রথমবারের মতো গ্রীষ্মকালীন তরমুজ (ব্লাক বেবী) চাষ করেছি।

এখানে আমার ব্যয় হয়েছে ২০ হাজার টাকা, যে পরিমাণ ফলন হয়েছে, আশা করি দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো। আমার তরমুজ চাষ দেখে স্থানীয় কৃষকরা তরমুজ চাষে অনেকে আগ্রহী হয়ে উঠছে।

মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সহিদুল ইসলাম সোহাগ জানান, প্রথমবারের মতো ইন্ট্রিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (আইডিএফ) মাধ্যমে ব্লাক বেবী জাতের তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন কৃষক আ. রব। মাটিরাঙ্গা কৃষি অফিসের মাধ্যমে অন্যান্য কৃষকদের প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে এ তরমুজ চাষ ব্যাপকভাবে করতে পারলে কৃষকরাও লাভবান হবে।

আইডিএফ’র কৃষিবিদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আইডিএফের পক্ষ থেকে বীজসহ টেকনিক্যাল ও আর্থিকভাবে সহায়তা করছি। ভবিষ্যতে কৃষকরা এ জাতের তরমুজ চাষ করতে আগ্রহী থাকলে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।

 

শেয়ার করুন