সাবেক ৪১ মন্ত্রী-এমপির দুর্নীতি অনুসন্ধান করবে দুদক

- আপডেট: ০৪:৫২:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪
- / 24
ফাইল ফটো
আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও এমপিসহ ৪১ জনের দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার কমিশনের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত ১৮ আগস্ট দুদক চেয়ারম্যানের কাছে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন তাদের তালিকা ও অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধির বিষয়টি উল্লেখ করে একটি আবেদন করেন। ঐ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
যাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা হলেন, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সাবেক জ্বালানি খনিজ সম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, সাবেক ত্রাণমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, সাবেক সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদ, সাবেক নৌ মন্ত্রী শাহজান খান, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, সাবেক পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, সাবেক শিল্পপ্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, সাবেক ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিবুর রহমান।
সাবেক এমপিদের মধ্যে রয়েছেন, ঢাকা-২০ বেনজির আহমেদ, কুষ্টিয়া-১ এ কে এম সারোয়ার জাহান, বগুড়া-২ শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, নাটোর-১ শহিদুল ইসলাম বকুল, যশোর-১ শেখ আফিল উদ্দিন, নাটোর-৩ ছলিম উদ্দিন তরফদার, যশোর-৩ কাজী নাবিল আহমেদ, রাজশাহী-৪ এনামুল হক, নোয়াখালী-৩ মামুনুর রশিদ কিরন, খাগড়াছড়ি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, গাজীপুর-৫ মেহের আফরোজ চুমকি, ময়মনসিংহ-১১ কাজিম উদ্দিন, যশোর-৫ স্বপন ভট্টাচার্য, পটুয়াখালী-২ আনোয়ার হোসেন মন্জু, মাদারীপুর-১ নূরে আলম চৌধুরী, জয়পুরহাট-২ আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, বাগেরহাট-১ শেখ হেলাল উদ্দিন, ঢাকা-২ কামরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া-২ হাসানুল হক ইনু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ জিয়াউল রহমান।
দুদক সূত্র জানায়, গত রবিবার দুদক চেয়ারম্যানের কাছে তাদের তালিকা ও সম্পদ বৃদ্ধির পরিসংখ্যান দিয়ে অনুসন্ধানের আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন। পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়, গত ১৫ বছরে মন্ত্রী-এমপিদের মধ্যে কারও বেড়েছে আয়, কারও স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ। এ ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ১০০ গুণ থেকে বেড়েছে কয়েক হাজার গুণ সম্পদ।
নির্বাচনি হলফনামার তথ্য নিয়ে টিআইবির করা এক প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে এই আইনজীবী তার চিঠিতে আরো উল্লেখ করেন, টিআইবির সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী-এমপিদের দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এমন সম্পদ বৃদ্ধির চিত্র রূপ কথার গল্পকেও হার মানায়। অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরও দুদক অনুসন্ধান শুরু না করায় প্রতিষ্ঠানটির প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস ক্ষুণ্ন করে এবং জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। তিনি চিঠির সঙ্গে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের অনুলিপিও যুক্ত করেছেন।