০৩:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের “অ্যাক্রোবেটিক শো ” অনুষ্ঠিত

ইউএনএ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ১১:৪০:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
  • / 18

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষিত শিল্পীদের পরিবেশনায় “অ্যাক্রোবেটিক শো”।ছবি : ইউএনএ

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষিত শিল্পীদের জমজমাট পরিবেশনায় শেষ হলো “অ্যাক্রোবেটিক শো” অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ঐতিহ্য রক্ষায় সার্কাস ও অ্যাক্রোবেটিকের পৃষ্টপোকষতায় দর্শকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়েছে দর্শকপ্রিয় পরিবেশনা “অ্যাক্রোবেটিক শো” ।

অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, “কয়েক শত বছর ধরে “অ্যাক্রোবেটিক” বা দরাবাজি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ১৬৫০ সালে লিখিত “মহুয়া পালা”য় অ‌্যাক্রোবেটিক বা দরবাজির উল্লেখ ছিলো, সে হিসেবে তার আগে থেকেই জনপ্রিয় ছিলো অ্যাক্রোবেটিক বা দরাবাজি। কিন্তু আজ তার অবশিষ্টাংশ কোথাও হয়তো জীর্ণ অবস্থায় টিকে আছে। ব্রিটিশ আমলে যে সার্কাস জনপ্রিয়তা পায় তা আজ প্রায় দেখায় যায় না।”

আজ জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চীন থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ নেয়া বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির অ্যাক্রোবেটিক দল পরিবেশনা উপস্থাপন করে।

এ সম্পর্কে মহাপরিচালক বলেন, “বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি চীনের রাষ্ট্র ও জনগনকে ধন্যবাদ জানায় বাংলাদেশের লুপ্ত প্রায় ঐতিহ্যকে পুনরায় উত্থানে হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য। একইসাথে আমাদের প্রশিক্ষিত দরাবাজিকর ও তাদের প্রশিক্ষকদের আহ্বান জানাই যেন অ্যাক্রোবেটিক ঐতিহ্যের অংশ হয়।“দর্শকদের আহ্বান জানাই আপনারা সার্কাস বা দরাবাজির পাশে দাঁড়ান। উৎসাহিত করেন পৃষ্টপোষকতা করেন। আপনাদের একনিষ্ট সমর্থনেই শিল্পকলা একাডেমি সার্কাস আর দরাবাজি কে সুদৃঢ় অবস্থানে ফিরে নিয়ে যেতে পারবে বলেও যোগ করেন মহাপরিচালক ড.সৈয়দ জামিল আহমেদ।

অ্যাক্রোবেটিক শিল্পকে বিকশিত করার লক্ষ্যে নানামুখী কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। তার অংশ হিসেবে শনিবার একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের আয়োজনে প্রদর্শিত হয় অ্যাক্রোবেটিক শো। এতে পরিবেশিত হয় রোপ রাউন্ড বিল; এ্যারিয়েল হুপ; ব্ল্যাংকেট ব্যালেন্স; ব্যারেল ব্যালেন্স; চেয়ার সেটিং; মাউন স্কিল; দিয়াবো ব্যালেন্স; ফায়ার/ব্যাম্প; রিং ড্যান্স; রোলার ব্যালেন্স; রিং জাম্প ও সৌদিয়াও। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির অফিশিয়াল ফেইসবুক পেইজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের “অ্যাক্রোবেটিক শো ” অনুষ্ঠিত

আপডেট: ১১:৪০:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষিত শিল্পীদের পরিবেশনায় “অ্যাক্রোবেটিক শো”।ছবি : ইউএনএ

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষিত শিল্পীদের জমজমাট পরিবেশনায় শেষ হলো “অ্যাক্রোবেটিক শো” অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ঐতিহ্য রক্ষায় সার্কাস ও অ্যাক্রোবেটিকের পৃষ্টপোকষতায় দর্শকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়েছে দর্শকপ্রিয় পরিবেশনা “অ্যাক্রোবেটিক শো” ।

অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, “কয়েক শত বছর ধরে “অ্যাক্রোবেটিক” বা দরাবাজি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ১৬৫০ সালে লিখিত “মহুয়া পালা”য় অ‌্যাক্রোবেটিক বা দরবাজির উল্লেখ ছিলো, সে হিসেবে তার আগে থেকেই জনপ্রিয় ছিলো অ্যাক্রোবেটিক বা দরাবাজি। কিন্তু আজ তার অবশিষ্টাংশ কোথাও হয়তো জীর্ণ অবস্থায় টিকে আছে। ব্রিটিশ আমলে যে সার্কাস জনপ্রিয়তা পায় তা আজ প্রায় দেখায় যায় না।”

আজ জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চীন থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ নেয়া বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির অ্যাক্রোবেটিক দল পরিবেশনা উপস্থাপন করে।

এ সম্পর্কে মহাপরিচালক বলেন, “বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি চীনের রাষ্ট্র ও জনগনকে ধন্যবাদ জানায় বাংলাদেশের লুপ্ত প্রায় ঐতিহ্যকে পুনরায় উত্থানে হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য। একইসাথে আমাদের প্রশিক্ষিত দরাবাজিকর ও তাদের প্রশিক্ষকদের আহ্বান জানাই যেন অ্যাক্রোবেটিক ঐতিহ্যের অংশ হয়।“দর্শকদের আহ্বান জানাই আপনারা সার্কাস বা দরাবাজির পাশে দাঁড়ান। উৎসাহিত করেন পৃষ্টপোষকতা করেন। আপনাদের একনিষ্ট সমর্থনেই শিল্পকলা একাডেমি সার্কাস আর দরাবাজি কে সুদৃঢ় অবস্থানে ফিরে নিয়ে যেতে পারবে বলেও যোগ করেন মহাপরিচালক ড.সৈয়দ জামিল আহমেদ।

অ্যাক্রোবেটিক শিল্পকে বিকশিত করার লক্ষ্যে নানামুখী কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। তার অংশ হিসেবে শনিবার একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের আয়োজনে প্রদর্শিত হয় অ্যাক্রোবেটিক শো। এতে পরিবেশিত হয় রোপ রাউন্ড বিল; এ্যারিয়েল হুপ; ব্ল্যাংকেট ব্যালেন্স; ব্যারেল ব্যালেন্স; চেয়ার সেটিং; মাউন স্কিল; দিয়াবো ব্যালেন্স; ফায়ার/ব্যাম্প; রিং ড্যান্স; রোলার ব্যালেন্স; রিং জাম্প ও সৌদিয়াও। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির অফিশিয়াল ফেইসবুক পেইজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

শেয়ার করুন