০৪:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

শিক্ষার উন্নয়নে বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে

ইউএনএ ডেস্ক
  • আপডেট: ১১:০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 21

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।ছবি : সংগৃহীত

শিক্ষা খাতের উন্নয়নে বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ৮ সেপ্টেম্বর ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২৪’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।

রাষ্ট্রপতি বলেন,‘ শিক্ষা মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। একটি জ্ঞানভিত্তিক উন্নত জাতি গঠনের লক্ষ্যে সর্বজনীন শিক্ষার প্রসারে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি নিরক্ষরতা দূরীকরণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জাতি গঠনে শিক্ষার গুরুত্ব বিবেচনায় শিক্ষা খাতের উন্নয়নে বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

মানসম্মত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা নিশ্চিত, সব শিশুর বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত, বিনামূল্যে শিক্ষাদান ও পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান, দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চালু এবং পাঠদানের পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে লেখাপড়াকে আনন্দদায়ক করে তুলতে হবে।’

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্তির হার বৃদ্ধি পেয়েছে, ঝরেপড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। শ্রেণিকক্ষে উপযুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের জন্য দক্ষতাভিত্তিক সাক্ষরতা কার্যক্রম দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।

শিক্ষাকে সর্বজনীন করতে বিভিন্ন ভাষায় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এবারের আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘বহুভাষায় শিক্ষার প্রসার : পারস্পরিক সমঝোতা ও শান্তির জন্য সাক্ষরতা’- বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি। যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে শিক্ষার চাহিদা ও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা পদ্ধতিতে বৈচিত্র্য এসেছে। একটি বৈষম্যহীন আধুনিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সবার জন্য গণমুখী শিক্ষা প্রণয়ন, বৃত্তিমূলক শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি, উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানমূলক প্রশিক্ষণ এবং তথ্যপ্রযুক্তিসহ সাক্ষরতা প্রদান জরুরি। শ্রেণিকক্ষে উপযুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি, মানবসম্পদ উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে আমি সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজসহ সংশ্লিষ্ট সবাই একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

 

 

 

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

শিক্ষার উন্নয়নে বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে

আপডেট: ১১:০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।ছবি : সংগৃহীত

শিক্ষা খাতের উন্নয়নে বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ৮ সেপ্টেম্বর ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২৪’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।

রাষ্ট্রপতি বলেন,‘ শিক্ষা মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। একটি জ্ঞানভিত্তিক উন্নত জাতি গঠনের লক্ষ্যে সর্বজনীন শিক্ষার প্রসারে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি নিরক্ষরতা দূরীকরণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জাতি গঠনে শিক্ষার গুরুত্ব বিবেচনায় শিক্ষা খাতের উন্নয়নে বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

মানসম্মত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা নিশ্চিত, সব শিশুর বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত, বিনামূল্যে শিক্ষাদান ও পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান, দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চালু এবং পাঠদানের পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে লেখাপড়াকে আনন্দদায়ক করে তুলতে হবে।’

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্তির হার বৃদ্ধি পেয়েছে, ঝরেপড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। শ্রেণিকক্ষে উপযুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের জন্য দক্ষতাভিত্তিক সাক্ষরতা কার্যক্রম দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।

শিক্ষাকে সর্বজনীন করতে বিভিন্ন ভাষায় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এবারের আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘বহুভাষায় শিক্ষার প্রসার : পারস্পরিক সমঝোতা ও শান্তির জন্য সাক্ষরতা’- বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি। যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে শিক্ষার চাহিদা ও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা পদ্ধতিতে বৈচিত্র্য এসেছে। একটি বৈষম্যহীন আধুনিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সবার জন্য গণমুখী শিক্ষা প্রণয়ন, বৃত্তিমূলক শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি, উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানমূলক প্রশিক্ষণ এবং তথ্যপ্রযুক্তিসহ সাক্ষরতা প্রদান জরুরি। শ্রেণিকক্ষে উপযুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি, মানবসম্পদ উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে আমি সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজসহ সংশ্লিষ্ট সবাই একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

 

 

 

শেয়ার করুন